ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এ সম্পর্কে একটি প্রশ্নোত্তর বিশেষভাবে লক্ষণীয়,
দ্রুত বিয়ের আ'মল
দ্রুত বিয়ের কোন আমল আছে কি? কয়েকটা ওয়েবসাইটে দেখেছি বলা হয়েছে, "ফজরের সালাতের পর ডান হাত দিয়ে বাম হাত চেপে ধরে ৪০ বার 'ইয়া ফাত্তাহু' পড়তে হবে। এভাবে ৪০ দিন আমল সহীহ নিয়তে করলে এর মধ্যে বিয়ে হয়ে যাবে।"এই আমলগুলা কি করা যাবে? কুরআন-হাদিসে এর ভিত্তি আছে? আর আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি রহ. এর 'আমালিয়্যাতে কাশ্মীরি' আর থানভী রহ. এর 'আমালে কুরআনী' এইদুইটা কিতাবের আমলগুলা কি গ্রহণযোগ্য আর আমল করা যাবে কি?
জবাবঃ-
আপনি যে আ'মলের কথা উল্লেখ করেছেন, সেটাও করতে পারেন।একাকি ফরয নামায বা নফল নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ,সহ দু'আয়ে মাছুরা পড়ার পর সূরায়ে ফুরকানের ৭৪নং আয়াতও পড়তে পারেন।অনেক বুজুর্গানে কেরাম ও শায়েখগণ এ আ'মলের পরামর্শ দিয়েছেন।
থানভী রাহ ও কাস্মীরি রাহ এর উক্ত দুইটি কিতাব দ্বারা আ'মল করতে পারবেন।তবে অন্তরকে বিশুদ্ধ রাখতে হবে।এগুলো শুধুমাত্র একটা পরামর্শ। আল্লাহ চাইলে কবুল করতেও পারেন আবার না ও করতে পারেন।এগুলোর নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নাই।বরং এগুলো নেককার বান্দাদের কিছু দ্বীনী পরামর্শ মাত্র।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুহাদ্দিস সাহেব যদি কুরআন হাদীসের আলোকে তাবিজ দিয়ে থাকেন, তাহলে উনার তাবিজ গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে আমার দেখা সবচেয়ে উপকারী আ’মল হল, ফুরকানের ৭৪নং আয়াত সম্ভলিত আ’মল, যা আমরা ইতিপূর্বে বর্ণনা করেছি।
(২)
আমাদের মনে রাখতে হবে যে, পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। (সূরা ফাতির-১৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি পাত্র-পত্রীর আলাপ আলোচনা শুরু করিয়ে দেওয়ার পর তারা পরস্পর গোনাহে লিপ্ত হলে, বা বিয়ে পরবর্তী বেপর্দায় চলাফেলা করলে, এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।