আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in সাওম (Fasting) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন পোস্ট কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট রোগী। গত ৭ মাস আগে আমার কিডনী প্রতিস্থাপন হয়।আমাকে প্রতিদিন Tacrolimus, Micophenolic Acid Delayed-Release Tablets USP 360mg, Prednisolone খেতে হয় রাতে ও সকালে এবং এই অষুধগুলো একদম টাইম মত খেতে হয় ২/৪ মিনিট এদিক ওদিক হওয়া যায় না। ইন্ডিয়ার  ডাক্তার এর সাথে নির্দিষ্ট দিন পরপর কন্সাল্ট করতে হয়। তিনি আমাকে বলেছেন আমার রোজা রাখা যাবে না। অন্তত ২-৩ বছর রোজা রাখা নিষেধ ( শরীরের কন্ডিশন অনুযায়ী)।
আমার প্রশ্ন হলো এই অবস্থায় কি আমার কোনো কাফফারা আদায় করতে হবে? সেটা কী? আর পরে যদি রোজা রাখতে পারি, তখন এই রোজা গুলো কীভাবে কাযা আদায় করব?  এই রোজাগুলোর জন্য কি আলাদা ফিতরা দিতে হবে? এ সম্পর্কিত সব মাসয়ালা জানতে চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

https://ifatwa.info/14499/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
সুরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

شَهۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡهِ الۡقُرۡاٰنُ هُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡهُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَهِدَ مِنۡکُمُ الشَّهۡرَ فَلۡیَصُمۡهُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰهُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰی مَا هَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾

রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

ইকরিমা রাহ. বলেন, ‘‘আমার মা প্রচন্ড তৃষ্ণা-রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং রোযা রাখতে সক্ষম ছিলেন না। তাঁর সম্পর্কে আমি তাউস রাহ.কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ‘প্রতি দিনের পরিবর্তে মিসকীনকে এক মুদ (বর্তমান হিসাবে পৌনে দুই কেজি) পরিমাণ গম প্রদান করবে’।’’-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭৫৮১

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার অবস্থা যদি এমন হয় যে অভিজ্ঞ ডাক্তার আপনার সম্পর্কে বলে যে এই অবস্থায় রোযা আপনার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

রোগ বৃদ্ধি পাবে বা রোগ-ভোগ দীর্ঘ হওয়ার প্রবল আশঙ্কা আছে,সেক্ষেত্রে আপনি রোযা না রাখতে পারবেন।

এক্ষেত্রে রোযা রাখলে ভেঙ্গে দেওয়াও জায়েজ হবে।
পরবর্তীতে (সুস্থ হওয়ার পর) কাজা আদায় করে নিবেন। কাফফারা আদায় করতে হবেনা।

আরো জানুনঃ 

তবে যদি রোযার দরুন শারীরিক ক্ষতি তেমন না হয়, শুধুমাত্র ঔষধ খাওয়ার সময় নিয়ে সমস্যা হয়,সেক্ষেত্রে তার জন্য রোযা ভেঙ্গে দেয়া জায়েজ হবেনা।
এক্ষেত্রে রোযা না রাখলে পরবর্তীতে কাজা আবশ্যক হবে।

এক্ষেত্রে রোযা রেখে তারপর ভেঙ্গে দিলে কাজা ও কাফফারা উভয়টিই আবশ্যক হবে।

ফিদইয়াহ আদায়ের মাসয়ালা জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...