ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আছরের ফরয সালাত জামাতে আদায় করার সময় ইমামকে ২য় রাকাতে পেয়েছি। তারপর ৪র্থ রাকাত এর শেষ বৈঠকে থাকার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ইমামের শব্দ শুনতে পাইনি।
কেউ মুকাব্বির ও হননি। এমতাবস্থায় আমি সাধারণত ইমাম সাহেব তাশাহুদ, দুরুদ এবং দুয়া মাছুরা পড়তে যেটুকু সময় নেন, ততটুকু সময় চুপচাপ বসে থাকি এবং তারপর অবশিষ্ট
১ রাকাত পড়ার জন্য দাঁড়িয়ে যাই এবং এভাবে সালাত শেষ করি।
মুহতারাম আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে।
(২)
েইমামের সাথে নামায পড়া অবস্থায় মুসল্লির কোনো ভূল হলে এমন ভূল যার কারণে একা নামাযে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়ে থাকে, ইমাম সাহেবের সাথে হওয়ার সময় সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
(৩)
জবাবঃ-
নামাযে কেরাত সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- ৩৪৫।
প্রথম রা'কাতে সূরা ফিল তেলাওয়াতের পর,দ্বিতীয় রা'কাতে সূরা কুরাইশ তেলাওয়াত করতে হবে।ইচ্ছাকৃত এক সূরা মধ্যখানে ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী সূরা তেলাওয়াত মাকরুহ।এবং প্রথম রা'কাতে যে সূরা তেলাওয়াত করা হয়েছে,দ্বিতীয় রা'কাতে এর পূর্বের সূরা তেলাওয়াত করা মাকরুহ।ফরয নফল সকল নামাযের ক্ষেত্রে বিধান সমান নয়।বরং ফরয নামাযের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব।কিন্তু নফল নামাযের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব নয়।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
প্রমাণ
وَيُكْرَهُ الْفَصْلُ بِسُورَةٍ قَصِيرَةٍ وَأَنْ يَقْرَأَ مَنْكُوسًا إلَّا إذَا خَتَمَ فَيَقْرَأُ مِنْ الْبَقَرَةِ. وَفِي الْقُنْيَةِ قَرَأَ فِي الْأُولَى الْكَافِرُونَ وَفِي الثَّانِيَةِ – أَلَمْ تَرَ – أَوْ – تَبَّتْ – ثُمَّ ذَكَرَ يُتِمُّ وَقِيلَ يَقْطَعُ وَيَبْدَأُ،
وقال ابن عابدين الشامى رح: (قَوْلُهُ ثُمَّ ذَكَرَ يُتِمُّ) أَفَادَ أَنَّ التَّنْكِيسَ أَوْ الْفَصْلَ بِالْقَصِيرَةِ إنَّمَا يُكْرَهُ إذَا كَانَ عَنْ قَصْدٍ، فَلَوْ سَهْوًا فَلَا كَمَا فِي شَرْحِ الْمُنْيَةِ. (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة، فروع يجب الاستماع القراءت مطلقا-2/269)
قَرَأَ فِي الْأُولَى – {قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ} [الناس: 1]- أَعَادَهَا فِي الثَّانِيَةِ إنْ لَمْ يَخْتِمْ نَهْرٌ لِأَنَّ التَّكْرَارَ أَهْوَنُ مِنْ الْقِرَاءَةِ مَنْكُوسًا بَزَّازِيَّةٌ، (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة-2/268)
(৪)
পুরুষই আকামত দিবে এবং নামায পড়াবে। গায়রে মাহরাম মহিলা থাকলে মহিলার জন্য ওয়াজিব পর্দার সাথে নাময়ে দাড়ানো । একই রুমে পড়া যাবে, তবে গায়রে মাহরাম মহিলা পর্দা দিয়ে দাড়াবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/9571
(৫)
রোযার নিয়ত করে ফেলার পর, সাহরির সময় আরো বাকি থাকা শর্তে আবার কিছু খেয়ে তারপর আবার নিয়ত করা যাবে।