আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
955 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (23 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
সম্মানিত  মুফতি  সাহেব,এই প্রশ্নের উত্তরের প্রেক্ষিতে আরোও কিছু  জিনিস  পরিষ্কার  করে দিলে আমার দ্বীনের  পথে থাকা সহজ হয়ে যায়।
https://ifatwa.info/16465/?show=16501#a16501

১) যদি ভিন্ন  ভিন্ন সময়,ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে  আমার স্ত্রীকে আমি তিনবারের বেশী তালাক ও দিয়ে ফেলি(কখনোই এক সাথে  তিন তালাক  বলি নাই),তবুও সেটা এক তালাক  ই সাব্যস্ত হবে,কারন ১ ম যে বার তালাক হয়েছিল,তার মাধ্যমেই আমাদের  স্বামী - স্ত্রী  সম্পর্ক  বিছিন্ন  হয়ে গেছিলো,আমি কি ঠিক বলেছি?
ফলে
পুনরায় ঐ স্ত্রীকে বিয়ে  করতে আমার কোন বাঁধা  নাই।
আমি কি ঠিক বলেছি?
২) আমার স্ত্রীকে পুনরায়  বিয়ে করলে,আগেরবার তাকে বিয়ে করার মোহর ও কি আমাকে আদায়  করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদিস শরিফে  এসেছেঃ
ثلث جدهن جد هزلـهن جد النكاح والطلاق والرجعة 

অর্থ : তিনটি বিষয় এমন রয়েছে যা গোস্বায় হোক বা হাসি ঠাট্টায় হোক সর্বাবস্থায় কার্যকরী হয়ে থাকে। বিবাহ্, তালাক ও রজয়াত।” (তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ/২৮৪) 
.
★★শরীয়তের বিধান হলো যদি সহবাসের পূর্বেই স্ত্রীকে এক বাক্যে তিন তালাক দেয়,তাহলে তিন তালাক হয়ে যাবে।
তার সাথে আর কোনো ভাবেই ঘর সংসার করা জায়েজ হবেনা।

আর যদি আলাদা আলাদা ভাবে এক তালাক করে দেয়,তাহলে শুধু ১ম তালাক দ্বারাই বায়েন তালাক হয়ে যাবে,পরবর্তী তালাক গুলো হবেনা। 
    
 إذا طلق الرجل امرأته ثلاثا قبل الدخول بها وقعن عليها فإن فرق الطلاق بانت بالأولى ولم تقع الثانية والثالثة

যদি কেউ তার স্ত্রীকে সহবাসের পূর্বে তিন তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তিন তালাকই তার উপর পতিত হবে।আর যদি বিচ্ছিন্ন ভাবে এক এক করে তিন তালাক দেয়,তাহলে প্রথম তালাক দ্বারাই স্ত্রী বায়েন হয়ে যাবে।দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তালাক তার উপর পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৩)

আরো জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধু ১ম তালাক পতিত হয়েছে।
এর পরের তালাক গুলো পতিত হয়নি।
,
আপনি তাকে নতুন ভাবে মোহরানা বেধে বিবাহ করতে পারবেন।
,
(০২)
হ্যাঁ আগের বারের মোহরানাও আদায় করতে হবে।
,
তবে স্ত্রী যদি সন্তুষ্টি চিত্তে তাহা মাফ করে দেয় বা কমিয়ে দেয়, তাহলে সেটি জায়েজ আছে।
এটি সম্পূর্ণ স্ত্রীর একান্ত নিজস্ব ব্যাপার।
তাকে কোনোভাবে জোড় করা যাবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ     

واتوا النساء صدقاتهن نحلة فان طبن لكم عن شيئ منه نفسا فكلوا هنيئا مرئيا

এবং তোমরা নারীদেরকে দাও তাদের মোহর খুশিমনে। এরপর তারা যদি স্বেচ্ছায় স্বাগ্রহে ছেড়ে  দেয় কিছু অংশ তোমাদের জন্য তাহলে তা স্বচ্ছন্দে ভোগ কর।-সূরা নিসা : ৪


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...