ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কেউ যদি সাবালক হয় এবং স্ত্রীর ভরণপোষণ দেয়ার মত সামর্থ্য তার থাকে। এবং বিয়ে না করলে হারামে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যেমন পরনারী নিয়ে কল্পনা-জল্পনা, অশ্লীল ভিডিও দেখা, ইত্যাদিতে লিপ্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তার উপর বিয়ে করা ফরয।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻣَﺴْﻌُﻮﺩٍ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ - ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -: «ﻳَﺎ ﻣَﻌْﺸَﺮَ اﻟﺸَّﺒَﺎﺏِ ﻣَﻦِ اﺳْﺘَﻄَﺎﻉَ ﻣِﻨْﻜُﻢُ اﻟْﺒَﺎءَﺓَ ﻓَﻠْﻴَﺘَﺰَﻭَّﺝْ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﺃَﻏَﺾُّ ﻟِﻠْﺒَﺼَﺮِ ﻭَﺃَﺣْﺼَﻦُ ﻟِﻠْﻔَﺮْﺝِ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﻌَﻠَﻴْﻪِ ﺑِﺎﻟﺼَّﻮْﻡِ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﻪُ ﻭِﺟَﺎءٌ» . ﻣُﺘَّﻔَﻖٌ ﻋَﻠَﻴْﻪِ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-হে যুবকদের দল!তোমিদের মধ্যে যাদের বিবাহের সামর্থ্য রয়েছে সে যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে তার জন্য চক্ষু ও লজ্জাস্থানের হেফাজতের মাধ্যম।আর যে বিয়ের সামর্থ্য রাখেনা সে যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা তার জন্য খাহেশাতকে নির্মূল করার মাধ্যম।(মিশকাতুল মাসাবিহ-৩০৮০)
মুল্লা আলী কারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা করতে যেয়ে বলেন-
ﻭَﻣَﻌْﻨَﺎﻫَﺎ اﻟْﺠِﻤَﺎﻉُ ﻣُﺸْﺘَﻖٌّ ﻣِﻦَ اﻟْﺒَﺎﻩِ اﻟْﻤُﻨْﺰَّﻝِ، ﺛُﻢَّ ﻗِﻴﻞَ ﻟِﻌَﻘْﺪِ اﻟﻨِّﻜَﺎﺡِ ﺑَﺎﻩٌ، ﻷَِﻥَّ ﻣَﻦْ ﺗَﺰَﻭُّﺝَ اﻣْﺮَﺃَﺓً ﺑَﻮَّﺃَﻫَﺎ ﻣَﻨْﺰِﻻً، ﻭَﻓِﻴﻪِ ﺣَﺬْﻑٌ ﻣُﻀَﺎﻑٌ ﺃَﻱْ: ﻣُﺆْﻧَﺔُ اﻟْﺒَﺎءَﺓِ ﻣِﻦَ اﻟْﻤَﻬْﺮِ ﻭَاﻟﻨَّﻔَﻘَﺔِ،
সামর্থ্যর ব্যখ্যা হল,সহবাসের সামর্থ্য থাকা
কেউ কেউ বলেন,বাসস্থান প্রদাণের সামর্থ্য থাকা
কেউ কেউ বলেন,এখানে কিছু একটা উহ্য রয়েছে,
অর্থাৎ মহর এবং নফক্বার সামর্থ্য থাকা।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোন ব্যক্তি যদি কোন হারাম সম্পর্কে না থাকে কিন্তু সে অশ্লীল জিনিস দেখে, হস্তমৈথুন করে তাহলেও তার উপর বিয়ে ফরজ
(১)
কোন ব্যক্তি যদি কোন হারাম সম্পর্কে না থাকে কিন্তু সে অশ্লীল জিনিস দেখে, হস্তমৈথুন করে। বয়স ১৭-১৮ হবে, সে তার বাবার উপার্জন এ চলে। কিন্ত বাবার উপার্জন হালাল না। যদি তার ফিতনায় জড়িত হওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে সে বর্তমানে রোযা রাখবে, এবং ভবিষ্যতে মহরের টাকা রোজগার করে সে বিয়ে করবে। তারপর উপর মহরের টাকা রোজগার করার পর বিয়ে করা ওয়াজিব।
(২)
ওই ব্যক্তি যদি পরে কোন টিউশনি করিয়ে টাকা পায় সেটা দিয়ে পড়াশোনার খরচ চালায় , তাহলে তার উপর মহরের টাকা রোজগার করার পূর্ব পর্যন্ত রোযা রাখা ফরয।
(৩)
বিয়ে যদি সে ব্যক্তির ওপর ফরজ ওয়াজিব কোনটা না হয় , তাহলে এমতাবস্থায় বিয়ে করা সুন্নত।
(৪)
কোনো নারীকে দেখে কামভাব জাগ্রত হলে বোঝা গেল সে কোনো একদিন ফিতনায় জড়িত হবে।
(৫)
বিয়ে ফরজ হওয়ার পর বিয়ে না করে পড়াশোনা করা কখনো উচিৎ হবে না। তবে হারামে জড়িত না হলে একেএক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না।