কুরআন হচ্ছে অংকের ফলাফল, আর বিজ্ঞান হচ্ছে অংক । সুতরাং বিজ্ঞান দ্বারা যতই চিন্তা ভাবনা করা হোকনা কেন? তা কুরআনের উল্টো কখনো যাবে না। বিজ্ঞান নিয়ে চিন্তা করা নিন্দনিয় নয় বরং অনেকাংশে প্রশংসনীয়ও বটে।
,
যেমন আল্লাহ তা’আলা এগুলো নিয়ে চিন্তা করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
أَفَلَمْ يَنظُرُوا إِلَى السَّمَاء فَوْقَهُمْ كَيْفَ بَنَيْنَاهَا وَزَيَّنَّاهَا وَمَا لَهَا مِن فُرُوجٍ
তারা কি তাদের উপরস্থিত আকাশের পানে দৃষ্টিপাত করে না আমি কিভাবে তা নির্মাণ করেছি এবং সুশোভিত করেছি? তাতে কোন ছিদ্রও নেই।
وَالْأَرْضَ مَدَدْنَاهَا وَأَلْقَيْنَا فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ
আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালার ভার স্থাপন করেছি এবং তাতে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উদগত করেছি।
تَبْصِرَةً وَذِكْرَى لِكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيبٍ
এটা জ্ঞান আহরণ ও স্মরণ করার মত ব্যাপার প্রত্যেক অনুরাগী বান্দার জন্যে।
وَنَزَّلْنَا مِنَ السَّمَاء مَاء مُّبَارَكًا فَأَنبَتْنَا بِهِ جَنَّاتٍ وَحَبَّ الْحَصِيدِ
আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তদ্বারা বাগান ও শস্য উদগত করি, যেগুলোর ফসল আহরণ করা হয়।
وَالنَّخْلَ بَاسِقَاتٍ لَّهَا طَلْعٌ نَّضِيدٌ
এবং লম্বমান খর্জুর বৃক্ষ, যাতে আছে গুচ্ছ গুচ্ছ খর্জুর,
رِزْقًا لِّلْعِبَادِ وَأَحْيَيْنَا بِهِ بَلْدَةً مَّيْتًا كَذَلِكَ الْخُرُوجُ
বান্দাদের জীবিকাস্বরূপ এবং বৃষ্টি দ্বারা আমি মৃত জনপদকে সঞ্জীবিত করি। এমনিভাবে পুনরুত্থান ঘটবে।( সূরা ক্বাফ-৬--১১)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
উল্লেখিত জিবাব আসলে বুঝানো হয়েছে যে বিজ্ঞানকে যদি অংক বলা হয়,তাহলে কুরআন হলো সেই অংকের ফলাফল।
,
যার সারমর্ম হলো বিজ্ঞানের অনুসন্ধান রিচার্জ সবকিছুরই ফলাফল কুরআনের সাথে এসে মিল খাবে।
যদি কেহ সঠিক ভাবে বিজ্ঞান ও কুরআন বুঝে,তাহলে তাহা পাওয়া যাবে।
,
★ঈমান আকীদা ঠিক রাখার শর্তে সব ধরনের বিজ্ঞান শেখা জায়েজ আছে।