আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার সাথে এক মেয়ের অভিভাবকের অজ্ঞাতে বিবাহ হয় (হানাফি মাঝাব অনুসারে)। বিবাহের পর আমরা দুইজন কয়েকবার একত্রে বিছানায় বিবস্ত্র অবস্থায় জড়াজড়ি করে সময় কাটালেও তার সতিত্ব এখনো ঠিক আছে। অর্থাৎ কখনো সঙ্গম তথা গোপনাঙ্গ প্রবেশ করাইনি।

এমতাবস্থায় তার সাথে মনোমালিন্য হওয়ার কারণে আলাদা আলাদা সময়ে ৩ বারে ৩ তালাক বলি। এখন হিল্লা বিবাহ ব্যতিরেকে পুনরায় বিবাহ কি সম্ভব? আমি শুনেছি,
১। সহবাস হওয়ার পূর্বে তালাক হলে তা ১ তালাক হিসেবে বিবেচিত হবে এবং পুনরায় স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকবে। এই মাসালাটি কতটুকু সঠিক?
২। একত্রে বিছানায় জড়াজড়ি বা বিবস্ত্র সময় কাটালেও কখনো সঙ্গম হয়নি। এক্ষেত্রে, এই মিলনকে সহবাস হিসেবে বিবেচনা করা হবে কিনা? এবং সহবাস হিসেবে বিবেচিত না হলে কি পুনরায় স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া যাবে ৩ তালাক বলার পরেও?

1 Answer

0 votes
by (711,000 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
وَاعْلَمْ أَنَّ أَصْحَابَنَا - رَحِمَهُمُ اللَّهُ - أَقَامُوا الْخَلْوَةَ الصَّحِيحَةَ مَقَامَ الْوَطْءِ فِي حَقِّ بَعْضِ الْأَحْكَامِ دُونَ الْبَعْضِ فَأَقَامُوهَا فِي حَقِّ تَأَكُّدِ الْمَهْرِ وَثُبُوتِ النَّسَبِ وَالْعِدَّةِ وَالنَّفَقَةِ وَالسُّكْنَى فِي هَذِهِ الْعِدَّةِ وَنِكَاحِ أُخْتِهَا وَأَرْبَعٍ سِوَاهَا وَحُرْمَةِ نِكَاحِ الْأَمَةِ عَلَى قِيَاسِ قَوْلِ أَبِي حَنِيفَةَ وَمُرَاعَاةِ وَقْتِ الطَّلَاقِ فِي حَقِّهَا وَلَمْ يُقِيمُوهَا مَقَامَ الْوَطْءِ فِي حَقِّ الْإِحْصَانِ وَحُرْمَةِ الْبَنَاتِ وَحِلِّهَا لِلْأَوَّلِ وَالرَّجْعَةِ وَالْمِيرَاثِ، وَأَمَّا فِي حَقِّ وُقُوعِ طَلَاقٍ آخَرَ فَفِيهِ رِوَايَتَانِ وَالْأَقْرَبُ أَنْ يَقَعَ.
«تبيين الحقائق شرح كنز الدقائق وحاشية الشلبي» (2/ 144)
জেনে রাখা ভালো যে, হানাফি ফকিহগণ খালওয়াতে সহিহাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত গণ্য করেন, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত মনে করেন না।হানাফি ফকিহগণ মহর, সন্তানের নসব, ইদ্দত এবং ভরণপোষন, উক্ত স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করা, এবং এ স্ত্রী ব্যতীত আরো চারটি বিয়ে করা বা বাদি বিয়ে করা এর ক্ষেত্রে খালওয়াতে সহিহাকে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত মনে করেন। তবে সিফাতে এহসান সাব্যস্ত হওয়া , উক্ত স্ত্রীর মেয়ে হারাম হওয়া, এবং ঐ স্ত্রী তার পূর্বে তিন তালাক প্রদানকারী স্বামীর জন্য হালাল হওয়া, এবং রাজআত, ও মিরাছের ক্ষেত্রে খালওয়াতে সহিহাকে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত মনে করেন না। এক তালাকের পর অন্য তালাক পতিত হওয়ার ক্ষেত্রে কি গ্রহণযোগ্য?  সে সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ তাকলেও গ্রহণযোগ্য মত হল, উক্ত খালওয়াতের কারণে এক তালাকের পরবর্তী তালাক পতিত হবে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"একত্রে বিছানায় জড়াজড়ি বা বিবস্ত্র সময় কাটালেও কখনো সঙ্গম হয়নি।''

আপনার প্রশ্ন থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আপনার খালওয়াতে সহীহা হয়েছে, আর খালওয়াতে সহীহা হলে এক তালাকের পর আরোও তালাক পতিত হবে কি না? তা নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও বিশুদ্ধ মতানুযায়ী তালাক পতিত হয়ে যায়, সুতরাং আপনাদের বেলায় সহবাস না হলেও তিন তালাক পতিত হয়ে যাবে। সুতরাং আপনারা আর একত্রিত হতে পারবেন না। হ্যা, স্ত্রীর অন্য কোথাও বিয়ে হওয়ার পর সেই স্বামীর সাথে তালাক হওয়ার পর আপনারা চাইলে আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। তবে প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে আসার জন্য দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া শরীয়ত সম্মত নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমাদের মধ্যে পরিপূর্ণ সহবাস না হওয়ার কারণ, আমার স্ত্রী আমাকে তা করতে বাঁধা দিতো। তার বাঁধা প্রদানের দরুন আমি তা করতে পারিনি। এক্ষেত্রে কি খালওয়াতে সাহীহাকে পরিপূর্ণ সহবাস হিসেবে বিবেচনা করা হবে?

এবং, এতে কি আমার স্ত্রীর উপর ৩ তালাক দেয়া হলে তা পতিত হবে নাকি একটি তালাকই পতিত হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...