জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।কিন্তু যদি কারো প্রায় এরকম সন্দেহ হয়,তাহলে উনার বিধান হলো,
"وإن كثر الشك" تحرى و "عمل" أي أخذ "بغالب ظنه" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا شك أحدكم فليتحر الصواب فليتم عليه" وحمل على ما إذا كثر الشك للرواية السابقة "فإن لم يغلب له ظن أخذ بالأقل" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا سها أحدكم في صلاته فلم يدر واحدة صلى أو اثنتين فليبن على واحدة فإن لم يدر اثنتين صلى أو ثلاثا فليبن على اثنتين فإن لم يدر ثلاثا صلى أو أربعا فليبن على ثلاث ويسجد سجدتين قبل أن يسلم"
যদি কারো নামাযে সংখ্যা নিয়ে প্রায় সন্দেহ হয়,তাহলে উনি তাহাররি(সঠিক বিষয়ে পৌছার জন্য চিন্তাভাবনা করা) করে গালিবে যান্ন(প্রবল ধারণা) এর উপর আ'মল করবেন।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ করে,তাহলে সে যেন সঠিক বিষয়ে পৌছার চেষ্টা করে সে হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।তবে যদি চিন্তাভাবনার পরও কোনো সংখ্যার দিকে মনে প্রবল ধারণা না জন্মে, তাহলে সে যেন,কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সন্দেহ করে,এক রা'কাত পড়েছে না দুই রা'কাত পড়েছে? তাহলে সে যেন এক রা'কাত ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।এভাবে দুই/তিন বা তিন/চার নিয়ে সন্দেহ হলে কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সে নামাযকে সম্পন্ন করবে।এবং শেষে যেন সে সেজদায়ে সাহু দেয়।
(মারাকিল ফালাহ-১/৪৭৭)
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সচরাচর এমন হলে সে কম সংখ্যাকে ধরবে,এবং শেষে সেজদায়ে সাহু দিবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সতর্কতামূলক উক্ত নামাজের কাজা আদায় করবে।
,
(০২)
আপনার ইচ্ছা,আপনি চাইলে আস্তে কেরাত পড়তে পারেন।
চাইলে জোড়েও কিরাআত পড়তে পারেন।
,
সুতরাং প্রশ্নে ভোট ছুরতে কোনো সমস্যা নেই।
,
নামাযে আস্তে পড়ার অর্থ হল, মাখরাজ আদায় করে জিহবা ও ঠোঁট নেড়ে ভালোভাবে উচ্চারণ করে পড়া।
,
সুতরাং আস্তে কিরাআত পড়লে এইভাবে পড়তে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنِي عُمَارَةُ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، قَالَ سَأَلْنَا خَبَّابًا أَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ قَالَ نَعَمْ. قُلْنَا بِأَىِّ شَىْءٍ كُنْتُمْ تَعْرِفُونَ قَالَ بِاضْطِرَابِ لِحْيَتِهِ.
আবূ মা‘মার (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা খাববাব (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি যুহর ও ‘আসরের সালাতে কিরাআত পড়তেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমরা প্রশ্ন করলাম, আপনারা কী করে তা বুঝতেন? তিনি বললেন, তাঁর দাড়ির নড়াচড়ায়। (বুখারী শরীফ ৭৪৬, (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২৪)
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৩)
হ্যাঁ খতম তারাবীহ তে একবার জোড়ে
بسم الله الرحمن الرحيم
পড়তে হবে।
,
কেননা হানাফী মাযহাব মতে সুরা নামল এর বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ছাড়াও বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম কুরআনের একটি স্বতন্ত্র আয়াত।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত মাসয়ালা ছহীহ।
যেহেতু বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহিমও কোরআনের একটি আয়াত; তাই মুসল্লিদের খতম পূর্ণ হওয়ার জন্য যেকোনো সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহ স্বশব্দে পড়ে নিলে সবার খতম পূর্ণ হয়ে যাবে। -রদ্দুল মুহতার: ১/৪৯০
(০৪)
মহিলারা মহিলা চিকিৎসক এর কাছেই যাবে।
বিশেষ প্রয়োজনে উল্লেখিত অংশ খোলা জায়েজ আছে।
দেশে অসংখ্য মহিলা চিকিৎসক আছে,তাই মহিলা চিকিৎসক পাওয়া গেলে পুরুষ চিকিৎসক এর সামনে লজ্জাস্থান খোলা কোনোভাবেই জায়েজ নেই।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৫)
এতে রোযা ভেঙ্গে যাবে।