নফল নামাজের মধ্যে অন্যতমগুলো হলোঃ
★তাহাজ্জুদ নামাজ।
তাহাজ্জুদ অর্থ ঘুম থেকে জাগা আর তাহাজ্জুদের সময় হলো ইশার নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে তারপর অর্ধেক রাতের পর নামাজ আদায় করা। সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত থাকে। গভীর রাতে ঘুম থেকে জেগে নামাজ আদায়ে সাওয়াব বেশি।
,
তবে যে ব্যাক্তির পক্ষে শেষ রাতে জাগে উঠা মুশকিল বা কষ্টকর হয়,সে ঈশার নামাজের পরেউ তাহাজ্জুদ পড়ে নিলে ছওয়াব পাবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত শেষ হয় ফজরের ওয়াক্ত আসলে,অর্থাৎ সুবহে সাদিক হলে।
ফজরের আজান এখানে ধর্তব্য নয়,বরং সুবহে সাদিক হওয়াটাই মুল বিষয়।
ইসলামী ফাউন্ডেশন বা নির্ভরযোগ্য যেকোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সময় নির্ধারণী ক্যালেন্ডার অনুপাতেই আমভাবে আমল করা হয় পুরো বাংলাদেশে।
তাই সেটা দেখে তাহাজ্জুদের শেষ ওয়াক্ত নির্ধারন করতে হবে।
ফজরের নামাজের ওয়াক্ত আরম্ভ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত। সাহরির সময় শেষ হলে তথা ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলে তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত শেষ হয়।
আরো জানুনঃ
★ইশরাক নামাজ।
,
হাদীস শরীফে
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو ظِلاَلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ " . قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَامَّةٍ تَامَّةٍ تَامَّةٍ " .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআতে আদায় করে, তারপর সূর্য উঠা পর্যন্ত বসে বসে আল্লাহ তা'আলার যিকর করে, তারপর দুই রাকাআত নামায আদায় করে- তার জন্য একটি হাজ্জ ও একটি উমরার সাওয়াব রয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পূর্ণ, পূর্ণ, পূর্ণ (হাজ্জ ও উমরার সাওয়াব)।
হাসান। তিরমিজি ৫৮৬ তা’লীকুর রাগীব- (১/১৬৪, ১৬৫), মিশকাত- (৯৭১)।
,
★চাশত,দোহা এর নামাজ।
চাশত তথা দোহার নামাজ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ
হযরত আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أنس بن مالك، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من صلى الضحى ثنتي عشرة ركعة بنى الله له قصرا من ذهب في الجنة.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি চাশতের ১২রা'কাত নামায পড়বে,আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে স্বর্ণের একটি প্রসাদ নির্মাণ করে দেবেন।(সুনানু তিরমিযি-৪৭৩)
,
ইমাম গাযযালী রাহ,বলেন,ইশরাকের নামায ঐ সময় পড়া হবে,যখন সূর্য এক নে'যা পরিমাণ উচুতে উঠবে।আর দিনের এক চতুর্থাংশ চলে যাবার পর চাশতের নামায পড়া হবে।(এহইয়াউল উলূম-১/১৯৭)
সহজ কথায়,সূর্যোদয়ের পর মাকরুহ ওয়াক্ত অতিবাহিত হওয়ার পর যেকেনো মূহুর্তে ইশরাকের নামায পড়া যাবে।আর সূর্যোদয় এবং যাওয়ালের ঠিক মধ্যবর্তী সময়-ই চাশতের নামাযের জন্য উত্তম।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★আওয়াবিনের নামাজ।
মাগরিবের নামাজের পর আওয়াবিন নামাজ সংক্রান্ত জানুনঃ
,
★আছর আর ঈশার নামাজের আগে চার রাকাত সুন্নাকে গায়রে মুয়াক্কাদা নামাজ।
অনেকে এটাকে নফলও বলে।
,
★তাহিয়্যাতুল মসজিদ তথা দুখুলুল মসজিদ এর নামাজ।
মসজিদে প্রবেশের পর বসার পূর্বেই দুই রাকাত নফল পড়া।
,
★তাহিয়্যাতুল অযু।
অযু করার পর অঙ্গ শুকানোর পূর্বেই দুই রাকাত নফল পড়া।
,
★ছলাতুল হাজতঃ
নিজের প্রয়োজনীয় বৈধ কোনো কিছু চাওয়ার জন্য ২/৪ রাকাত ছলাতুল হাজত নামাজ পড়া যাবে।
,
★ইস্তেখারার নামাজ।
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/1472/
★যাওয়ালের নামাজ সম্পর্কে বলা যায় যে, এই নামায সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে,
তবে বিশুদ্ধ মত হল, হাদীসে যাওয়ালের যে নামাযের কথা বর্ণিত রয়েছে, সেটা দ্বারা যোহরের ফরযের পূর্বের চার রাকাত সুন্নাত নামাযের কথাই বিবৃত হয়েছে।
বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/1001/
তবে নিষিদ্ধ সময়ে কোনো নামাজ পড়া যাবেনা।
,
নিষিদ্ধ সময় সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ