আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
428 views
in সালাত(Prayer) by (100 points)
closed by
১.অনেকগুলো বছর ফজরের সালাত আদায় করা হয়নি,হিসাব্বে বাইরে। সেগুলোর কাযা আদায় করতে হবে। আমি কি ফজরের সালাতের কাযা টা যোহরের বা আসরের বা অন্য কোনো সালাতের ওয়াক্তে আদায় করতে পারি? অনুরুপভাবে বাদবাকি ওয়াক্তের সালাত ও এক ওয়াক্তের উমরি কাযা অন্য ওয়াক্তে নিয়ত করে আদায় করতে পারি?


২। উমরি কাযা সালাত আদায়ের নিয়ত কী?


৩। রামাদান মাসে নফল সালাত আদায় না করে কাযা গুল আদায় করতে চাচ্ছি, কারণ কাযা তোলা বাধ্যতামূলক।  এই সিদ্ধান্ত কি উপযুক্ত?  কেননা,রামাদান মাসে বেশি বেশি নফল নামায পড়েন সবাই। কিন্তু আমার যেহেতু কাযা অনেক তাই আমি নফলের থেকে কাযাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি আমার এই মনোভাব কি সঠিক?
closed

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সব সময় কাজা নামাজ আদায় করা যাবে,তবে শুধু তিন সময়ে কাজা নামাজ আদায় করা যাবেনা।

(১)সূর্যোদয় এর সময়। (২) সূর্যাস্ত এর সময়। (৩) সূর্য মধ্যাকাশে থাকার সময়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
উকবা বিন আমের জুহানী রাযি. বলেন,

ثَلاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا : حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ الشَّمْسُ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ

তিনটি সময়ে রাসুল ﷺ আমাদেরকে নামাজ পড়তে এবং মৃতের দাফন করতে নিষেধ করতেন। সূর্য উদয়ের সময়; যতোক্ষণ না তা পুরোপুরি উঁচু হয়ে যায়। সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময় থেকে নিয়ে তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া পর্যন্ত। যখন সূর্য অস্ত যায়। (সহীহ মুসলিম ১৩৭৩)


আরো জানুনঃ 
,
وجمیع أوقات العمر وقت القضاء إلا الثلاثة المنھیة (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الصلاة، باب قضاء الفوائت، ۲:۵۲۴، ط: مکتبة زکریا دیوبند) ، قولہ:”إلا الثلاثة المنھیة“:وھي الطلوع والاستواء والغروب، ح (رد المحتار) ، والنظر الدر والرد (کتاب الصلاة، ۲: ۳۰-۳۲، ۳۴، ۳۷
সারমর্মঃ
জীবনের প্রত্যেক সময়ই কাজা নামাজ আদায়ের সময়।
কিন্তু তিনটি নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যাতিত,,,,।
,
★সুতরাং উক্ত কাজা নামাজ আপনি জোহরের ওয়াক্তে,আছরের ওয়াক্তে আদায় করতে পারবেন।
 , 
তবে ফজর নামাজের আগে এবং আছর নামাজের পরে মসজিদে বা জনসম্মুখে কাজা নামাজ আদায় করবেন না।
কেননা তাতে আপনার যে কাজা নামাজ আছে,সেটা প্রকাশ পেয়ে যাবে।
তাতে গুনাহ প্রকাশের গুনাহ হবে।

وینبغي أن لا یطلع غیرہ علی قضائہ؛ لأن التأخیر معصیة فلا یظھرھا (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الصلاة، باب قضاء الفوائت، ۲: ۵۳۹، ط: مکتبة زکریا دیوبند) ، قولہ: ”وینبغي الخ “:تقدم في باب الأذان أنہ یکرہ قضاء الفائتة فی المسجد وعللہ الشارح بما ھنا من أن التأخیر معصیة فلا یظھرھا و ظاھرہ أن الممنوع ھو القضاء مع الاطلاع علیہ سواء کان فی المسجد أو غیرہ، قلت: والظاھر أن ینبغي ھنا الوجوب وأن الکراھة تحریمیة الخ (رد المحتار) ، وانظر الدر والرد (۲: ۵۸، ۵۹) والفتاوی الرحیمیة في واقعات السادة الحنفیة (ص ۸، الف، ب، مخطوطة) ۔
সারমর্মঃ
উচিত হলো কেহ যেনো আপনার কাজা নামাজের উপর অবগত না হয়।
কেননা দেড়ি করে নামাজ পড়া গুনাহ।
সুতরাং তাহা প্রকাশ করা যাবেনা। 


(০২)
এই ভাবে মনে মনে নিয়ত করবে যে আমার জীবনের ১ম ফজরের নামাজ যেটার কাজা আমি আদায় করিনি,সেটা আদায়ের নিয়ত করছি।

অথবা আমার জীবনের সর্বশেষ  ফজরের নামাজ যেটার কাজা আমি আদায় করিনি,সেটা আদায়ের নিয়ত করছি,,,,,।

کثرت الفوائت نو أول ظہر علیہ أو آخرہ إلخ (درمختار مع الشامي: ۲/ ۵۳۸، ط: زکریا)
সারমর্মঃ
 যদি অনেকগুলো নামাজ ছুটে যায়,তাহলে তার প্রথম বা শেষ নামাজের নিয়ত করবে। 

ওমরি কাজা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

(০৩)
হ্যাঁ নিঃসন্দেহে আপনার এই সিদ্ধান্ত উপযুক্ত।
,
কেননা নফল নামাজ আদায় না করলে আল্লাহর কাছে কোনো জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবেনা,তবে কাজা নামাজ থেকে গেলে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।           


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...