জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা একজন ১০ রাকাতের ইমামতি করবে,অপর জন মুক্তাদি হবে।
পরবর্তীতে ২য় জন ১০ রাকাতের ইমামতি করবে,আর ১ম জন মুক্তাদী হবে,এ পদ্ধতিতে নামাজের জামা'আত ছহীহ আছে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
এক্ষেত্রে মুক্তাদী যেহেতু একজন,তাই সে ইমামের ডান দিকে ইমামের বরাবর দাঁড়াবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন,
صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ ﷺ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ، فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ بِرَأْسِي مِنْ وَرَائِي، فَجَعَلَنِي عَنْ يَمِينِهِ، فَصَلَّى
একরাতে আমি নবী ﷺ–এর সঙ্গে নামায আদায় করতে গিয়ে তাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমার মাথার পেছনের দিক ধরে তাঁর ডানপাশে নিয়ে এলেন। তারপর নামায আদায় করলেন….। (বুখারী ৬৯০)
‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাছ হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন-
بِتُّ عِنْدَ خَالَتِي، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ، فَقُمْتُ أُصَلِّي مَعَهُ ، فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ ، فَأَخَذَ بِرَأْسِي فَأَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ.
অর্থ- একদা আমি আমার খালার (উম্মুল মু’মিনীন মাইমূনাহ এর) নিকট রাত্রি যাপন করি। রাছূলুল্লাহ 1 উঠে রাতের সালাত পড়তে লাগলেন, আমিও উঠে গেলাম তাঁর সাথে নামায পড়তে এবং গিয়ে তাঁর বাম পাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমার মাথায় ধরে (আমাকে তাঁর পিছন দিকে ঘুরিয়ে) ডান পাশে এনে দাঁড় করালেন।
(বুখারী মুসলিম)
,
দুজন জামাতে নামায পড়লে নিয়ম হল, মুক্তাদি ইমামের বরাবর দাঁড়াবে। আবদুল্লাহ বিন উতবা রাহ. বলেন, আমি দ্বিপ্রহরে হযরত উমর রা.-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তিনি নফল নামায পড়ছিলেন। তিনি আমাকে (নামাযের জন্য) তাঁর ডান পাশে তাঁর বরাবরে দাঁড় করালেন।
মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৩৮৮৮; আলআওসাত, হাদীস ১৯৫৫
,
ইবনে জুরাইজ রাহ. বলেন, আমি আতা রাহ.-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, দুজন জামাতে নামায পড়লে মুক্তাদি কোথায় দাঁড়াবে? উত্তরে তিনি বললেন, মুক্তাদিও ইমামের ডান পাশে এভাবে দাঁড়াবে। আমি বললাম, সে কি ইমামের সাথে একেবারে এমনভাবে দাঁড়াবে যেন ইমামের আগে-পিছে না হয়। তিনি বললেন, হ্যাঁ। মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক,হাদীস ৩৮৭০
এ সম্পর্কিত বর্ণনার ভিত্তিতে ফিকহবিদগণ বলেছেন যে, মুক্তাদী একজন হলে ইমামের ডান পাশে ইমামের বরাবর দাঁড়াবে। তবে কোনো মুক্তাদীর যদি ইমামের বরাবর দাঁড়ালে আগে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে সে কিছুটা পিছিয়ে দাঁড়াতে পারে। যাতে ইমামের আগে বেড়ে যাওয়ার কারণে তার নামায ফাসেদ না হয়ে যায়।
(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৩৮৮৮, ৩৮৭০; মাবসূত, সারাখসী ১/৪৩; আদ্দুররুল মুখতার ১/৬৫৫; রদ্দুল মুহতার ১/৫৬৭; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৫২; আলমুহীতুল বুরহানী ২/২০১; ইলাউস সুনান ৪/২৪৬)