বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
12855 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
নামাযের মধ্যে তাশহুদ যেভাবে ওয়াজিব ঠিকতেমনি দুনু সালাম ওয়াজিব। সুতরাং সালাম ফিরানোর পূর্বে কারো অজু চলে গেলে সে অজু করে এসে আবার সালাম ফিরাবে। তবে যেহেতু এক বর্ণনায় তাশাহুদ পর্যন্ত নামাযকে পূর্ণ নামায বলা হয়েছে , তাই হানাফি কিছু কিছু কিতাবে সালামের পূর্বে অজু চলে গেলে নামাযকে পূর্ণ হয়েছে, বলা হয়েছে। কিতাবুল ফাতাওয়া-২/১৮৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু দুনু সালাম ওয়াজিব, তাই উত্তম হচ্ছে, দ্বিতীয় সালামের পূর্বে অজু চলে গেলে, আবার অজু করে এসে সালাম ফিরানো ।
فى الدر المختار- ( ولفظ السلام ) مرتين فالثاني واجب على الأصح (رد المحتار-كتاب الصلاة ،باب صفة الصلاة -2/162)
وفيه ايضا- (لها واجبات) لا تفسد بتركها وتعاد وجوبا فى العمد والسهو إن لم يسجد له، وإن لم يعدها يكون فاسقا آثما- (رد المحتار-كتاب الصلاة ،باب صفة الصلاة -2/146-147
فى فيه ايضا- ( ويسجد للسهو ولو مع سلامه ) ناويا ( للقطع ) لأن نية تغيير المشروع لغو ( ما لم يتحول عن القبلة أو يتكلم ) لبطلان التحريمة ولو نسي السهو أو سجدة صلبية أو تلاوية يلزمه ذلك ما دام في المسجد (رد المحتار-كتاب الصلاة ،باب سجود السهو-2/558-559
وفى رد المحتار- وكذا كل صلاة أديت مع كراهة التحريم تجب إعادتها،والمختار أنه جابر للأول ، لأن الفرض لا يتكرر(رد المحتار-كتاب الصلاة ،باب صفة الصلاة-2/147-148
সু-প্রিয় প্রশ্নাকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সতর্কতামূলক এটাই সিদ্ধান্ত যে, দ্বিতীয় সালামের পূর্বে নামায ফাসিদ হয়ে গেলে পূনরায় ঐ নামাযকে দোহড়িয়ে নেয়া।তবে যদি আপনি দ্বিতীয় সালামের পরপরই কথা বলা শুরু করে দেন,তাহলে আপনাকে আর নামায দোহড়াতে হবে না।