আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
597 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম
- সালাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য যেকোনো সূরা/আয়াত তিলাওয়াত করতে হয়। সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা তিলাওয়াত করার সময় যদি ওই সূরার কোনো এক বা একাধিক আয়াত ইচ্ছা করে দুই বার করে তিলাওয়াত করি তাহলে কি ভুল হবে?

* যেমন : সূরা ফাতিহার পর যদি আমি সূরা আশ শামস তিলাওয়াত করি এবং সূরা আশ শামস এর ৫ নাম্বার আয়াত টা ইচ্ছা করে দুই বার তিলাওয়াত করি তাহলে কি ভুল হবে নাকি সঠিক হবে?
- এই দুই বার বা একাধিক বার একই আয়াত অন্য সূরা তিলাওয়াত করার সময়ও যদি করি তাহলে?

- YouTube এ আমার অনেক পছন্দের ক্বারীদের কে দেখি একই আয়াত কয়েকবার তিলাওয়াত করছেন।

- কোরআনের অনেক আয়াত আছে যেগুলো একবার তিলাওয়াত করলে যতটা শুনতে ভালো লাগে দুইবার বা একাধিক বার তিলাওয়াত করলে আরো বেশি ভালো লাগে।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
একই রা'কাতে কোনো একটি সূরাকে বারংবার তেলাওয়াত করা নিষিদ্ধ নয়।বিশেষকরে সূরা এখলাছের মত মাহাত্ম্যপূর্ণ সূরা কে তেলাওয়াত করা।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي سعيد الخدري، أن رجلا سمع رجلا يقرأ: قل هو الله أحد يرددها، فلما أصبح جاء إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكر ذلك له، وكأن الرجل يتقالها، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «والذي نفسي بيده إنها لتعدل ثلث القرآن»
এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তিকে নামাযে সূরায়ে ইখলাছ বারংবার তেলাওয়াত করতে শুনলো।অতপর যখন সকাল হলো,তখন ঐ ব্যক্তি এভাবে তেলাওয়াত করাকে কম সওয়াব মনে করে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গিয়ে বিষয়টাকে উপন্থাপন করলো।রাসূলুল্লাহ সাঃ জবাবে বললেন,ঐ সত্তার কসম যাতে হাতে আমার প্রাণ,নিশ্চয় সূরায়ে ইখলাছের ফযিলত কুরআনের এক তৃতীয়াংশর সমপর্যায়ের।(সহীহ বোখারী-৫০১৩)

একই রা'কাতে কোনো একটি সূরাকে বারংবার তেলাওয়াত করা সম্পর্কে দু'টি জিনিষ লক্ষণীয়।
(এক)
কোনো সংখ্যায় পড়াকে নির্দিষ্ট করা যাবে না। তেলাওয়াত করতে যেয়ে কমবেশ করাকে নিষিক্ত মনে করা যাবে না।কেননা তখন এটা বিদআত হয়ে যাবে।আর উপরোক্ত হাদীসে সংখ্যার কোনো নির্দিষ্টকরণ নেই।তাছাড়া সালাফে সালেহীন থেকেও এমন পদ্ধতির নামায প্রমাণিত নয়।সুতরাং শরীয়ত কর্তৃক যাকে নির্ধারণ করা হয়নি,তেমনটা নির্ধারণ করা কখনো জায়েয হবে না।(ফাতাওয়া লাজনাহ-২/৫৩২)

(দুই)
নিয়মিত এমনটা করা যাবে না।কেননা নিয়মিত এমনকরে করা বা এর প্রচলন ঘটানো কোনোটাই বৈধ হবে না।এবং এটা সালাফে সালেহীনদের আ'মলেও সচরাচর ছিলনা।যদি কেউ করতে চায়,সে যেন মাঝেমধ্যে এমন করে,নিয়মিত যেন না করে।সালাফে সালেহীনদের আ'মলে এটাই ছিল যে,তারা প্রত্যেক রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে একটি সূরা বা সূরার কিছু অংশ মিলিয়ে নিতেন।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একই রা'কাতে কোনো এক সূরা বা কোনো এক আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করা জায়েয হলেও অনুত্তম(মাকরুহে তানযিহি)।উত্তম হলো,কোনো এক সূরা তেলাওয়াত 
করার পর ভিন্ন কোনো সূরা তেলাওয়াত করা, এবং এক আয়াত তেলাওয়াত করার পর পরবর্তী আয়াত তেলাওয়াত করা। 
সুতরাং জরুরতের ভিত্তিতে এক সূরাকে বারংবার বা একই রা'কাতে কয়েক সূরার অংশকে তেলাওয়াত করা যাবে।এক্ষেত্রে নামায ফাসিদ হবে না।
আরো জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2123

এ হল হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত। তাছাড়া হানাফি মাযহাব ব্যতীত অন্যান্য ফিকহের সিদ্ধান্ত হল, একই রাকাতে এক সূরা বা একই আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করা যাবে। এতে কোনো অসুবিধে নাই। আপনি ইউটিউবে যে তেলাওয়াত দেখছেন, তা ভিন্ন মাযহাবের অনুসারীদের তেলাওয়াত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...