আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
260 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
closed by
একটা ব্যাপারে কাকতালীয় ভাবে অনেক ঘটনা ঘটে যায় যা আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছিল যে আক ব্যাক্তি আমাকে জুলুম করছেন। আমি সরাসরি উনাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতে পারতাম, কিন্তু  কাকতালীয় ঘটনা গুলো এমন ভাবে ঘটেছিল যে আমার ঐ ব্যাক্তিকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতেও রুচি হচ্ছিল না। ২ মাস পরে এমন একটা ঘটনা ঘটলো যে আমি চূড়ান্ত ভাবে ধরেই নিলাম যে আমাকে উনি জেনে বুঝেই জুলুম করছেন। আমি আরে সহ্য করতে না পেরে এক শুক্রবার তাহাজ্জুদের নামাজে সিযদায় উনাকে বদদোয়া দিয়েছি। তার এক মাস পর জানতে পারলাম যে, যে বিষয়ে আমি অত্যাচারিত হচ্ছি তা আসলেই উনার ধারণায় ছিল না। পুরাই ওটা unintentional and coincidentally হয়ে গেছে। এখন আমি কি করতে পারি যেন বদদোয়া টা উনার উপরেও না পরে এবং আমার দিকেও ফিরে না আসতে পারে।
closed

1 Answer

+1 vote
by (712,400 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
ادْعُواْ رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لاَ يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি-মিনতি করে এবং সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না।(সূরা আরাফ-৫৫)

   ( لَا تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَلَا تَدْعُوا عَلَى أَوْلَادِكُمْ وَلَا تَدْعُوا عَلَى أَمْوَالِكُمْ لَا تُوَافِقُوا مِنْ اللَّهِ سَاعَةً يُسْأَلُ فِيهَا عَطَاءٌ فَيَسْتَجِيبُ لَكُمْ )
তোমরা নিজেদের উপর এবং নিজ সন্তানদের উপর এবং নিজ মালের উপর বদ-দুআ করবে না। কেননা কখন আল্লাহ কার কবুল করবেন সেটা বলা যায় না।(সহীহ মুসলিম-৩০১৪)

 أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ إِلَّا بِخَيْرٍ فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ يُؤَمِّنُونَ عَلَى مَا تَقُولُونَ ).
 তিনি বললেনঃ নিজেদের জন্য কল্যাণ কামনা ছাড়া তোমরা অযথা কিছু বলো না।কারণ তোমরা যা বলবে তার সাথে সাথে ফিরিশতারা আমীন বলবেন। (সুনানে আবু-দাউদ-৩১১৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই?বোন!
কেউ জুলুম করলে তাকেই ক্ষমা করে দেয়াই উত্তম। এটাই মূলত রাসূলুল্লাহ সা. এর সুন্নাহ।হ্যা অবশ্যই জুলুম পরিমাণ প্রতিশোধ বা বদ-দুআ করা যায়। তবে অতিরিক্ত প্রতিশোধ বা বদ-দুআ করা যাবে না। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُواْ بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُم بِهِ وَلَئِن صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَيْرٌ لِّلصَّابِرينَ
আর যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়। যদি সবর কর, তবে তা সবরকারীদের জন্যে উত্তম।(সূরা নাহল-১২৬)

আপনি অন্যায়ভাবে যার উপর বদ-দুআ করেছেন,তার উপর আপনার বদ-দুআ পতিত হবে না। কেননা আল্লাহ তা’আলা অন্যায় দুআকে কবুল করেন না।আপনি যে বদ-দুআ করেছেন, সে সেটার যোগ্য না হলে ,উক্ত বদ-দুআ উল্টো আপনার উপর পতিত হবে।তাই এ বদ-দুআর প্রভাব থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে।আল্লাহর কাছে তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে। আল্লাহ আপনাকে সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...