আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
300 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)
আমি টেইলারে প্যান্ট দুটি সেলাই করার সময় টাখনুর উপরে মাপ দিয়ে আসি *মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা পাকের* মহব্বতে, ভালোবাসায়।

(বি:দ্র: সব-ই গুরুত্বপূর্ণ তবে ৪ নাম্ভার বেশী লম্বা হলেও আল্লাহর ওয়াস্তে মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিবেন)

সেই প্যান্ট গুলি আজকে বাড়িতে আনলাম।
বাড়ির একজন আমার প্যান্ট দেখলেন এবং বললেন "এগুলো বেশী খাটো হয়ে গেছে। তাইলে আর জাংগী বানিয়ে নিলে না কেন?""

আমার প্যান্ট এত ছোট নয়।

টাখনুর উপর পর্যন্ত ঠিক-ই কিন্তু উপরের দিক দিয়ে নাভির নিচে মানে কোমর থেকে টাখনুর উপর পর্যন্ত মাপ এবং এরকমভাবে পরিধান করি আর শার্ট দ্বারা নাভি ঢাকা থাকে।  
কিন্তু আমার বাড়ীর ওই আত্নীয়ের এরকম কথায় ঈমান যাওয়ার আশংক আছে কি?

(বি:দ্র: উনি আমার আম্মা। উনি শরীয়ত এবং দুনিয়াবি জ্ঞানে অজ্ঞ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট, উনাকে আগেও বলেছি

"পুরুষদের টাখনুর নিচে প্যান্ট পড়া হারাম"। উনি জেনেছেন।
কিন্তু আজ এইরকম কথা, কিভাবে বললেন তা আমার জানা নেই।

অর্থাৎ মনের খবর তো একমাত্র আল্লাহ্ তা'য়ালা জানেন,আমরা তো আর না।

জানি না আমার আম্মা

১. মন থেকে ঘৃনা নিয়ে উপোরক্ত কথা বললেন?

২.না, হাসি টাট্রার ছলে বললেন?

৩.না, আজ যেই সময় বলেছেন,, ঠিক ওই সময় উনি ওই  টাখনুর নিচে কাপড় সম্পর্কিত নবী (সাঃ) এর হাদিস শারীফ ভুলে গিয়ে বলে ফেললেন?))

৪।  বিষয়টি লক্ষ্য করুন, আমি প্যান্ট-গুলি এখনো পড়ি নাই। বাহ্যিক দৃষ্টিতে শরীরে না পরিধান করে,হাতে নিয়ে প্যান্ট দেখতে  খাটো লাগে। কিন্তু আমি বাইরে মাপ নিয়ে মানে প্যান্ট যেভাবে পরিধান করি সেই ভাবে মাপ দিয়ে দেখেছি,,প্যান্ট গুলি (নাভির নিচে থেকে আমি কোমর থেকে প্যান্ট পরিধান করি,আর শার্ট দ্বারা নাভি ঢাকা থাকে)  টাখনুর উপরেই থাকে।
কিন্তু প্যান্টগুলি না পরিধান করলে বাহির থেকে দেখা যায় প্যান্টগুলি বর্তমান ছেলেরা যেভাবে প্যান্ট টাখনুর নিচে পরিধান করে সেই অনুপাতে খাটো দেখা যায় কিন্ত

আমার প্যান্ট কোমর থেকে টাখনুর উপর পর্যন্ত। বাহ্যিক দৃষ্টিতে খাটও লাগে। যদি আমি নাভির উপর থেকে টাখনুর উপর পর্যন্ত মাপ দিতাম এবং এইভাবে সেলাই করাতাম তাইলে মহান আল্লাহ্ তা'য়ালার হুকুম অইলে প্যানট লম্বা বলতে পুরো পুরি শরীয়ত সম্মত হতো। এবং আমি যদি নাভির উপর থেকে টাখন্য পর্যন্ত প্যান্ট এর মাপ দিয়ে প্যান্ট বানাতাম,তাইলে আল্লাহর হুকুম হইলে প্যান্ট দেখতে লম্বা দেখা যাইত সাথে সাথে আমার আম্মাও এই ধরনের কথা বলতেন না।

উক্ত কথার দ্বারা আমার আম্মার ঈমানে সমস্যা হবে কি?
(বি:দ্র: আমারোও একটি ভুল হয়েছে,,  আমি টাখনুর উপরে প্যান্ট তৈরী করলেও,, নাভির উপর থেকে মাপ দেই নাই, এজন্য আল্লাহর হুকুম হইলে প্যান্ট দেখতে খাটো লাগতাছে।  এখানে আমার ভুল ছিলো)

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাদীসে এসেছে,রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ﺛَﻼَﺛَﺔٌ ﻻَ ﻳُﻜَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﻳُﺰَﻛِّﻴﻬِﻢْ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ - ﺍﻟْﻤُﺴْﺒِﻞُ ( ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﺇﺯﺍﺭﻩ ) ﻭَﺍﻟْﻤَﻨَّﺎﻥُ [ ﻭﻓﻰ ﺭﻭﺍﻳﺔ : ﺍَﻟَّﺬِﻯْ ﻻَ ﻳُﻌْﻄِﻰْ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﺇِﻻَّ ﻣِﻨْﻪُ ] ﻭَﺍﻟْﻤُﻨَﻔِّﻖُ ﺳِﻠْﻌَﺘَﻪُ ﺑِﺎﻟْﺤَﻠِﻒِ ﺍﻟْﻜَﺎﺫِﺏِ –
তিন প্রকার লোকের সাথে আল্লাহ কেয়ামতের দিন কোনো কথা বলবেন না,এবং তাদের দিকে তাকাবেন মও না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
তারা হ’ল-
(১) টাখনুর নীচে কাপড় (অন্য বর্ণনায় লুঙ্গী) পরিধানকারী,
(২( খোঁটাদানকারী (অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে খোঁটা না দিয়ে কোন কিছু দান করে না) 
(৩) মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারী।(মুসলিম ১০৬ মিশকাত ২৭৯৫)

টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান সম্পর্কে তিনটি সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়।যথাঃ-(১)হারাম।(২)মাকরুহ(৩)মুবাহ

অহংকারের উদ্দেশ্যে হলে হারাম।
অহংকার ব্যতীত এমনিতেই টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান মাকরুহ।আর বে-খেয়ালে হলে মুবাহ।
تَقْصِيرُ الثِّيَابِ سُنَّةٌ وَإِسْبَالُ الْإِزَارِ وَالْقَمِيصِ بِدْعَةٌ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ الْإِزَارُ فَوْقَ الْكَعْبَيْنِ إلَى نِصْفِ السَّاقِ وَهَذَا فِي حَقِّ الرِّجَالِ، وَأَمَّا النِّسَاءُ فَيُرْخِينَ إزَارَهُنَّ أَسْفَلَ مِنْ إزَارِ الرِّجَالِ لِيَسْتُرَ ظَهْرَ قَدَمِهِنَّ. إسْبَالُ الرَّجُلِ إزَارَهُ أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ إنْ لَمْ يَكُنْ لِلْخُيَلَاءِ فَفِيهِ كَرَاهَةُ تَنْزِيهٍ، كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
মর্মার্থ- পরুষের জন্য অহংকার ব্যতীত টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা মাকরুহে তানযিহি।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৩৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার আম্মু যদি ইসলামের বিধানকে বিদ্রুপ করে এরকম বলেন, তাহলে উনার ঈমান চলে যাবে। আর যদি উনি এমনিতেই এটা বলে থাকেন, তাহলে তার ঈমান যাবে না। উনার নিয়ত কি ছিল, এটা যদি তিনি স্পষ্ট না বলেন, তাহলে উনার কথাকে ভালোর উপর ধরা হবে। তখন উনার ঈমান নষ্ট হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...