চাকরিস্থল থেকে Compulsory Provident Fund এ পূর্বে বেশ কিছু সুদ অর্জিত হয়েছে আমার নামে, যা প্রথম থেকেই আমার নিয়ত ছিল ভোগ না করে সওয়াবের আশা না রেখে দান করে দেবার। আলহামদুলিল্লাহ পরবর্তিতে আমি উক্ত Fund এর সুদ অর্জন বন্ধ করে দেই। তবে পূর্বে অর্জিত সুদ এখনও আছে যা চাকরী ছাড়ার সময় তুলতে পারব।
এদিকে, পরিচিত একজনকে জরুরী ভিত্তিতে ব্যাংক এর মাধ্যমে আমি কিছু টাকা ধার দেই, প্রায় ৫০০০০ টাকা। উক্ত মহিলা আমার প্রাইমারী স্কুলের ম্যাডাম ছিলেন এবং ছোটবেলা থেকেই আমাদের পরিচিত। আমার বাবা ওনাকে একসময় অনেক সাহায্য করেছিলেন চাকরী পাবার ক্ষেত্রে, যার কৃতজ্ঞতা উনি নিজেই বারবার বলছিলেন আমাদের। টাকা নেবার সময় অনুরোধ করেছিলেন কাউকে যেন না যানাই, এমনকি ওনার স্বামীকেও না। আমি কথা রাখি। তবে আমার কাছে ব্যাংক ট্রাস্ফার রেকর্ড এবং কল রেকর্ড রয়ে যায়।
উক্ত মহিলা সময়মত টাকা ফেরত না দিয়ে ফোন ধরা বন্ধ করে দেয়। ওনাদের বাড়ি অনেক দূরে (৬ ঘন্টার যাত্রা) হবার কারণে গিয়ে গিয়ে তাগাদা দেয়ার উপায়েও নেই। অন্য নাম্বার থেকে কল দিলে বলেন খানিক পরেই বিকাশে দিয়ে দেবেন, বলে আর দেন না। পরবর্তীতে ওনার বাড়ির কাছে একজনের থেকে খবর পাই যে ওনার স্বামী মেম্বার ইলেকশনে দারাচ্ছেন, তাই অনেক টাকা দরকার হচ্ছে। অনেকের থেকেই উনি এভাবে টাকা নিয়েছেন। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যদি আল্লাহ ওনাকে হেদায়েত প্রদান করেন।
চাকরী পরিবর্তন বা ছাড়ার সময়ে Provident fund এর উল্লেখ্য সুদসহ টাকা হাতে পাবার আগেই যদি উনি টাকা ফেরত দেন, তবে আমার নিয়ত হচ্ছে Provident fund এর সুদের সমপরিমাণ টাকা দান করে দেয়া। কিন্তু যদি উনি টাকা ফেরত না দেন, সেক্ষেত্রে কি আমি দানের নিয়তে থাকা উক্ত সুদের থেকে এই ঋণের সমপরিমাণ আমি নিজে খরচ করতে পারবো? পরে যদি ওই মহিলা টাকা ফেরত দেন, তবে তা দান করে দিলাম। করা যাবে এমন?