জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো নির্দিষ্ট ভাবে কোনও ব্যক্তির উপর অভিশাপ দেওয়া জায়েজ নেই-চাই সে মুসলিম হোক অথবা অমুসলিম হোক।
কেননা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
سَالِمٌ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرُّكُوْعِ فِي الرَّكْعَةِ الْآخِرَةِ مِنَ الْفَجْرِ يَقُوْلُ : اللهُمَّ الْعَنْ فُلَانًا وَفُلَانًا وَفُلَانًا بَعْدَ مَا يَقُوْلُ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ فَأَنْزَلَ اللهُ {لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ} إِلَى قَوْلِهِ {فَإِنَّهُمْ ظَالِمُوْنَ} رَوَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ رَاشِدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ.
সালিম (রহ.) থেকে বর্ণিত, তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে শুনেছেন যে, তিনি ফজরের সলাতের শেষ রাকআতে রুকু থেকে মাথা তুলে ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ্ (আল্লাহ তাঁর প্রশংসাকারীর প্রশংসা শোনেন। হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার জন্য সমস্ত প্রশংসা)’, ‘রব্বানা ওয়ালাকাল হামদ’ বলার পর এটা বলতেনঃ হে আল্লাহ! অমুক, অমুক এবং অমুককে লানত করুন। তখন আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ ….. فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ “তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদের শাস্তি দিবেন, এ বিষয়ে তোমার করণীয় কিছুই নেই। কারণ তারা জালিম।”(সূরা আলু ‘ইমরান ৩/১২৮)
[সহিহ বুখারী, অধ্যায়: তাফসীর, অনুচ্ছেদ: আল্লাহর বাণীঃ এই বিষয়ে আপনার করণীয় কিছুই নেই।]
এ হাদিস থেকে জানা গেল, আল্লাহ তাআলা নির্দিষ্টভাবে কোন কাফিরকেও অভিশাপ দেয়ার অনুমতি দেন নি।
,
আরো জানুনঃ
,
,
পিতামাতার জন্য রাগের অবস্থা সন্তানদের বদ দুয়া,অভিশাপ দেওয়া উচিত নয়।
কারন কোন সময় যে আল্লাহ তায়ালা সেসব বদ দুয়া কবুল করে নিবেন,তাহা কেহই বলতে পারেনা।
এমনও হতে পারে যে পিতা মাতা বুঝে না বুঝে অযথাই সন্তানের জন্য বদ দুয়া করলো, আল্লাহ তায়ালা তা পুরোপুরি ভাবে কবুল করে নিলো,তখন এটা সন্তানের জন্য শাস্তির কারন হয়ে দাড়াবে।
বিষয়টি পিতামাতাকে বুঝানো দরকার।
উভয় পক্ষ থেকেই চেষ্টা করা দরকার,যে এই অবস্থায় যেনো পৌছাতে না হয়।
পিতা মাতা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এহেন কথা না বলার,আর সন্তান চেষ্টা করবে,এমন কোনো কাজ না করার,যাতে পিতা মাতা কষ্ট পায়।
(কিতাবুল ফাতওয়া ৬/২১৪)
,
★মায়ের অভিশাপ আল্লাহ তায়ালা অনেক সময়েই কবুল করে থাকেন তাই সন্তানের জন্য এমন কাজ না করা উচিত,যার কারনে পিতা মাতা সন্তানকে অভিশাপ দেয়।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মায়ের এহেন অভিশাপ করা জায়েজ নয়,এতে তিনি গুনাহগার হবেনা।
তবে যেহেতু উক্ত অভিশাপ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই আপনি সতর্কতা অবলম্বন করে তার সাথে ব্যবহার করবেন।
তিনি রেগে যান,এমন কোনো কাজ না করার চেষ্টা করবেন।
তবে তার আদেশ মানতে গিয়ে শরীয়তের খেলাফ কাজ করা জায়েজ হবেনা।
হাদীসে বলা হয়েছে যে, ((لا طَاعَةَ لِمَخْلُوْقٍ فِي مَعْصِيَةِ الخَالِقِ)) ‘‘আল্লাহর অবাধ্যাচরণে কোন সৃষ্টির আনুগত্য নেই।’’ (মিশকাত ৩৬৯৬, আল্লামা আলবানী রহঃ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
মুসলিম শরীফের বর্ণনায় এসেছে, ‘‘আল্লাহর অবাধ্যতায় কোন আনুগত্য নেই।’’ (মুসলিম ১৮৪০নং)
,
বুখারীর বর্ণনায় এসেছে, ((إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي المَعْرُوْفِ)) ‘‘আনুগত্য হবে কেবল ভালো কাজে।’’ (বুখারী ৭১৪৫)