জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজ আদায় করা বা না করার সাথে রোযা পূর্ণ হওয়া না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
দুটি আলাদা বিষয়।
,
★সুতরাং রমজানে রোজা রাখা অবস্থায় সালাত আদায় না করলে রোজা হবে।
এতে রোযার সমস্যা হবেনা।
তবে নামাজ আদায় না করার কারনে আখেরাতে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
(০২)
ভিডিও দেখা নিয়ে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেনঃ
তাসবীর বা ফটো নাজায়েজ ,তাই ভিডিও দেখাও নাজায়েজ।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.)থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,যারা ফটো বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে জীবন দাও।[সহীহ বুখারী-৫৯৫১]
বিস্তারিত জানুন-২২৫৩
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরয়ী বিশেষ জরুরত ব্যতীত ছবি ভিডিও সম্পূর্ণই হারাম ও নাজায়েয।
মু'মিন একটি মুহুর্তও অযথা কাটাবে না।বরং সর্বদাই আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকবে।নামায পড়বে,কুরআন তিলাওয়াত করবে,নয়তো যিকির করবে।যদি ইবাদত করতে করতে মন ক্লান্ত হয়ে যায়,তখন মনকে উৎফুল্ল করতে বৈধ বিনোধনের ব্যবস্থা শরীয়তে রয়েছে।.
,
.
★তবে অন্যান্য উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যেঃ
যে সকল দৃশ্য বাস্তবে দেখা নাজায়েয, সেগুলো ভিডিওতে দেখা নাজায়েয। আর যে সকল দৃশ্য বাস্তবে দেখা জায়েয, সেগুলো ভিডিওতে দেখা জায়েয।
হাদীস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
.ثلاثة لا ترى أعينهم النار : عين حرست في سبيل الله ، وعين بكت من خشية الله ، وعين غضت عن محارم الله
তিন শ্রেণীর লোক যাদের চোখ জাহান্নাম দেখবে না। যে চোখ আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দিয়েছে। যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কেঁদেছে। যে চোখ আল্লাহর নিষিদ্ধ স্থান থেকে বিরত থেকেছে। (তাবরানি: ১০০৩)
অপর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
اَلْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظْرُ وَالْاُذُنَانِ زِنَاهُمَا الْاِسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُمَا الْكَلَامُ وَالْيَدُ زِنَاهُمَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهُمَا الخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوِىْ وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذَالِكَ الْفَرْجُ اَوْ يُكَذِّبُه
দুই চোখের ব্যভিচার হল হারাম দৃষ্টি দেয়া, দুই কানের ব্যভিচার হল পরনারীর কণ্ঠস্বর শোনা, জিহবার ব্যভিচার হল, [পরনারীর সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের ব্যভিচার হল পরনারী স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হল গুনাহর কাজের দিকে পা বাড়ান, অন্তরের ব্যভিচার হল কামনা-বাসনা আর গুপ্তাঙ্গঁ তা সত্য অথবা মিথ্যায় পরিণত করে। (সহীহ মুসলিম ২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ ৮৯৩২)
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং যদি মহিলাদের ছবি না থাকে,মিউজিক না থাকে,তাহলে তা দেখা যাবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মিউজিক শোনার গুনাহ হবে।
মিউজিক পরবর্তী যেই শিক্ষা গ্রহন করেছেন,সেখানে যেহেতু মিউজিক ছিলোনা,তাই শিক্ষা গ্রহন হারাম হবেনা।
,
(০৩)
এটি জায়েজ আছে।
এটি গায়েবের অন্তর্ভুক্ত নয়।
আরো জানুনঃ
,
(০৪)
এসব নাজায়েজ নয়।