ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
উল্লেখিত তাফসীর ,হাদিস ও ফুকাহাদের বক্তব্য থেকে একথা নির্ধিদ্বায় বলা যায়, হানাফীদের মতে দফ বাজানো পুরুষের জন্য জায়েজ নেই। সুস্পষ্ট হারাম। নিম্ন লিখিত কয়েকটি সঙ্গত কারণে বর্তমানে মহিলা ও পুরুষদের জন্য দফ বাজানো সম্পুর্ণ হারাম।
(১)অনেকেই দফ বাজানো জায়েজ একথা প্রমাণ করতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী তথা ‘বিয়েকে প্রকাশ করো যদিও দফের দ্বারা হয়’ এই হাদিস দ্বারা দলিল পেশ করে اعلنو النكاح ولو باالدفথাকেন যে, বিয়েতে দফ বাজানো জায়েজ কোন শর্ত ছাড়াই এবং এটা সুন্নত।কিন্তু ঠান্ডা মাথায় একবার চিন্তা করলেই একথা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উদ্যেশ্য এর দ্বারা কেবল প্রচারণার গুরুত্ব বুঝানো। কেননা তৎকালে কোন কিছু ‘ইলান’ করার জন্য দফে বাড়ি মারলে লোকজন একত্র হতো, তারপর ঘোষক তার বক্তব্য বলে সবাইকে শোনাতো। দেখুন হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহ. এর “বিয়ে শাদিতে বাজনা বাজনোর একটি বিরল তাহকীক” নামে লিখিত প্রবন্ধে ( যা মুফতী শফী রহ. এর ফতোয়া সংকলন জাওয়াহিরুল ফিক্বহ এর চতুর্থ খন্ডের ২০৮ নং পৃষ্ঠায় সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে) বুস্তানুল আরেফীন ও নিসাবুল ইহতিসাব এবং শরহে নুকায়া গ্রন্থের উদ্বৃতি দেন,
وفى شرح نقايه – قال التور بشتى انه حرام على قول اكثرالمشاءخ وما ورد من ضرب الدف فى العرس كناية من الاعلان
অর্থাৎ আল্লামা তুরে পেশতী রহ. বলেন, অধিকাংশ মাশায়েখে কেরামের মতে দফ বাজানো হারাম, তবে বিয়েতে দফ বাজানোর ক্ষেত্রে যেসব বর্ণনা এসেছে এর দ্বারা উদ্যেশ্য হচ্ছে প্রচারণা করা।সুতরাং বুঝা গেলো বিয়েতে দফ বাজানোর কথা বলার দ্বারা মুরাদ হলো প্রচারণা করা, আসলেই দফ বাজানো নয়,যদি সত্যিই দফ বাজানোই উদ্দেশ্য থাকতো তবে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চার মেয়ের বিয়ের সময় কেন দফ বাজালেন না? এ ব্যাপারে একটি জাল রেওয়ায়েত ও কী আছে?যেই সাহাবারা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতিটি কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন তাদের কারও বিয়েতে দফ বাজিয়েছেন বলেছেন বলে কোন বর্ণনা কী আছে?তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথাটির অর্থ কী এই দাঁড়াচ্ছেনা যে, এর দ্বারা কেবল প্রচারণা উদ্দেশ্য দফ বাজানো নয়।
(২) দফের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার উপর হাদিস সুস্পষ্ট যা উপরে বর্ণিত।
(৩) হানাফী ফুকাহায়ে কেরামের রায় ও সুস্পষ্ট প্রমাণ করছে দফ বাজানো জায়েজ নেই। দেখুন উপরে বর্ণিত ফুক্বাহায়ে কেরামের বক্তব্য।
(৪) হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহ. এর তাহকীক ও ফতোয়া প্রণিদান যোগ্য যা জাওয়াহিরুল ফিক্বহ এর চতুর্থ খন্ডে বিধৃত হয়েছে , যেখানে তিনি প্রমাণ করেছেন দফ বাজানো জায়েজ নেই। আর এক্ষেত্রে বিভিন্ন হানাফী ফিক্বহী কিতাবে ভুল বর্ণনা(যে দফ বাজানো হানাফীদের কাছে বিয়ে বা আনন্দ অনুষ্ঠানে জায়েজ) একজন থেকে আরেকজন করে গেছেন তাহকীক ছাড়াই, এমনটা বলেছেন পরিস্কার হাকিমুল উম্মত রহ.। (জাওয়াহিরুল ফিক্বহ ৪/২১২)
(৫) সুবিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ তাফসীরে ইবনে
কাসীর ও আদ দুররুল মানসুরের বর্ণনা প্রমাণ করে দফ বাজানো কিছুতেই জায়েজ হতে পারেনা।
(৬) কতিপয় মুফতীর ফতোয়া দ্বারা কেবল এতটুকু প্রমাণিত হয় যে মহিলাদের জন্য দফ বাজানোর সুযোগ আছে, পুরুষের কোন সুযোগ নেই, কিন্তু একথাও উপরে বর্ণিত তাফসীর ও হাদিস এবং ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্য দ্বারা বাতিল বলে সাব্যস্ত হয়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দফ বাজানো জায়েয নয়,এবং গিটার বাজানোও জায়েয নয়।
(২) জ্বী বস বলা যাবে।
(৩) রোজা রাখলে স্বয়ং আল্লাহকে পাওয়া যায় । কেননা আল্লাহ অন্যান্য ইবাদতকে রেখে রোযার ব্যাপারে বলছেন, রোযা আমার জন্য এবং আমি এর প্রতিদান দিবো।
(৪)
্খুশি বুঝাতে এমনটা বলা যাবে।