আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
259 views
in পবিত্রতা (Purity) by (100 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
১. ফরজ গোসল করতে অব্যবহৃত পবিত্র পানি প্রয়োজন!  কিন্তু গোসল করার সময় শরীরের পানির ছিটা বা বালতি থেকে পানি নেয়ার সময় হাতের অবশিষ্ট পানি বালতির পানিতে পরে!  বালতির পানি যেহেতু স্বল্প, স্বল্প পানির  বিধান অনুযায়ী  সামান্য অপবিত্র পানি বা ব্যবহৃত পানি পরলেই তা অপবিত্র হয়ে যায়!  এক্ষেত্রে পবিত্র পানি আর অপবিত্র পানি কম বেশি দেখার প্রয়োজন হয় না!
তাহলে ফরজ গোসল কিভাবে পবিত্র, অব্যবহৃত পানি দিয়ে  করবো,  বালতি থেকে পানি নেয়ার সময় যেহেতু হাতের বা শরীরের পানি বালতিতে পরে!

২. ফরজ গোসল শেষে বের হওয়ার পর যদি দেখি কানের  ভাজে কোথাও এক দানার মতো সামান্য শুকনো ময়লা আছে যা হাত দেয়ায় উঠে গিয়েছে তাতে ফরজ গোসল হবে ?
৩. কানের ছিদ্রের ভিতরে যে ময়লা থাকে তা কটন দিয়ে আগে পরিস্কার করা জরুরী ফরজ গোসলের আগে? পরিস্কার না করে ফরজ গোসল করলে হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ব্যবহৃত পানি বলা হয় এমন পানিকে, যা ‘হাদাস’ (অপবিত্রতা দূর করা বা সওয়াব অর্জনের জন্য অজু ও গোসলে ব্যবহৃত হয়েছে। 
ব্যবহারকারীর শরীর থেকে আলাদা হওয়ার পর সেই পানি ব্যবহৃত পানি বলে গণ্য হবে।

হাদিসের স্পষ্ট বর্ণনার কারণে ব্যবহৃত পানি পবিত্র। তবে হাদিসের ভাষ্য মতে, এই পানি দ্বারা অজু হবে না। (বুখারি, হাদিস : ৫২৪৪)

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ   
أو بماء استعمل لأجل قربۃ أي ثواب ولو مع رفع حدث أو غسل میت۔ قال الشامي: قولہ أو غسل میت معطوف علی رفع حدث وکون غسالتہ مستعملۃ ہو الأصح۔ (شامی کراچی ۱؍۱۹۸، درمختار مع الشامي زکریا ۱؍۳۴۸- ۳۴۹) 

ব্যবহৃত পানি বলা হয় এমন পানিকে, যা ‘হাদাস’ (অপবিত্রতা দূর করা বা সওয়াব অর্জনের জন্য অজু ও গোসলে ব্যবহৃত হয়েছে। 

ওজুর ব্যাবহৃত পানি পবিত্র । সুতরাং ওজুর অব্যবহৃত পবিত্র পানির পরিমান যদি ওজুতে ব্যবহৃত পানির তুলনায় বেশি হয় , তাহলে সে পানি দিয়ে ওজু বৈধ হবে ।
جاء في الفتاوي السراجية: ص 34 (ط. الاتحاد ) كتاب الطهارة : الماء المستعمل في الوضوء في رواية محمد عن أبي حنيفة رحمهما الله تعالى : طاهر ، و عليه الفتوى ، انتهى
وجاء في الامداد الفتاح : ص: 36 ( الاتحاد ) كتاب الطهارة : فإن اختلط رطلان من الماء المستعمل ، برطل من المطلق، لايجوز به الوضوء ، و بعكسه جاء . انتهى

যার সারমর্ম হলো যদি দুই রিতিল ব্যবহারিত পানির সাথে এক রিতিল সাধারণ পানি মিলে যায়,তাহলে সেই পানির দ্বারা অযু গোসল জায়েয হবেনা। 
,
অন্যথায় জায়েজ হবে।   
,
আরো জানুনঃ 

★গোসল করার সময় শরীরের পানির ছিটা বা বালতি থেকে পানি নেয়ার সময় হাতের অবশিষ্ট পানি বালতির পানিতে পরে,এক্ষেত্রে সেই পানির ছিটা,হাতের অবশিষ্ট পানির নাপাক হওয়া সম্পর্কে যেহেতু আপনি নিশ্চিত নন,  তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি উক্ত পানি দিয়েই গোসল করবেন,কোনো সমস্যা নেই।  
,
(০২)
এমতাবস্থায় শুধু উক্ত স্থান ধুয়ে নিতে হবে।
অন্যথায় গোসল হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৩)
কটন দিয়ে উক্ত ময়লা পরিস্কার না করলেও ফরজ গোসল আদায় হয়ে যাবে।
উক্ত ময়লা পরিস্কার করা জরুরি নয়।
তবে আঙ্গুল ভিজিয়ে কানের ছিদ্রের ভিতর উক্ত আঙ্গুল ঢুকিয়ে যথাসম্ভব পানি পৌছাতে হবে।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 424 views
+1 vote
1 answer 500 views
...