আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,069 views
in সালাত(Prayer) by (23 points)
জামাতে বিতরের নামাজের সময় ঘুম পেয়ে যায়। ইমাম সাহেব রুকুতে যাওয়ার জন্য তাকবির দিলে ঘুম ভাঙে। ফলে দোয়া কুনুত পড়া হয়নি। এমতাবস্থায় কি নামাজ আবার পড়তে হবে? যেহেতু জামাতে পড়া হয়েছে তাই সাহু সিজদা দেয়া হয়নি

1 Answer

0 votes
by (572,970 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো মুক্তাদীর এমন ভুল যার দ্বারা নামায ভঙ্গ হয় না, এমন কোন কাজ ইমামের পিছনে মুক্তাদী করলে এতে মুক্তাদীর উপর কোন কিছু যথা সাহু সেজদা আবশ্যক হয় না। বরং তার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যায়।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা দোয়ায়ে কুনুত না পড়া যেহেতু নামাজ ভঙ্গের কারন  নয়,তাই এতে মুক্তাদির উপর  কোন কিছু যথা সাহু সেজদা আবশ্যক হয় না। বরং তার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যায়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় আর আদায় করতে হবেনা। 
 
فَأَمَّا الْمُقْتَدِي إذَا سَهَا فِي صَلَاتِهِ فَلَا سَهْوَ عَلَيْهِ؛ لِأَنَّهُ لَا يُمْكِنُهُ السُّجُودُ؛ لِأَنَّهُ إنْ سَجَدَ قَبْلَ السَّلَامِ كَانَ مُخَالِفًا لِلْإِمَامِ، وَإِنْ أَخَّرَهُ إلَى مَا بَعْدَ سَلَامِ الْإِمَامِ يَخْرُجُ مِنْ الصَّلَاةِ بِسَلَامِ الْإِمَامِ؛ لِأَنَّهُ سَلَامُ عَمْدٍ مِمَّنْ لَا سَهْوَ عَلَيْهِ، فَكَانَ سَهْوُهُ فِيمَا يَرْجِعُ إلَى السُّجُودِ مُلْحَقًا بِالْعَدَمِ لِتَعَذُّرِ السُّجُودِ عَلَيْهِ، فَسَقَطَ السُّجُودُ عَنْهُ أَصْلًا، (بدائع الصنائع، كتاب الصلاة، فصل وَأَمَّا بَيَانُ مَنْ يَجِبُ عَلَيْهِ سُجُودُ السَّهْوِ وَمَنْ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ-1/175، الفتاوى الهندية-1/128، رد المحتار-2/82)
সারমর্মঃ
যদি মুক্তাদি নামাজের ভিতর কোনো ভুল করে,তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
কেননা তার জন্য সেজদায়ে সাহু আদায় করার কোনো ইমকান, সুযোগ নেই।    
কেননা যদি সে ইমামের সালামের আগেই সালাম ফিরায়,তাহলে ইমের মুখালিফ তথা বিরোধিতা হলো।
যদি ইমামের সাথে সালাম ফিরানোর পর সেজদায়ে সাহু আদায় করে,তাহলে সে তো ইমামের সাথে নামাজ থেকে বের হয়ে গিয়েছে,,,,,  

,
জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়া অবস্থায় মুক্তাদির নিজস্ব ভুলের কারণে ইমাম-মুক্তাদি কারও ওপরই সাহু সিজদা ওয়াজিব হয় না। তাই ভুলে দাঁড়িয়ে গেলেও আপনাদের ওপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়নি। সুতরাং ইমামের সঙ্গে সালাম ফেরানো ঠিক হয়েছে।

★হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ هَارُونَ بْنِ رُسْتُمَ السَّقَطِيُّ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ أَبُو يَحْيَى الْعَطَّارُ ، ثَنَا شَبَابَةُ ، ثَنَا خَارِجَةُ بْنُ مُصْعَبٍ عَنْ أَبِي الْحُسَيْنِ الْمَدِينِيِّ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " لَيْسَ عَلَى مَنْ خَلْفَ الْإِمَامِ سَهْوٌ ، فَإِنْ سَهَا الْإِمَامُ فَعَلَيْهِ وَعَلَى مَنْ خَلْفَهُ السَّهْوُ ، وَإِنْ سَهَا مَنْ خَلْفَ الْإِمَامِ فَلَيْسَ عَلَيْهِ سَهْوٌ والْإِمَامُ كَافِيهِ 

আলী ইবনুল হাসান ইবনে হারূন ইবনে রুসতাম আস-সাকাতী (রহঃ) ... উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে নামায পড়ে তার উপর সাহু সিজদা নেই। ইমাম ভুল করলে ইমাম ও মোকতাদী উভয়কে সাহু সিজদা করতে হবে। মোকতাদী ভুল করলে তার জন্য সাহু সিজদা নেই, ইমামই তার জন্য যথেষ্ট।
(সুনানে দারা কুতনি ১৩৮৩,বাইহাকী ২/৩৫২)

বিখ্যাত তাবেয়ি ইবরাহিম নাখায়ি (রহ.) বলেন, ‘তুমি যদি ইমামের পেছনে ভুল কর, কিন্তু ইমাম কোনো ভুল না করে, তা হলে তোমার ওপর সাহু সিজদা নেই। আর ইমাম ভুল করলে তোমার ভুল না হলেও ইমামের সঙ্গে তোমাকে সাহু সিজদা করতে হবে।’ 

(কিতাবুল আসার, ইমাম আবু ইউসুফ, বর্ণনা : ১৮৭; কিতাবুল আসল : ১/৯৭; বাদায়েউস সানায়ে : ১/৪২০; ফাতহুল কাদির : ১/৪৪৩; শরহুল মুনয়া : পৃ. ৪৬৪; তাবয়িনুল হাকায়েক : ১/৪৭৮; রদ্দুল মুহতার : ২/৮২)
,
★★সুতরাং  প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার  নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় আর আদায় করতে হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 363 views
...