আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in সাওম (Fasting) by (11 points)
মুখে অ্যালোভেরা জেল ও টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে লাগিয়েছিলাম। টি ট্রি অয়েল এর গন্ধ খুব তীব্র। গন্ধ নাকে ঢুকে মুখেও কিছুটা এর নির্যাস চলে গিয়েছে। এটা সম্পুর্ন অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে।এখন প্রশ্ন হচ্ছে রোজা কি ভেঙে গেছে?

রোজা রাখা অবস্থায় এই ধরনের কসমেটিক্স ব্যবহার করা কি বৈধ?

1 Answer

0 votes
by (588,780 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ডা.নিশাত তাম্মিম লিখেন,
বাহির থেকে কোনো বস্তু দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর রোযা ভঙ্গ হবে কি না? এ সম্পর্কে মূলনীতিঃ
এ ব্যাপারে ফকিহগণ একমত যে,ততক্ষণ পর্যন্ত রোযা ভঙ্গ হবে না,যতক্ষণ না পাঁচটি বস্তু একত্রিত হচ্ছে।অর্থাৎ কোন বস্তু দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেই রোযা ভঙ্গ হয়না ,যে পর্যন্ত নিন্মোল্লিখিত পাঁচটি জিনিষ পাওয়া যাচ্ছে।
হানাফী ফিক্বহের উসূল-
১। বস্তুকণার বৈশিষ্ট্যঃ দৃশ্যমান হওয়া, ছোট-বড়, পুষ্টিকর-অপুষ্টিকর যাই হোক।
২। গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিঃ গন্তব্যে স্থায়ীভাবে অবস্থান করা।(বাদায়ে সানায়ে-২/২২৭)
৩। বস্তুকণার প্রবেশপথঃ মুখ, নাক, মলদ্বার। (চোখ, কান, মূত্রনালী, যোনীপথ, ত্বক, লোমকূপ ইত্যাদি গ্রহণোযগ্য প্রবেশপথ নয়।
৪। বস্তুকণার গন্তব্যঃ গলা, পাকস্থলী, অন্ত্র। (ইতোপুর্বে মস্তিষ্ককেও অন্তর্ভুক্ত করা হতো, কিন্তু পরবর্তীতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে জানা গিয়েছে যে, খাবার সরাসরি মস্তিষ্কে পৌঁছে না, তাই এটিকে গন্তব্য থেক বাদ দেয়া হয়েছে।)
৫। প্রতিবন্ধকঃ ভুলে অথবা আধিক্যের কারণে বস্তুকণা প্রবেশ করলে রোযা ফাসিদ হবে না। যেমন- কেউ ভুলে কোন ঔষধ খেয়ে ফেললো কিংবা ধোয়া ও ধূলাবালির আধিক্যের কারণে তা নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করলো,তাহলে এমতাবস্থায় রোযা ভঙ্গ হবে না।
সাউদী স্থায়ী কমিটির ফতোয়ার মূলনীতি-
১। দৃশ্যমান বস্তুকণা মুখ অথবা নাক দিয়ে প্রবেশ করে পাকস্থলীতে পৌঁছা। অবস্থান করা জরুরী নয় (ইমাম আহমাদ, ইমাম মালিক, ইমাম শাফেঈ রহ.)।
২। শক্তিবর্ধক বা পুষ্টিকর বস্তু যেকোন পথে প্রবেশ করিয়ে দেহের শক্তিবর্ধন করা হলে (যেমন- শিরাপথে স্যালাইন), কিংবা শক্তিবর্ধক বস্তু ইচ্ছাকৃতভাবে দেহ থেকে অধিক পরিমাণে বের করে শক্তি হ্রাস করা হলে। যেমন- হিজামা, রক্তদান ইত্যাদি। । (ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ.)
৩। প্রতিবন্ধকঃ ভুলে, অনিচ্ছায়, বাধ্য হয়ে, না জানার কারণে বস্তুকণা প্রবেশ করলে রোযা ফাসিদ হবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

রোযাবস্থায় ভেসেলিন বা লিজেল ব্যবহার করাতে কোনো সমস্যা নাই। কেননা তা সাধারণত গলা দিয়ে পাকস্থলীতে গিয়ে প্রবেশ করে না।তবে হ্যা যদি তা এত অধিক পরিমাণে হয় যে, তা মূখের লালার সাথে মিলিত হয়ে আধিক্যতার সাথে পাকস্থলীতে গিয়ে প্রবেশ করে, তাহলে তখন রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
ঠিক তেমনিভাবে নামাযেও কোনো সমস্যা হবে না।তবে লালার চেয়ে ভেসেলিনের আধিক্য থাকলে এবং গিলে ফেললে তখন নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
وَلَوْ ابْتَلَعَ دَمًا بَيْنَ أَسْنَانِهِ لَمْ تَفْسُدْ إذَا كَانَتْ الْغَلَبَةُ لِلرِّيقِ. كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
যদি দাতের মাড়ি থেকে রক্ত নির্গত হয়ে লালার সাথে মিলিত হয়ে যায় এবং গিলে ফলে তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত নামায ফাসিদ হবে না যতক্ষণ লালার আধিক্য থাকবে।(ফাতাওয়ায়ে হহিন্দিয়া-১/১০২) আল্লাহ-ই ভালো জানেন।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1199


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 201 views
0 votes
1 answer 166 views
...