আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
246 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
আসসালামু আলাইক। বর্তমানে কভিড-১৯ ভাইরাস হুহু করে বেড়ে যাচ্ছে এবং অনেক ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। এমতা অবস্থায়, ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ভয়ে মসজিদে জামায়াতে সলাত আদায় না করে বাসায় একা একা সলাত আদায় করা যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আজ ৩০ মার্চ ২০২১ইংরেজী তারিখে  https://www.ifatwa.info/13351নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
নামায ঘরে না পড়ে মসজিদে পড়াই সওয়াব বেশী। পুরুষদের জন্য মসজিদে মুসলমানদের জামাতের সাথে নামায পড়াই পরিপূর্ণ নামায।এমনকি বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিবও বটে।কেননা আ'মলের মাধ্যমে আ'যানের জবাব দেয়া ওয়াজিব। এ জন্য কোনো পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন না। উনার জন্য জায়েয হবে না। হ্যা প্রয়োজনে ঘরে নামায পড়া যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1267

আজ ৩০ মার্চ ২০২১ইংরেজী তারিখে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতে মসজিদের জামাতকে ত্যাগ করা কি জরুরী? এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, এখনকার পরিস্থিতি আর আগের মত নয়, তাই মসজিদের জামাতেই শরীক হতে হবে। ওয়াজিব বিধান আবার চলে এসেছে । তবে কোথাও স্বাস্থ্যববিধি কে ফলো করা না হলে, এবং সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বর্ধমান থাকলে, সেই জায়গার মসজিদে না যাওয়ার অনুমোদন রয়েছে। সুতরাং আপনি বিশেষ প্রয়োজন বা অসুবিধা না থাকলে মসজিদেই নামায পড়বেন।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
আজ ৩০ মার্চ ২০২১ইংরেজী এখন যেহেতু করুনা পরিস্থিতি আর আগের মত নয়, এখন সবাই সবখানে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করছে। ব্যবসা বাণিজ্য লেন-দেন পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ স্বাভাবিক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত আছে। আলহামদুলিল্লাহ। এরকম পরিস্থিতিতে এখন আর মসজিদে জামাতে কাতারে ফাঁক রেখে দাড়ানো যাবে না। বরং মাকরুহ হবে। 

আপনার বিবরণমতে যদি অদ্য ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয় ৫০৪২ জন আর মৃত্যু হয় ৪৫ জন। এবং কোনো এলাকায় এ আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বাড়তেই থাকে, তাহলে অত্র এলাকার বাসিন্দা মসজিদের বদলে ঘরে নামায পড়তে পারবে। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আজ ১ এপ্রিল ২০২১ইংরেজী, এখন যদিও করুনা পরিস্থিতি দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে, তারপরও পূর্বের অবস্থা এখনও ফিরে আসেনি। বরং এখন সবাই সবখানে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করছে। ব্যবসা বাণিজ্য লেন-দেন পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ স্বাভাবিক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত আছে। আলহামদুলিল্লাহ। এরকম পরিস্থিতিতে এখন আর মসজিদে জামাতে কাতারে ফাঁক রেখে দাড়ানো যাবে না। বরং মাকরুহ হবে। তবে যদি কোনো এলাকায় এ আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বাড়তেই থাকে, এবং অত্র এলাকায় স্বাস্থ্যবিধিকে ফলো না করা হয়ে থাকে, তাহলে অত্র এলাকার বাসিন্দাদের জন্য মসজিদের বদলে ঘরে নামায পড়ার রুখসত থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম। এখন তো দেশে লকডাউন দিয়ে দিয়েছে আর পরিস্থিতি পূর্বের মতই প্রায়। এখন কি হুকুম?
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

এখনকার লকডাউন আর আগের লক ডাউন সমান নয়। সুতরাং বর্তমানে এটাই সিদ্ধান্ত যে, কোনো এলাকায় করোনার মহামারি দেখা দিলে, এবং সেখানে স্বাস্থ্যবিধি কে ফলো না করলে, সেখানে মসজিদরে পরিবর্তে ঘরে নামায পড়ার বিধান প্রযোজ্য হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 143 views
0 votes
1 answer 350 views
...