আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু,

শায়েখ লিংকের আর্টিকেলটি দয়া করে পড়ে তারপর কষ্ট করে প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিবেন।
https://www.muslimmedia.info/2020/09/09/is-religion-without-science-blind-the-religion-that-is-not-blind

অন্যান্য ফাতওয়া থেকে জেনেছি যে, ঈমান আকিদা ঠিক রাখার শর্তে সকল বিজ্ঞান শিক্ষা জায়েজ আছে। তাছাড়া, বিজ্ঞানী যদি নাস্তিক বিধর্মী হয় তাহলেও তার থিউরি, আবিষ্কার, গবেষণা জানা মানা যাবে। তাহলে উক্ত লিংকের ব্যাখায় রয়েছে যে, আমাদের ওহীতে যা থাকবে শুধু তা মানা যাবে কিন্তু অন্য গুলো মানা যাবে না।

১. কিন্তু অন্যান্য আবিষ্কার গবেষণা ও ত প্রমাণিত।  তাহলে কি করব?

২. সেখানে বলেছে, যদি আবিষ্কার গুলো/ গবেষণা গুলো নিজ চোখে পর্যবেক্ষন করে মুসলিম রা তাহলে বিশ্বাস করবে। কিন্তু এত শত বিষয় কীভাবে আবার পর্যবেক্ষন করবে? এই ধরনের ফাতওয়া নাকি শায়েখ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ ও দিয়েছিলেন।

৩. সেখানে বলেছে, আমাদের ঈমান দৃঢ় করতে যতটুকু বিজ্ঞান প্রয়োজন ততটুকুই গ্রহণ করবো যা ওহী দিয়ে প্রমানিত। কিন্তু কুরআন ত আর শুধু বিজ্ঞান বই না। এটি সকল কিছুর ব্যাখা। তাই যেসকল বিষয় কুরআন এ নেই সেটা গবেষণা করলে, বিজ্ঞানীরা ধারণা দিলে তা মানা কি নাজায়েজ? যেমনঃ পৃথিবী গোলাকার না সমান, সূর্য এর চারপাশে পৃথিবী ঘুরে কিনা ইত্যাদি। এর ফাতওয়ায় বলেছেন যে যেহেতু কুরআন এ স্পষ্ট ভাবে এ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি তাই যেকোন টা বিশ্বাস করা যাবে.

৪. শুধু ওহীতে যা আছে তা বিশ্বাস করব অন্য আবিষ্কার বিশ্বাস করব না এরূপ হলে, কুরআন এ বিগব্যাং, ফিংগার প্রিন্ট, মানব শিশু উত্পত্তি, অণু-পরমাণুর ইত্যাদির ব্যাখা রয়েছে। কিন্তু এগুলোর বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি মোটর, ইঞ্জিন,বিদ্যুৎ, আলো,রাসায়নিক বিক্রিয়া, গতি, কোন জিনিস কত সময়ে কত দূরে যায় এগুলো ও তাদের বিস্তারিত আলোচনা ত পশ্চিমাদের আবিষ্কার এবং কুরআনে নেই সেক্ষেত্রে?

৫. বেশিরভাগ বিজ্ঞানীই নাস্তিক,বিধর্মী, পশ্চিমের আর অনেক কিছুই এ পরজন্ত আবিষ্কার হয়েছে।  তাহলে সেক্ষেত্রে প্রতিটা বিষয় কিভাবে আবার গবেষণা করে সকল মুসলিম পর্যবেক্ষন করবে?

৬. আর সার্বিকভাবে এই আলোচনায় আমি বুঝি নি যে, এটি কি সব বিজ্ঞান নিয়ে লেখা না শুধু সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে লেখা?

৭. আর আমরা কি আকিদা গ্রহন করব যে, যতক্ষন প্রতিটা বিজ্ঞান বিষয় এ কোন নাজায়েজ ব্যাপার না আসে তা ঢালাও ভাবে জায়েজ ধরে নেয়া। আর কিছু বুঝতে না পারলে আল্লাহর কাছে বলা যে, কোন গুনাহ হলে আল্লাহ ক্ষমা করে দিও?

কষ্ট করে সম্পূর্ণ ব্যাপারটি বুঝিয়ে দিবেন

৮. বট মানে গরুর ভূরি। যেখানে গরুর মল থাকে। সেটা পরিস্কার করে, সেদ্ধ করে গন্ধ দূর করে খাওয়া হয়। সেটা কি হালাল?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো থিউরীকে কখনো মানা যাবেনা। কুরআনের সাথে অমিল এমন কোনো থিউরী কেউ উপস্থাপন করলে তা অসত্য হিসেবে সর্বদাই বিবেচিত হবে। 

(২) বিজ্ঞানের যত সব থিউরী কুরআনের অনুকুলে হবে, সে সব থিউরী বাস্তব। এগুলোকে খুজে খুজে দেখতে হবে যে, বিজ্ঞানের কোন কোন থিউরী ইসলামের মূলনীতির পক্ষ্যে আর কোন কোন গুলি ইসলামের বিপক্ষে। 

(৩) কুরআন কোনো বিষয়ে কিছু না বললে এবং কুরআন হাদীসের বিরোধী না হলে, সেগুলোকে বিশ্বাস করা যাবে। সূর্য ঘুরছে না পৃথিবী ঘুরছে, এসম্পর্কে কুরআনের ঘোষণা হল, সবকিছুই ঘুর্ণয়মান, যেভাবে পৃথিবী ঘুরছে, ঠিক সেভাবে সূর্যও ঘুরছে। 
https://www.ifatwa.info/2093 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
কুরআনে কারীমে কোথাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে,পৃথিবী সমতল নাকি গোলাকার।তবে আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে,পৃথিবী গোলাকার।আধুনিক বিজ্ঞানের এ থিউরীকে কোরআন অস্বীকার করছে না।বরং চিন্তা করলে এ মতের পক্ষ্যে সমর্থন পাওয়া যায়।

(৪) কুরআনের যতগুলো বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা রয়েছে, সেগুলোকে আমরা মানবো। আর যেগুলোর ব্যখ্যা সরাসরি কুরআনে নেই, সেগুলো যদি কুরআনের মূলনীতির বিরোধী না হয়, তাহলে সেগুলোকে মানতে নিষেধ কোথায়? বরং সেগুলোকে মানা যাবে। 

(৫) জ্বী, মুসলিমদের উপর ফরযে কেফায়া তথা একদলের উচিৎ, বিজ্ঞানের সকল থিউরী নিয়ে চিন্তা গবেষনা করা। এবং কোন কোন থিউরী ইসলামের মূলনীতির বিরোধী? সে সম্পর্কে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া। 

(৬) আপনার এ প্রশ্ন আমরা বুঝিনি। 
(৭) জ্বী,যতক্ষণ না বিজ্ঞানের কোনো থিউরী সম্পর্কে নাজায়েয হওয়ার ফাতাওয়া না আসছে, ততক্ষণ আপনি ঐ থিউরীকে জায়েয ধরে নিতে পারেন, যদি আপনার জানা অনুযায়ী তা ইসলাম বিরোধী মনে না হয়। 
(৮) জ্বী, খাওয়া যাবে। তবে মাকরুহে তানযিহি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
জবাব দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...