আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
in পবিত্রতা (Purity) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমার হায়েযের দিন হিসেবে আমি প্রায়ই কনফিউশান এ পড়ে যাই। কখনো ৭/৮/৯ দিনে ভালো হই কখনো ১০দিনের বেশিও হয়। নরমাল ব্লিডিং ৫/৬ দিনে বন্ধ হয়ে, ১ দিন বা তার কম সময় পর সাদার মতো দেখা যায় এরপর আবার অন্য বর্ণের স্রাবের মতো দেখা যায় কখনো আবার কখনো যায় না।
সাদা ব্যতীত অন্য বর্ণের স্রাব দেখা গিয়ে আবার বন্ধ হওয়ার দিন/সময় সবসময় একই থাকে না।

১. সেক্ষেত্রে কীভাবে হিসেব করবো হায়েযের নির্দিষ্ট দিন (১০ দিনের কম হলে)?

২. আলামত দেখে যদি মনে হয়, হায়েযের দিন ১০ এর বেশি হবে সেক্ষেত্রে কী অভ্যাসের দিন (৭/৮দিন) হিসেব করে পবিত্রতা অর্জন করে সালাত আদায় করা যাবে নাকি ১০দিন পূর্ণ হওয়ার পর পবিত্র হয়ে অভ্যাসের বাইরের দিনগুলোর নামাজ কাযা করতে হবে?

অফটপিক..

৩. আমার জানামতে মহিলাদের মেহেদী লাগানোর ক্ষেত্রে তেমন নিষেধাজ্ঞা নেই, পায়েও লাগানো যায়। এটা কী সঠিক?

পায়ে লাগালে কী গুনাহ হয় বা অসম্মান প্রদর্শন করা হয় নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর শানে, যেহেতু উনি দাড়ি তে লাগাতেন?

1 Answer

0 votes
by (695,850 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ أَنَّهَا أَمَرَتْ أَسْمَاءَ - أَوْ أَسْمَاءُ حَدَّثَتْنِي أَنَّهَا أَمَرَتْهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ - أَنْ تَسْأَلَ، رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَقْعُدَ الأَيَّامَ الَّتِي كَانَتْ تَقْعُدُ ثُمَّ تَغْتَسِلُ - صحيح 

উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আসমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অথবা আসমা-ই আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করার জন্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেন যে, (পূর্বের হিসেব মতো) হায়িযের দিনগুলোতে অপেক্ষা করবে, তারপর নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে গোসল করবে।
(আবু দাউদ ২৮১ নাসায়ী ২০১)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি ব্লিডিং শুরু হওয়ার দিন থেকে যেদিন ব্লিডিং শেষ হবে সেদিন পর্যন্ত আপনি হায়েজ ধরবেন।

যদি ১০ দিন পরেও ব্লিডিং চলতেই থাকে সেক্ষেত্রে পূর্বের মাসগুলোতে যে কয়দিন হায়েজ আসছিল, এ মাসেও সে কয়দিন হায়েজ ধরবেন।

আরো জানুনঃ 

(০২)
আলামত দেখে যদি আপনার প্রবল ধারণা হয় যে হায়েযের দিন ১০ এর বেশি হবেই।

সেক্ষেত্রে পূর্বের মাসগুলোর অভ্যাসের দিন হিসেব করে পবিত্রতা অর্জন করে সালাত আদায় করা যাবে।

(০৩)
হ্যাঁ, নারীরা স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পায়েও মেহেদী লাগাতে পারবে।

পায়ে লাগালে গুনাহ হয়না বা অসম্মান প্রদর্শন করা হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
(১) ৫/৬দিনে নরমাল ব্লিডিং বন্ধ হওয়ার পর?
by (695,850 points)
যদি আপনার প্রবল ধারণা হয় যে হায়েযের দিন ১০ এর বেশি হবেই।
সেক্ষেত্রে পূর্বের মাসগুলোর অভ্যাসের দিন হিসেব করে হায়েজ ধরতে পারবেন।
by (695,850 points)
তবে যদি দশ দিনের আগেই তার ব্লিডিং বন্ধ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে ওই দিন পর্যন্ত তাকে হায়েজ ধরতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...