আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
261 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১. হযরত শাহজালাল (রা.) এবং শাহপরান (রা.) সম্পর্কে আপনাদের মতামত কি? তারা কি কেরামতি জানতেন? তারা সুন্নি ছিলেন কিন্তু দাওয়াত দেয়ার কাজে লিপ্ত থাকায় নাকি বিবাহ করেননি। কিন্তু এটা ত আল্লাহর রাসুল(সা.) এর সুন্নত ছিল। আপনাদের মন্তব্য কি?

২. বিদাত করলে কি চিরস্থায়ী জাহান্নামি?
৩. ঈমান আকিদা ঠিক রাখা বলতে কি বুঝায় সে কোন গুনাহই করবে না? না গুনাহ করলেও তার ঈমান আকিদা ঠিকই থাকবে?

৪. https://ifatwa.info/13981/?show=13985#a13985

 এ মাসয়ালার শেষে বলা হয়েছে -" ঈমান আকিদা ঠিক রাখার শরতে যেকোনো বিজ্ঞান শিক্ষা জায়েজ" - এর মানে কি এই যে, বিজ্ঞান শিক্ষা করতে যেয়ে যাতে নিজের ঈমান আর আকিদা সম্পর্কে ভুলে না যাই? আর এ শিক্ষা করতে যেয়ে কোন গুনাহ  করলে কি ঈমান আকিদা নষ্ট হবে বা তখন কি শিক্ষা হারাম হবে?
দয়া করে সবগুলো উত্তর সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন সাপেক্ষে দিবেন। আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুক।

1 Answer

0 votes
by (708,800 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(১) শাহজালাল (রা.) এবং শাহপরান (রা.) তাদেরকে আল্লাহ দয়া এবং মায়া করেছেন। আল্লাহ তাদের দু’আর বদৌলতে অনেক অসাধ্য কাজকে সাধ্য করে দিয়েছেন। রাজা গৌর-গৌবিন্দের রাজ প্রসাদ আল্লাহু আকবারের ধ্বনিতে ধ্বসে পড়েছে। তাই বলা যায়, তাদের মাধ্যমে আল্লাহ অনেক অলৌকিক ক্ষমতা/কারামত দেখিয়েছেন। 

(২) বিদআত করলে চিরস্থায়ী জাহান্নামি কেউ হবে না। তবে বিদআত গোনাহ। 

(৩) ঈমান আকিদা বলতে চিন্তাগত কিছু বিশ্বাস। যেমন, রিযিক দাত আল্লাহ। সমস্ত সাহাবা সত্যর মাপকাঠি।সাহাবাকে গালি দেয়া যাবেনা, ইত্যাদি। 

(৪) কারো চিন্তা ভাবনা না বদলিলে সে যদি কোনো প্রকার গোনাহে লিপ্ত হয়, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে না। 
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উল্লেখযোগ্য কিছু আক্বিদা-বিশ্বাস
(১)সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি।এবং তাদের স্ব স্ব অবস্থানে সঠিক। তাদের মধ্য থেকে কাউকে মন্দ বলা যাবে না।এবং কটাক্ষ করাও যাবে না।তাদের মধ্যকার পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ নিছক তাদের নিজস্ব ব্যাপার।উক্ত ঝগড়ায় শরীক হয়ে কারো পক্ষাবলম্বন করা যাবে না।বরং সর্বদা নিজেকে এই স্পর্শকাতর বিষয় থেকে আলগিয়ে রাখতে হবে।

(২)
জান্নাতের স-ুসংবাদ
দশজন সাহাবায়ে কেরাম সহ আরো কিছু সংখ্যক সাহাবায়ে কেরামের ব্যাপারে জান্নাতের সুসংবাদ এসেছে।এ কথার উপর ইয়াক্বিন ও বিশ্বাস রাখা।

(৩)
মুজার উপর মাসেহ করা বৈধ।


(৪)
নাবিযে তামার
অর্থাৎ মাঠির পাত্রে খুজুর বা আঙ্গুর ভিজিয়ে কয়েকদিন রেখে দেওয়া। নেশার আসার আগ পর্যন্ত সেটাকে নাবিযে তামার বলা হয়।আর নেশা আসার পর সেটাকে মদ বলা হয়।নাবিযে তামার বৈধ,আর মদ হারাম।


(৫)
আম্বিয়া ও আওলিয়ায়ে কেরাম এর স্থর।
মানুষ যতবড়ই ওলী হোক না কেন,সে আম্বিয়ার স্থরে পৌছতে পারবে না।


(৬)
শরীয়তের বিধি-বিধানের অনুসরণে সবাই বাধ্য।
পৃথিবীর কোনো মানুষ এমন কোনো স্থরে কখনো পৌছতে পারবে না যে,যেখানে পৌছে গেলে তার উপর থেকে সকল প্রকার বিধিনিষেধ চলে যায়।

(৭)
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হওয়া।
আল্লাহ তা'আলা রহমান এবং রাহীম তথা অসীম দয়ালু।আল্লাহ রহমত থেকে একমাত্র কাফিরই নিরাশ হতে পারে।

(৮)
আল্লাহর আযাব থেকে বে-খাওফ হওয়া।
আল্লাহ যেকোনো সময় আযাব দিতে পারেন।সুতরাং আল্লাহর আযাব থেকে বে-খাওফ হওয়া যাবে না।

(৯)
কাহিনের তাসদ্বীক্ব
ভবিষৎবাণী প্রদাণকারীর খবরকে সত্যায়ন করা কুফুরি।তবে কেউ যদি সৌরবিজ্ঞানের আলোকে চিন্তা গবেষনার মাধ্যমে কোনো খবর দেয়,তাহলে সেটাকে বিশ্বাস করা অবশ্যই কুফরী হবে না।কুফরী সেটাই যা কোনো প্রকার চিন্তা গবেষনা ব্যতীত নিশ্চিতরূপে কোনো ভবিষ্যৎ বাণী প্রদাণ করা হয়ে থাকে।

(১০)
ইলমে গায়েব
ইন্দ্রীয়শক্তি দ্বারা যা অনুভব করা যায় না বা যাকে চিন্তা গবেষনার মাধ্যমে আয়ত্ব করাও যায় না।সে বিষয়ের জ্ঞান ইলমে গায়েবের অন্তর্ভুক্ত। এ জ্ঞান শুধুমাত্র আল্লাহ-ই জানেন।আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।আল্লাহ তা'আলা কাউকে জানিয়ে দিলে তিনি অবশ্য সেগুলোকে জানতে পারেন।

এই দশটি হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উল্লেখযোগ্য আক্বিদা-বিশ্বাস।(শরহে আক্বাঈদ লিন-নাসাফি)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1402


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...