ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
وظاهر كلامهم أنه إذا لم يسجد فإنه يأثم بترك الواجب ولترك سجود السهو ثم اعلم أن الوجوب مقيد بما إذا كان الوقت صالحا حتى أن من عليه السهو في صلاة الصبح إذا لم يسجد حتى طلعت الشمس بعد السلام الأول سقط عنه السجود وكذا إذا سها في قضاء الفائتة فلم يسجد حتى احمرت وكذا في الجمعة إذا خرج وقتها وكل ما يمنع البناء إذا وجد بعد السلام يسقط السهو.
যদি কেউ সাহু সিজদা না দেয়, তাহলে সে ওয়াজিব তরক করার গোনাহে পতিত হবে। এবং সাহু সিজদা তরক করার গোনাহে পতিত হবে। জেনে রাখা ভালো যে, সাহু সিজদা ওয়াক্তের সাথে নির্দিষ্ট। যথক্ষণ ওয়াক্ত বাকী থাকবে, ততক্ষণ সাহু সিজদা দেওয়া যাবে। যদি কারো ফজরের নামাযে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়ে থাকে, আর সে যদি এমন সময় নামাযের সালাম ফিরায় যে, সূর্যোদয় হয়ে যায়, তাহলে সাহু সিজদা রহিত হয়ে যাবে। ঠিকতেমনি যদি কাযা নামায আদায়ের পর সূর্য উদয় বা অস্ত হয়ে যায়, তাহলে সাহু সিজদা রহিত হয়ে যাবে। এবং জুমুআর নামাযে ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে, সাহু সিজদা রহিত হয়ে যাবে। এবং নামাযের পর প্রত্যেক ঐ কাজ যা নামাযের প্রতিবন্ধক, তা করা হলে, সাহু সিজদা রহিত হয়ে যাবে। (বাহরুর রায়েক-২/৯৯)
(২) মোটামোটি ভাবে পরিতৃপ্ত হয়ে খাবার গ্রহণ খাবার করা মুবাহ।তবে এর চেয়ে বেশী পেঠভরে খাবার গ্রহণ করা হারাম।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي الفتاوى الهندية : الأكل على مراتب :
فرض : وهو ما يندفع به الهلاك ، فإن ترك الأكل والشرب حتى هلك فقد عصى .ومأجور عليه ، وهو ما زاد عليه ليتمكن من الصلاة قائما ، ويسهل عليه الصوم .ومباح ، وهو ما زاد على ذلك إلى الشبع لتزداد قوة البدن ولا أجر فيه ولا وزر ويحاسب عليه حسابا يسيرا إن كان من حل .وحرام ، وهو الأكل فوق الشبع إلا إذا قصد به التقوي على صوم الغد ، أو لئلا يستحي الضيف فلا بأس بأكله فوق الشبع .
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইফতার করার সময় পেট ভরে যাওয়ার পর আরো খাওয়া যদি আগামি দিনের রোযার শক্তি অর্জনের নিয়তে হয়ে থাকে, তাহলে জায়েয। নতুবা হারাম।