ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে ফরয গোসলের নিয়ম কানুন না মেনে গোসল করলে পবিত্রতা অর্জন হবে না। আর পবিত্রতা অর্জন না হলে নামায আদায় হবে না। কেননা নামায বিশুদ্ধ হওয়ার প্রদাণ শর্ত হলো শরীর পবিত্র হওয়া। সে হিসেবে আপনার অতীতের অপবিত্র থাকাবস্থায় কোনো নামাযই আদায় হয়নি। তবে যদি অতীতের ফরয গোসলের সময় অজ্ঞাতসারে তথা নিয়ত ব্যতীত আপনি গোসলের তিনটি ফরয যথাঃ-(১)নাকে পানি দেওয়া(২)কুলি করা(৩)সমস্ত শরীর ধৌত করা - কে আদায় করে ফেলেন,তাহলে সে নামাযকে দোহরাতে হবে না। এখন আপনার উচিৎ অতীতের নামায সমূহকে দোহড়িয়ে পড়া।যথাসম্ভব বেশী বেশী করে কা'যা করা।কা'যা নামায সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/968 । কা'যা নামায আদায়ের নিয়ত সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1056 ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,যার যিম্মায় নামায কা'যা রয়েছে, তার জন্য কা'যা আদায় করার সাধারণত নিয়ম নেই।বরং সে এক্ষেত্রে বেশী বেশী তাওবাহ ইস্তেগফার করবে।এবং বেশী বেশী করে নফল নামায পড়বে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনীভাই/বোন!
যে ব্যক্তি অজ্ঞতাবশত পবিত্রতা অর্জন করতে পারেনি।তার অতীতের নামায রোযা কি কবুল হবে?
এ সম্পর্কে উলামাদের মতবেদ রয়েছে।সম্ভব হলে সতর্কতামূলক অতীতের সকল নামাযকে কা'যা করে নেয়াই উত্তম।সম্ভব না হলে আল্লাহর তা'আলার নিকট ইস্তেগফার করে নিতে হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার পর গোসল করা ফরয। যদি কেউ হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার পর ফরয গোসল না করে অথবা ফরয গোসলের নিয়ম কানুন না মেনে গোসল করে থাকে, তাহলে পরবর্তী ফরয গোসলের নিয়ম কানুন মেনে গোসল করা পর্যন্ত যত নামায সে পড়েছে, সব গুলো নামাযকে সে সতর্কতামূলক কাযা করে নেবে।
ইচ্ছাকৃত যে সম্স্ত নামাজ, রোজাকে আপনি ত্যাগ করেছেন, সবগুলো নামায রোযাকে আপনি কাযা করে নেবেন। তবে এই জন্য আপনার ঈমান চলে যাবে না।