ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যুলুম-নির্যাতনঃ
বিচারও প্রতিশোধ কামনর সীমারেখা।
সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে যুলুম-নির্যাতন করা হলে তার সুষ্ঠু বিচার কামনা করা কোনো প্রকার গুনাহ নয়,বরং এটা মাযলুমের হক্ব ও অধিকার,চায় সে বিচার দুনিয়াতে কোনো বিচারকের কাছে দায়ের করা হোক বা মহান আল্লাহর কাছে দায়ের করা হোক।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻳَﺄْﻣُﺮُ ﺑِﺎﻟْﻌَﺪْﻝِ ﻭَﺍﻹِﺣْﺴَﺎﻥِ ﻭَﺇِﻳﺘَﺎﺀ ﺫِﻱ ﺍﻟْﻘُﺮْﺑَﻰ ﻭَﻳَﻨْﻬَﻰ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﻔَﺤْﺸَﺎﺀ ﻭَﺍﻟْﻤُﻨﻜَﺮِ ﻭَﺍﻟْﺒَﻐْﻲِ ﻳَﻌِﻈُﻜُﻢْ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗَﺬَﻛَّﺮُﻭﻥَ
আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্নীয়-স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে বারণ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।
(সূরা নাহল-৯০)
আল্লাহ তা'আলা মাযলুমকে যালিমের উপর দুনিয়াতে এমন সাহয্য প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছেন,যা আল্লাহ তা'আলা তার জন্য লিখে রেখেছেন,এবং যা যুলুম ও সীমালঙ্ঘন সম্বলিত প্রার্থনা হবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ( ﻟَﺎْ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺠَﻬْﺮَ ﺑِﺎﻟﺴُّﻮﺀِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻝِ ﺇِﻻَّ ﻣَﻦْ ﻇُﻠِﻢَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤِﻴْﻌًﺎ ﻋَﻠِﻴْﻤًﺎ ) ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 148/ .
আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ।
( সূরা নিসা-১৪৮)
ইবনে ক্বাসির রাহ তার তদীয় তাফসীর গ্রন্থের১/৫৭২পৃষ্টায় উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ
" ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱٍ ﻓﻲ ﺍﻵﻳﺔ : ﻳﻘﻮﻝ : ﻻ ﻳﺤﺐ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﺃﺣﺪٌ ﻋﻠﻰ ﺃﺣﺪٍ ، ﺇﻻ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﻈﻠﻮﻣًﺎ ، ﻓﺈﻧّﻪ ﻗﺪ ﺃﺭﺧﺺ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﻪ ، ﻭﺫﻟﻚ ﻗﻮﻟﻪ : ( ﺇِﻟّﺎ ﻣَﻦ ﻇُﻠِﻢَ ) ، ﻭﺇﻥ ﺻﺒﺮ ﻓﻬﻮ ﺧﻴﺮٌ ﻟﻪ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
ইবনে আব্বাস রাঃ উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ মাযলুম ব্যতীত কেউ কারো উপর বদদো'আ করতে আল্লাহ পচন্দ করেননা।তবে সর্বাবস্থায় ধর্য্য ধারণই উত্তম হবে।
মাযলুম যালিমের কাছ থেকে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত প্রতিশোধগ্রহণ করতে পারবে বা প্রতিশোধের অপেক্ষায় থাকতে পারবে এতে তার কোন প্রকার গুনাহ হবেনা।এ সম্পর্কে আরোও শুনুন আল্লাহর তা'আলার বাণী.....
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺻَﺎﺑَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺒَﻐْﻲُ ﻫُﻢْ ﻳَﻨﺘَﺼِﺮُﻭﻥَ
যারা আক্রান্ত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।(৪২সূরা আশ শূরা-৩৯)
ﻭَﺟَﺰَﺍﺀ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻣِّﺜْﻠُﻬَﺎ ﻓَﻤَﻦْ ﻋَﻔَﺎ ﻭَﺃَﺻْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ
আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন নাই।(৪২/৪০)
ﻭَﻟَﻤَﻦِ ﺍﻧْﺘَﺼَﺮَ ﺑَﻌْﺪَ ﻇُﻠْﻤِﻪِ ﻓَﺄُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦ ﺳَﺒِﻴْﻞٍ ، ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴﻞُ ﻋَﻠَﻰْ ﺍﻟّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻈْﻠِﻤُﻮﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻭَﻳَﺒْﻐُﻮﻥَ ﻓِﻲْ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟْﺤَﻖّ ، ﺃُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ
নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।(৪২/৪১-৪২)
যালিমের উপর যুলুমের দরুণ বদদোয়া হাদীসে এসেছে, যেমন
ﻭﻋﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺯﻳﺪ ﻋﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺯﻳْﺪٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥّ ﺃﺭﻭﻯ ( ﺍﺳﻢ ﺍﻣﺮﺃﺓ ) ﺧﺎﺻﻤﺘْﻪ ﻓﻲ ﺑﻌْﺾ ﺩﺍﺭﻩ ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺩﻋﻮﻫﺎ ﻭﺇﻳّﺎﻫﺎ ، ﻓﺈﻧّﻲ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ : ( ﻣﻦ ﺃﺧﺬ ﺷﺒْﺮًﺍ ﻣﻦ ﺍﻷﺭﺽ ﺑﻐﻴْﺮ ﺣﻘّﻪ ﻃﻮّﻗﻪ ﻓﻲ ﺳﺒﻊ ﺃﺭﺿﻴﻦ ﻳﻮْﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ) ، ﺍﻟﻠﻬﻢّ ﺇﻥ ﻛﺎﻧﺖ ﻛﺎﺫﺑﺔً ﻓﺄﻋﻢ ﺑﺼﺮﻫﺎ , ﻭﺍﺟﻌﻞْ ﻗﺒﺮﻫﺎ ﻓﻲ ﺩﺍﺭﻫﺎ ، ﻗﺎﻝ : ﻓﺮﺃﻳﺘﻬﺎ ﻋﻤﻴﺎﺀ ﺗﻠﺘﻤﺲ ﺍﻟﺠﺪﺭ ، ﺗﻘﻮﻝ : ﺃﺻﺎﺑﺘﻨﻲ ﺩﻋﻮﺓ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺯﻳﺪٍ ، ﻓﺒﻴﻨﻤﺎ ﻫﻲ ﺗﻤﺸﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﺪّﺍﺭ ، ﻣﺮّﺕ ﻋﻠﻰ ﺑﺌﺮٍ ﻓﻲ ﺍﻟﺪّﺍﺭ ﻓﻮﻗﻌﺖْ ﻓﻴﻬﺎ ﻓﻜﺎﻧﺖ ﻗﺒْﺮﻫﺎ . ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ ( 1610 ) .
হযরত সাঈদ ইবনে যায়েদ রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃযে আরওয়া নামী এক মহিলা একটি ঘর সম্পর্কে উনার সাথে অন্যায়ভাবে তর্কে উপস্থিত হল,তিনি উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃতাকে এবং তার দাবীকৃত ঘরকে ছেড়ে দাও, কেননা আমি নবী কারীম সাঃকে বলতে শুনেছি,যে যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমান জমি যুলুম করে নিবে,ক্বিয়ামতের দিন সাত জমিন তার গলায় বেড়ি বানিয়ে পড়িয়ে দেয়া হবে।অতঃপর তিনি বললেনঃ
হে আল্লাহ যদি সে মিথ্যুক হয় তাহলে তাকে অন্ধ করে দিন,এবং তার ক্ববরকে তার ঘরের পাশে রাখুন।রাবী বলেনঃআমি পরবর্তিতে উক্ত মহিলাকে অন্ধ অবস্থায় দেয়াল খুজতে দেখেছি,এবং সে প্রায় বলত সাঈদ ইবনে যায়েদের বদদোয়া আমার উপর লেগে গেছে,এরই মধ্যে সে হঠাৎ ঘরের অতি নিকটের একটি কুপে পড়ে মায় যায়,এবং তথায় তার ক্ববর হয়।
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨﻮﻭﻱ ﻓﻲ " ﺷﺮﺡ ﻣﺴﻠﻢ " ( 11/50 ) :
" ﻭﻓﻲ ﺣﺪﻳﺚ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺯﻳﺪٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺟﻮﺍﺯ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻈﺎﻟﻢ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
ﻭﺇﺫﺍ ﺩﻋﺎ ﺍﻟﻤﻈﻠﻮﻡ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﻪ ، ﻓﻼ ﻳﺘﻌﺪَّ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﺘﺠﺎﻭﺯْ ﻣﺎ ﺷﺮﻋﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ .
ইমাম নববী বলেনঃঅত্র হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে যালিমের উপর বদদো'আ করা বৈধ আছে,যখন দো'আয় কোনো প্রকার সীমালঙ্ঘন হবে না,এবং অবৈধ দু'আ হবেনা।
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﺍﻟﺒﺼﺮﻱ :
( ﻻ ﻳﺪﻉ ﻋﻠﻴﻪ ، ﻭﻟﻴﻘﻞ : ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﻋﻨّﻲ ﻋﻠﻴﻪ ، ﻭﺍﺳﺘﺨﺮﺝ ﺣﻘّﻲ ﻣﻨﻪ ) .
ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔٍ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ( ﻗﺪ ﺃﺭﺧﺺ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﻪ ، ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺃﻥ ﻳﻌﺘﺪﻱ ﻋﻠﻴﻪ ) ﺍﻧﺘﻬﻰ . " ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﻛﺜﻴﺮ " ( 1/572 )
ইমাম হাসান বসরী রাহ বলেনঃমাযলুম যালিমের উপর কখনো বদদু'আ করবেনা,বরং সে বলবেঃহে আল্লাহ তার কাছে থেকে আমার হক্বকে ফিরিয়ে দাও,কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায়,তিনি বলেনঃতার জন্য অনুমতি রয়েছে, সে যালিমের বিপক্ষে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত দু'আ করতে পারবে,(তাফসিরে ইবনে ক্বাসির, ১/৫৭২)
এই সমস্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যালিমের বিপক্ষে দু'আ করা ও আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক যুলুম এর প্রতিশোধের অপেক্ষা করা বৈধ আছে,এতে কোনো প্রকার গোনাহ হবেনা।তবে সর্বাবস্থায় ক্ষমা করে দেয়াই উত্তম চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।কেননা নবী কারীম সাঃ সর্বদাই ক্ষমা করে দিছেন যেমন হাদীস শরীফে এসেছে....
ﺻﻞ ﻣﻦ ﻗﻄﻌﻚ ﻭﺃﺣﺴﻦ ﺇﻟﻰ ﻣﻦ ﺃﺳﺎﺀ ﺇﻟﻴﻚ ﻭﻗﻞ ﺍﻟﺤﻖ ﻭﻟﻮ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻚ
হযরত আলী রাঃ থেকে বর্ণিত, তুমি সম্পর্ক স্থাপন কর তার সাথে যে তোমার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে,এবং সৎদ্ব্যবহার কর তার সাথে যে তোমার সাথে মন্দ ব্যবহার করেছে,এবং সত্য কথা বল যদিও তোমার নিজের বিরুদ্ধে হয়।
(জামে সগির-৪৯৮৭)
ﻭﻗﺪ ﺑﻮّﺏ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱّ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺤﻪ ( 2/864 ) :
ইমাম বুখারী রাহ ক্ষমা সম্পর্কে স্বতন্ত্র একটি অধ্যায় উনার অমর গ্রন্থ সহীহ বুখারী শরীফে প্রতিস্থাপন করে তথায় তিনি কয়েকটি আয়াত সংস্থাপন করেছেন।যেমনঃ-
" ﺑﺎﺏ ﻋﻔﻮ ﺍﻟﻤﻈﻠﻮﻡ ﻟﻘﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ( ﺇِﻥ ﺗُﺒْﺪُﻭﺍْ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﺃَﻭْ ﺗُﺨْﻔُﻮﻩُ ﺃَﻭْ ﺗَﻌْﻔُﻮﺍْ ﻋَﻦ ﺳُﻮَﺀٍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻔُﻮًّﺍ ﻗَﺪِﻳﺮًﺍ ) ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 149/ .
তোমরা যদি কল্যাণ কর প্রকাশ্যভাবে কিংবা গোপনে অথবা যদি তোমরা আপরাধ ক্ষমা করে দাও, তবে জেনে রাখ, আল্লাহ নিজেও ক্ষমাকারী, মহাশক্তিশালী। (সূরা নিসা-১৪৯)
ﻭَﺟَﺰَﺍﺀ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻣِّﺜْﻠُﻬَﺎ ﻓَﻤَﻦْ ﻋَﻔَﺎ ﻭَﺃَﺻْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ ) ﺍﻟﺸﻮﺭﻯ 40/ .
আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন না।(৪২/৪০)
ﻭَﻟَﻤَﻦ ﺻَﺒَﺮَ ﻭَﻏَﻔَﺮَ ﺇِﻥَّ ﺫَﻟِﻚَ ﻟَﻤِﻦْ ﻋَﺰْﻡِ ﺍﻟْﺄُﻣُﻮﺭِ ) ﺍﻟﺸﻮﺭﻯ 43/ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
অবশ্যই যে সবর করে ও ক্ষমা করে নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।(৪২/৪৩)
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ
ﻭﻗﺎﻝ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻳَﺎ ﻋُﻘﺒَﺔَ ﺑﻦَ ﻋَﺎﻣِﺮ : ﺻِﻞْ ﻣَﻦْ ﻗَﻄَﻌَﻚَ ، ﻭَﺃَﻋْﻂِ ﻣَﻦْ ﺣَﺮَﻣَﻚَ ، ﻭَﺍﻋْﻒُ ﻋَﻤَّﻦ ﻇَﻠَﻤَﻚَ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ ( 4/158 ) ﻭﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ " ﺍﻟﺴﻠﺴﻠﺔ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ" ( 891 )
হে উকবা তুমি সম্পর্ক স্থাপন কর তার সাথে যে তোমার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে,এবং দান কর তাকে যে তোমাকে বঞ্চিত করেছে,এবং মাফ করে দাও তাকে যে তোমার উপর যুলুম করেছে।
(মসনদে আহমদ-৪/১৫৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ধাক্কার পরিবর্তে ধাক্কা না দিয়ে তাকে ক্ষমা করে দেয়াই উত্তম।
(২) কাউকে সিজদা করলে তখনই সেটা শিরকে পরিণত হয়।
(৩) আপনার এ প্রশ্নটি বুঝিনি। কমেন্টে উল্লেখ করবেন।