জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ব্যবহৃত পানি বলা হয় এমন পানিকে, যা ‘হাদাস’ (অপবিত্রতা দূর করা বা সওয়াব অর্জনের জন্য অজু ও গোসলে ব্যবহৃত হয়েছে।
ব্যবহারকারীর শরীর থেকে আলাদা হওয়ার পর সেই পানি ব্যবহৃত পানি বলে গণ্য হবে।
হাদিসের স্পষ্ট বর্ণনার কারণে ব্যবহৃত পানি পবিত্র। তবে হাদিসের ভাষ্য মতে, এই পানি দ্বারা অজু হবে না। (বুখারি, হাদিস : ৫২৪৪)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
أو بماء استعمل لأجل قربۃ أي ثواب ولو مع رفع حدث أو غسل میت۔ قال الشامي: قولہ أو غسل میت معطوف علی رفع حدث وکون غسالتہ مستعملۃ ہو الأصح۔ (شامی کراچی ۱؍۱۹۸، درمختار مع الشامي زکریا ۱؍۳۴۸- ۳۴۹)
ব্যবহৃত পানি বলা হয় এমন পানিকে, যা ‘হাদাস’ (অপবিত্রতা দূর করা বা সওয়াব অর্জনের জন্য অজু ও গোসলে ব্যবহৃত হয়েছে।
ওজুর ব্যাবহৃত পানি পবিত্র । সুতরাং ওজুর অব্যবহৃত পবিত্র পানির পরিমান যদি ওজুতে ব্যবহৃত পানির তুলনায় বেশি হয় , তাহলে সে পানি দিয়ে ওজু বৈধ হবে ।
جاء في الفتاوي السراجية: ص 34 (ط. الاتحاد ) كتاب الطهارة : الماء المستعمل في الوضوء في رواية محمد عن أبي حنيفة رحمهما الله تعالى : طاهر ، و عليه الفتوى ، انتهى
وجاء في الامداد الفتاح : ص: 36 ( الاتحاد ) كتاب الطهارة : فإن اختلط رطلان من الماء المستعمل ، برطل من المطلق، لايجوز به الوضوء ، و بعكسه جاء . انتهى
যার সারমর্ম হলো যদি দুই রিতিল ব্যবহারিত পানির সাথে এক রিতিল সাধারণ পানি মিলে যায়,তাহলে সেই পানির দ্বারা অযু গোসল জায়েয হবেনা।
,
অন্যথায় জায়েজ হবে।
,
আরো জানুনঃ
★গোসল করার সময় শরীরের পানির ছিটা বা বালতি থেকে পানি নেয়ার সময় হাতের অবশিষ্ট পানি বালতির পানিতে পরে,এক্ষেত্রে সেই পানির ছিটা,হাতের অবশিষ্ট পানির নাপাক হওয়া সম্পর্কে যেহেতু আপনি নিশ্চিত নন, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি উক্ত পানি দিয়েই গোসল করবেন,কোনো সমস্যা নেই।
,
(০২)
এমতাবস্থায় শুধু উক্ত স্থান ধুয়ে নিতে হবে।
অন্যথায় গোসল হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৩)
কটন দিয়ে উক্ত ময়লা পরিস্কার না করলেও ফরজ গোসল আদায় হয়ে যাবে।
উক্ত ময়লা পরিস্কার করা জরুরি নয়।
তবে আঙ্গুল ভিজিয়ে কানের ছিদ্রের ভিতর উক্ত আঙ্গুল ঢুকিয়ে যথাসম্ভব পানি পৌছাতে হবে।