মুসাফির যদি ৭৮ কিলোমিটার কোথাও ১৫ দিনের চেয়ে কম থাকার নিয়তে সফর,তার জন্য যোহর আসর ও ইশার ফরয নামায দুই রাকাত পড়া (কসর) ওয়াজিব।
আয়েশা রাযি. বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ
মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)
অপর হাদিসে এসেছে,
عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)
যদি কেহ পনেরো দিন বা তার চেয়ে বেশি থাকার নিয়ত না করে,বরং আজ কাল যেকোনো মুহুর্তে তার চলে যেতে হবে,এমনটি যদি হয়,তাহলে তিনি এই অবস্থায় যতদিন এখানে থাকবেন,মুসাফির হিসেবে কসরের নামাজ আদায় করবে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
أو دخل بلدة ولم ينوها) أي مدة الإقامة (بل ترقب السفر) غدا أو بعده (ولو بقي) على ذلك (سنين) إلا أن يعلم تأخر القافلة نصف شهر كما مر.
(قوله: أو دخل بلدة) أي لقضاء حاجة أو انتظار رفقة.
(قوله: ولم ينوها) وكذا إذا نواها وهو مترقب للسفر كما في البحر لأن حالته تنافي عزيمته."
(باب صلوة المسافر، ج:2، ص:126، ط:ایچ ایم سعید)
সারমর্মঃ
যদি এমন হয় যে কাল চলে যাবো বা পরশু চলে যাবো,নিয়ত যদি নির্দিষ্ট না থাকে, এইভাবে যদি দুই বছরও,তাহলেই ব্যাক্তি কসর করবে।
তারাবীহ নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
মুসাফির যদি নিরাপদ স্থানে নিরাপত্তার সাথে থাকে,সময় সুযোগ থাকলে তার জন্য তারাবিহ নামাজ পরাই উচিত।
সফর অবস্থায় সুন্নাত নামাজ আদায়ের বিধান
কোনো জায়গায় ১৫ দিন বা ততধিক অবস্থানের নিয়ত করলে সে সেখানে মুকিম হয়ে যাবে। সেখান থেকে সামানা-পত্রসহ প্রস্থানের আগ পর্যন্ত সেখানে পূর্ণ নামাজ পড়বে এবং মুকিমের বিধান জারি থাকবে- (বাদায়েউস সানায়ে ১/১০৪)।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যেহেতু অনেকটা শিউর যে ১৫ দিনের বেশি থাকা লাগবে,তাই এক্ষেত্রে শরীয়ত আপনাকে কসর নামাজ পড়ার অনুমতি দিবেনা।
আপনি মুকিমের হুকুমে।
১৪ তম দিন থেকে নয়,বরং শুরু থেকেই আপনার পূর্ণ নামাজ পড়তে হবে।
,
আপনাকে পূর্ণ তারাবিহ আদায় করতে হবে।
নতুবা গুনাহগার হবেন।
,
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গড়গড়িয়ে কুলি করা যাবেনা।
নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌছানো যাবেনা।
গোসলের মাঝে গড় গড়িয়ে কুলি করা ও নাকের গভীর পর্যন্ত পানি পৌঁছানো ফরজ নয়। বরং সুন্নত। তাই রোযা রাখা অবস্থায় যেহেতু গড়গড়া করে কুলি করলেও নাকের গভীরের নরম স্থানে পানি পৌছানোতে ভিতরে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গড়গড়া ও নাকের নরম স্থানে পানি পৌছানোতে বেশি চেষ্টা করা প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিকভাবে কুলি ও নাকে পানি দিবে।
,
قوله: “غسل الفم والأنف” أي بدون مبالغة فيهما فإنها سنة فيه على المعتمد (طحطاوى على مراقى الفلاح، كتاب الطهارة، فصل بيان فرائض الغسل–102
গ্রহণযোগ্য মত অনুসারে গোসলের মধ্যে গরগরাইয়া কুলি ও নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌছানো সুন্নাত।