আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ। অফলাইনে ফতোয়া নেওয়ার অপশন আমার নেই। অনুগ্রহ করে আমার এবং আমার স্বামীর উদ্দেশ্যে শরয়ী দৃষ্টিকোণসহ বিস্তারিত পরামর্শ/ সমাধান দিতে পারবেন ওস্তাদগণ? এই প্রশ্নে আমি পাঁচটি প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে পাঁচটি প্রশ্ন করেছি। অনুগ্রহ করে আমাকে এবং আমার স্বামীকে শরীয়তের মানদণ্ডে বিস্তারিত পরামর্শ, সমাধান দিন।
*** ওস্তাদ, আমার স্বামীর আমিসহ দুইজন স্ত্রী। আমার সাথে বিয়ের নয়মাস পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আমি জানতাম না, তারা ঢাকায় ১৫ দিনের বেশি অবস্থান করেন। সাধারণত এমতাবস্থায় তারা মুকিম ছিলো। কিন্তু আমার স্বামী আমাকে বুঝিয়েছে যে ওটা সফর ছিলো, সফরে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে রাত কাটালে তা প্রথম স্ত্রী পাবে না। কিন্তু কথা হচ্ছে,
১. আমার স্বামী ঢাকাতে মুকিম ছিলো সাতমাস ধরে। তিনি নিজে মুকিম হলে তার স্ত্রী মুসাফির হবে কিভাবে? এবং আমার স্বামীর কক্ষেই তারা রাতযাপন করেছে।
২. তার স্ত্রীও ১৫ দিনের বেশি ঢাকায় অবস্থান করেন। তিনি বলছে কোনো কোনো মতে ১৫ দিন কেন একমাস অবস্থান করলেও সে মুসাফির থাকে। কিন্তু একজন নারীর মুসাফির হওয়ার শর্ত তার মাহরামের নিয়তের উপর নির্ভর করে। আমার স্বামী মুকিম হলে তা সফর কিভাবে হবে?
আমার স্বামী মূলত এখানে আমাকে পালি দিবে না বলে সালাফীদের মত, হানাফীদের মত সবকিছু উপেক্ষা করে কোনো কোনো মত গ্রহণ করেছেন।
১. প্রশ্ন: সালাফদের মতে সফরের ফতোয়া কি এমনই?
*** আমার পালি নিয়ে আমার স্বামীর অনাচার আরও আছে।
একেতো আমার নিজের বিয়েরই বছর ঘুরেনি, সংসার করে উঠতে পারিনি মনমতো তিনি দূরে চাকরী করায়, তার উপর আমার পালিতে এসে রাতে তিনি ঘন্টার পর ঘন্টা দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে কথা বলতেন। এশার নামাজ থেকে ফিরতে অনেক দেরি করতেন। আমি অনেক কষ্ট পেতাম, এটা নিয়ে মন খারাপ করলে বা কিছু বললেও তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করতেন বা কথা বলা বন্ধ করে দিতেন। এতে আমি আরও বেশি মানসিক কষ্ট পেতাম।
২. প্রশ্ন: তিনি কি আমার পালির রাতে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা, মেসেজিং করা ইত্যাদির দ্বারা আমার হক নষ্ট করেননি? অথচ দ্বিতীয় স্ত্রীর পালিতে থাকার সময় তাকে আমি খুব কমই পেতাম। যদিও আমি আশা করতাম না আরেক স্ত্রীর সময় থেকে আমাকে দিক, কিন্তু সে আমার সময়টুকু আরেক স্ত্রীকে দিয়ে দিতো অনলাইনে মাত্রাতিরিক্ত।
*** দ্বিতীয় বিয়ের একমাস পর থেকে আমার স্বামী ১৫ দিন করে করে পালি করার কথা ছিলো। তিনি প্রথম পালি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে ১৫ দিন করে আসে। আমার মিসক্যারেজের জন্য আমার সাথে ১৫ দিন + আরও ৬ দিন অবস্থান করেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে কথা বলে। সে অনুযায়ী তার দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে ২১ দিন থাকার কথা ছিল। ঈদ পরতো আমার পালিতে। কিন্তু তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে ২১ দিন অবস্থান না করে আরও এক্সট্রা অবস্থান করে, ঈদটা সে আমার পালিতে না করে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে করে। অথচ ঈদ আমার পালিতে ছিলো। এভাবে এখানে আমার অনুমতি ছাড়া তার ইচ্ছেমতো পালি করে মূলত।
এরপর দুইমাসমতো ঠিকঠাক পালি করে। পরবর্তীতে কুরবানীর ঈদ আসে। কুরবানীর ঈদ দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে পরে যায়। আমি মন খারাপ করায় তিনি ওখানে কিছুদিন এক্সট্রা থেকে এখানে এসে ঈদ করতে ইচ্ছে পোষণ করেন। ১৫ দিন + ১ সপ্তাহ দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে অবস্থান করে এসে তিনি আমার আসেন। কিন্তু একদিন রাত থেকেই তিনি আবার দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে চলে যান। আমার থেকে তিনি অনুমতিও নেননি, জাস্ট জানিয়েছেন। আমার অনেক কষ্ট লাগছিলো। দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার বাসায় ঝামেলার জন্য তিনি সেখানে যান দুদিনের কথা বলে। কিন্তু তিনি ফিরছিলেন না। এভাবে ১৫ দিন আবারও দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে অবস্থান করে। দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার বাসার লোকজন নাকি দ্বিতীয় স্ত্রীকে অত্যাচার করতেছিল। (তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ভাষ্যমতে, ওখানে থাকা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তার স্ত্রী বলেছিলো আপনি প্রথম স্ত্রীর কাছে গিয়ে থাকুন, সমাধান হয়ে যাবে, কিন্তু তিনি সেখানেই তার স্ত্রীর সাথে থেকে যান। এবং আমার পালি বিলম্ব করেন) কিন্তু একটানা অনেকদিন স্বামীকে কাছে না পেয়ে আমিও অনেক বেশি অসুস্থ হই, আমার সাথে যোগাযোগটাও ঠক ছিল না তার। (আমি আগে থেকেই প্রচন্ড অসুস্থ ছিলাম। আমার ওষুধ চলছিলো) কিন্তু আমার স্বামী তাতে গ্রাহ্য করেননি, তাকে মিস করতে করতে কান্নাকাটি করলে তার মন গলাতো দূর, আমার কথায় শুনতে পারতেন না মাঝেমাঝে।
এরপর বাসায় আসেন জুনের চার তারিখে। কিন্তু তিনি আমাকে দেখতে পারছিলেন না, বিরক্ত হচ্ছিলেন। তার গায়ে আঘাত করা অভ্যাস আছে দেখে আমি তার থেকে দূরে দূরে থাকছিলাম, আর সেও এড়িয়ে চলছিল। কিন্তু রাতে আর সহ্য করতে না পেরে তাকে প্রশ্ন করলে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। আমি সারাদিন রুমের বাইরে ছিলাম। এইরাতে আবার বাইরে যেতে না চাইলে চুল ধরে আমাকে বের করে দেওয়া হয়। আমি আবার রুমে আসলে ইটের উপর দুই তিনটি আছার দেওয়া হয় আমাকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার গায়ে আচর দিয়ে ফেললে তার কিছু পরে আমাকে তালাক দেন।
তালাকের কয়েকদিন পর আমি অনুরোধ করে তাকে ফিরিয়ে নিতে বললে, ফিরিয়ে নেয়। দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছ থেকে এতদিন থেকে আসার পর সবকিছু মিলিয়ে সে আমার সাথে ১০ দিন ছিলো। ১০ দিন পর আমার পালি শোধ না করেই তিনি দুইদিনের ব্যবসার কথা বলে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে এক সপ্তাহ কাটিয়ে আসেন।
ফিরে এসে আমার সাথে পালি করতে থাকেন। আমার পালিতে আমি ৩০+ দিন পেতাম। কিন্তু সে ২০ দিন আমার সাথে পালি করে আবার দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে চলে যান।
ফিরে এসে আমার পর্দার সুবিধার জন্য দুই স্ত্রীকে একসাথে রাখেন, ঢাকা নিয়ে যান। ঢাকা যাওয়ার পর ২৬ দিন পালি পেতাম। দুঃখজনকভাবে আমার স্বামী দ্বিতীয় স্ত্রীর পালি সম্পূর্ণ দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে কাটালেও আমার ২৬ দিনে হেরফের হতো। আমার পালির রাতে সন্ধ্যা থেকে আমার ঘরে থাকার কথা থাকলেও এমনটা হতো না৷ কখনও সন্ধ্যায় আমার কাছে আসতো, কখনও রাতে। আবার দেখা যেতো সকালে আমার সাথে না সময় কাটিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে সময় কাটাতো। আর দুপুরে প্রতিদিনই খাওয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে অনেকক্ষণ সময় কাটাতো, যা সাধারণ মুলাকাতের পর্যায়ে পরে না।
৩. প্রশ্ন, নিজের ইচ্ছেমতো পালির হেরফের করা, ১৫ দিনের পালির ধারাবাহিকতা নষ্ট কি আমার হক নষ্ট করেছে? হানাফী ফতোয়ামতে পালি সাধারণত একদিন পর পর, যা হেরফের করা যাবে না। পরিস্থিতিতে আমাদের ১৫ দিন করে ধার্য করা হলেও আমার কঠিন সময়গুলোতে আমার স্বামীকে পাশে পাইনি। আমার পালির ধারাবাহিকতা সে নষ্ট করেছে বারবার। দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছ থেকে আসার পরও তার কাছে চলে যেতে চাইতো।
আমি অনেক কান্না করতাম, তবু সে আমার কাছে আসতো না। আবার আমার পালি সম্পূর্ণ না করে যখন চলে যেতে চাইতো, তখনও কান্না করতাম, কিন্তু মন নরম হতো না।
***রিসেন্টলি আমি বাবার বাসায় এসেছি। আসার আগে বলেছিলাম আমাকে পালি দিলে বাবার বাসায় যাব। পালি মাইর গেলে যাবো না। আমি আসার পরও আমার স্বামী বলে, "কখন বললাম তোমাকে পালি দিবো না?"
ফতোয়ামতে আমি পালি পাই না, দাবীও করি না। কিন্তু আমার বাবার বাসায় আসা শর্তসাপেক্ষে ছিলো।
(।). বাবার বাসায় গিয়েছিলাম এই পার্পাসে যেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে সে স্পেস পায়। কেননা প্রথম স্ত্রীকে ব্লেইম করা হচ্ছিল তার জন্য সংসারে অশান্তি, প্লাস দ্বিতীয় স্ত্রীর আপত্তি ছিলো এক বাসাতে থাকা। তাই সে স্পেস দিয়ে যায়। এছাড়া কিছুদিন আগে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে তালাক হয়, (দ্বিতীয় স্ত্রী কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে যাওয়ায় তালাক দেয়) অন্যায়ভাবে প্রথম স্ত্রীর কৌশল, চালাকীকে দায়ী করে দ্বিতীয় স্ত্রী। ওয়াল্লহি, তার সম্পর্কে আমার কোনো কৌশল চালাকি ছিলো না। এসব নিতে না পেরে পালি ফেরত পাওয়ার শর্তসাপেক্ষে তাদেরকে স্পেস দিয়ে চলে যাই, যা বারবার আমার স্বামীকেও তিন চারদিন ধরে বলছিলাম যে আপনাদের স্পেস দিয়ে যাচ্ছি। এবং রওনা হওয়ার আগেও পালি নিয়ে কথা হয়েছিলো।
(এছাড়া দুজন স্ত্রীকেই তিনি বাবার বাসায় পাঠানোর কথা বলেন। তার কষ্ট হবে ভেবে আমি বলি যে প্রথমে আমি ঘুরে আসি, তারপর তার দ্বিতীয় স্ত্রী। কিন্তু আমি আসার পর তার দ্বিতীয় স্ত্রীর আর বাবার বাসায় প্রয়োজন হয়তো নেই, কারণ সমস্যা আমাকে নিয়ে ছিলো। এবং আমার স্বামীও চান না তাকে বাবার বাসায় পাঠাতে)
(।।) যাওয়ার আগে আমি শর্ত দিয়ে যাই আমার পালি ফেরত দিতে হবে। ফেরত না দিলে বাবার বাসায় যাবো না। কেননা পূর্বেও ১৫ দিনের জায়গায় আমার সাথে কখনও ১০ দিন, কখনও ১ দিন, কখনও ৩০+ দিনের বদলে ২০ দিন পালি করে চলে যাওয়া হয়েছে। তখন কোনো ফতোয়া নেওয়া হয়নি। যার কারণে আমি ভেবেছি পালি এভাবে ১ দিনের বদলে ১৫ দিনের করা যাবে। অর্থাৎ পূর্ব থেকেই আমাকে পালির হেরফের দ্বারা ইউজড টু করা হয়েছে।
আমার স্বামী তার স্বার্থে পালি হেরফের করেছে আগে, ধারাবাহিকতা নষ্ট করেছে। আমি বুঝেছিলাম এবার উনি ১৫ দিন ওনার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে সময় কাটাক, আমার জন্য তাদের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছিল। তাই আমি তাদের স্পেস দিয়ে বাবার বাসায় আসতে চাই। এবং বলি ১৫ দিন আপনারা কাটান, এরপর আমার পালি ফেরত দিয়েন। এমন শর্তে আমি বাসায় আসছিলাম, কিন্তু আমার স্বামী আমাকে পালি দিতে নারাজ।
আবার ফতোয়া অনুযায়ী যেহেতু বাবার বাসায় থাকলে পালি দাবী করতে পারবো না, তাই দাবী করিওনি। কিন্তু এখানে আমার সাথে প্রতারণা হইছে বলে মনে হচ্ছে।
আমি তো তাদের স্পেস দিতে মিটমাট করে বাসায় আসছি। এও বলেছিলাম যে পালি মাইর গেলে বাবার বাসায় যাবো না। শর্তের দিকটা একপাশে রেখে আমার স্বামী বলছে পালি পাবো না। বাদ দিলাম, আমি দাবীও করিনি। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বেলায় পূর্বে আমার স্যাক্রিফাইস থাকলেও আমার বেলায় আমার স্বামী এবং দ্বিতীয় স্ত্রী এরূপ করতে সম্পূর্ণ নারাজ।
৪. এইযে ভালোর জন্য বাবার বাসায় শর্তসাপেক্ষে এসে কি আমি প্রতারণার শীকার হয়েছি?
*** আমার বাবার বাসায় ১৫ দিন থাকার কথা ছিল। এই ১৫ দিন নাও পেলে ১৫ দিন পর বাসায় ফিরে তার সাথে সংসার করার কথা ছিলো। কিন্তু সে আমাকে বাসায় নিয়ে যেতে কাল বিলম্ব করছে। এই কাল বিলম্ব তো আমি করছি না। সে করাচ্ছে, এখন এই দেরী হওয়া পালিগুলোও তিনি আমাকে দিবেন না। দিবেন না বুঝলাম, দ্রুত নিয়ে যাবে তাও নিচ্ছে না।
১ তারিখের নভেম্বরে আমি বাবার বাসায় আসি। ১৫ দিন থেকে ১৬ তম দিনে বাসায় যাওয়ার কথা ছিলো। ১২ তারিখে তার সাথে ঝামেলা হওয়ায় দুদিন ঠিক মতো কানেক্টেড ছিলাম না আমরা। ১৪ তারিখে আমি তাকে কল করে বলি আমি বাসায় যাবো ১৬ তারিখ আব্বুর সাথে। ১৪ তারিখ শুক্রবার আমার রুকইয়াহ করার কথা ছিলো। এরপর ওইদিন আমি দাদীর বাসায় যাই জমিজমা বিষয়ে। এসবই হয় আমার ১৫ দিনের মধ্যে।
আমি তাকে বলি ঢাকা গিয়ে রুকইয়াহ করবো। কিন্তু তিনি বলেন এখন আসতে হবে না, রুকইয়াহ করো, সুস্থ হও। এটা ১৪ তারিখ দুপুর দুইটার ফোন কলের কথোপকথন।
(আমার ১৬ তারিখে বাবার সাথে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি নিষেধ করেন, আমি প্রশ্ন করি তাহলে আপনার সাথে যাবো সামনে শুক্রবার? তিনি বলেন, দেখি)
পরবর্তী শুক্রবার যাওয়ার কথা থাকলেও টাকার ম্যানেজ হয়নি। শুক্রবার আমি যেতে পারিনি। গতকাল ২৮শে নভেম্বর, শুক্রবার বাসায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আমাকে আবারও নিতে আসেননি। আগে পালি নিয়ে হেরফের করেছেন ইত্যাদি বিষয় উঠলে আমি জানাই, পূর্বে আমার সাথে অন্যায় হয়েছে। পরবর্তীতে আমার পালি থেকে এক সেকেন্ডও কাউকে দেওয়া যাবে না। বাচ্চা নিয়ে সময় কাটাতে হলে আমার রুমে বসে সময় কাটাতে হবে, ইত্যাদি হকের দাবী আমার পক্ষ থেকে ঝামেলা ছিলো বলে দাবী করে তিনি এই শুক্রবারও আমাকে নিতে আসেননি।
৫. ওস্তাদ, বারবার এভাবে যে আমার বাসায় যাওয়ার ডেইট পাল্টাচ্ছে আমার স্বামী, এটা কি ঠিক হচ্ছে? আমার ১৫ দিনের জায়গায় একমাসের বেশি সময় স্বামীর সংসার থেকে দূরে রাখছে, এটা কি ঠিক হচ্ছে? এদিকে আমাকে নিয়ে যাচ্ছে না, ওদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে সংসার করে যাচ্ছে। এটা কি আমার হক নষ্ট করছে? এমন না যে আমি যেতে চাইছি না।
(আমার জীনজাদুর সমস্যা আছে, প্রায়ই ওয়াসওয়াসা আসে বাসায় যেতে ভালো লাগে না। এটা ফ্রাঙ্কলি তার সাথে শেয়ার করলে সে বলতো শয়তানের ওয়াসওয়াসা। আমিও তাকে বলতাম ওয়াসওয়াসা। বলি নাই সিরিয়াসলি যে বাসায় যাবো না। আমার যাওয়ার কথা গত তিনটা শুক্রবারেই ফিক্সড ছিলো আমার পক্ষ থেকে। আমি জিজ্ঞেসও করতাম কখন রওনা দিবে, কবে আসবে। তারপরও আমার স্বামী দাবি করছে আমার নাকি আসার ইচ্ছে হয়নি! আল্লাহর শপথ এটা ভুল দাবি)
তাকে কোনো ফতোয়া দিয়ে আমি বুঝাতে পারি না৷
ওস্তাদ, স্ত্রী একজন থাকলে মাসের পর মাস না দেখা হলেও এক রকম। স্ত্রী দুজন হলে কথা আরেকরকম। যেখানে আরেক স্ত্রীর প্রতি হকের দিক থেকে ঝুঁকে যাওয়া মারাত্মক গুনাহ, সেখানে আমার কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক। আমি ক্লান্ত, আমি কিভাবে মুভ অন করবো একটু পরামর্শ দিন প্লিজ।