(০১)
তিরমিজি শরীফের ১৬৫২ নং হাদীসে এসেছে
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ النَّاسِ رَجُلٌ مُمْسِكٌ بِعِنَانِ فَرَسِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِالَّذِي يَتْلُوهُ رَجُلٌ مُعْتَزِلٌ فِي غُنَيْمَةٍ لَهُ يُؤَدِّي حَقَّ اللَّهِ فِيهَا أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِشَرِّ النَّاسِ رَجُلٌ يُسْأَلُ بِاللَّهِ وَلاَ يُعْطِي بِهِ "
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কে উত্তম মানুষ, আমি কি তোমাদের তা জানিয়ে দেবো না? আল্লাহ তা'আলার রাস্তায় যে নিজের ঘোড়ার লাগাম ধরে প্রস্তুত থাকে। আমি কি তোমাদের বলে দেবো না, তারপর কোন মানুষ উত্তম? যে নিজের মেষপাল নিয়ে মানুষদের কাছ হতে দূরে অবস্থান করে থাকে এবং তাতে আল্লাহ তা'আলার যে হক (যাকাত) রয়েছে তা দিয়ে দেয়।
কে মানুষের মধ্যে নিকৃষ্ট লোক তা কি আমি তোমাদের বলে দেবো না? যার নিকট আল্লাহ্ তা'আলার নাম নিয়ে কিছু চাওয়া হয় কিন্তু (সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও) দান করে না।
(সহীহ : আত্ তিরমিযী ১৬৫২, নাসায়ী ২৫৬৯, সহীহ আত্ তারগীব ২৭৩৭।)
,
অন্য হাদীসে উল্লেখ রয়েছেঃ
عن أبي عبيد مولى رفاعة بن رافع أن النبي صلى الله عليه وسلم قال :
( مَلْعُونٌ مَنْ سَأَلَ بِوَجْهِ اللَّهِ ، وَمَلْعُونٌ مَنْ سُئِلَ بِوَجْهِ اللَّهِ فَمَنَعَ سَائِلَهُ )
رواه الطبراني في " المعجم الكبير " (22/377)
সারমর্মঃ যে ব্যাক্তি আল্লাহ্ তা'আলার নাম নিয়ে কিছু চায়,সে অভিশপ্ত,,,,
এই হাদীস মুরছাল,
عن أبي موسى الأشعري رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال :
( ملعون من سأل بوجه الله عز وجل ، وملعون مَن سُئل بوجه الله عز وجل ثم منع سائله ما لم يسأل هجرا )
رواه الروياني في " المسند " (1/327 ، رقم 495) والطبراني في " الدعاء " (ص/581)، وابن عساكر في " تاريخ دمشق "
সারমর্মঃ যে ব্যাক্তি আল্লাহ্ তা'আলার নাম নিয়ে কিছু চায়,সে অভিশপ্ত,,,,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/ও বোন!
আল্লাহর নাম ব্যবহার করে কিছু চাওয়া উচিৎ নয়।তবে যদি কেউ চেয়ে নেয়,তাহলে কেউ কেউ বলেন,কিছু দিয়ে দেয়া উত্তম।আবার কেউ কেউ বলেন,শিক্ষা দেয়ার জন্য তাকে কিছুই দেয়া যাবে না।
বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
উপার্জনে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও বা গরিব না হওয়া সত্ত্বেও ভিক্ষা করা জায়েজ নেই।
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: «مَنْ سَأَلَ النَّاسَ أَمْوَالَهُمْ تَكَثُّرًا فَإِنَّمَا يَسْأَلُ جَمْرًا، فَلْيَسْتَقِلَّ أَوْ لِيَسْتَكْثِرْ» "
নবীজী সাঃবলেনঃ যে ব্যক্তি সম্পদবৃদ্ধির আশায় মানুষের কাছে সুওয়াল করবে,সে যেন আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা'আলার কাছে আগুনের আঙ্গারা সুওয়াল করল।এখন সে যেন কমিয়ে করে অথবা বাড়িয়ে করে(তার ইচ্ছাস্বাধীন )।(সহীহ মুসলিম১৮৩৮)
সুওয়াল করার হুকুম ভিক্ষুকের অবস্থার উপর নির্ভর করবে।সে যদি সাবলম্বী হয় তাহলে সুওয়াল করা তার জন্য উপরের বর্ণিত ধারা অনুযায়ী হারাম হবে ঠিক কিন্তু সুওয়ালকৃত ব্যক্তির জন্য কিছু দিয়ে দেয়াটা উচিৎ।কেননা সুওয়ালের কারণে তার উপর সুওয়ালকারীর জন্য একরকম হক্ব বা অধিকার স্থাপিত হয়ে গেছে।তবে সাধারণত সদকার(নফল) নিয়্যাত থাকলে বাস্তব অবস্থা অনুসন্ধান করে দেয়াটাই উত্তম হবে।কারো সম্পর্কে যদি প্রবল ধারণা হয় যে,সে সর্বদিক দিয়ে অক্ষম তাহলে তাকে দিয়ে দিবে।তবে যদি কেউ ধনী বা সুস্থ-সবল,উপার্জনোক্ষমকাউকে সদকা দিয়ে দেয় তাহলে তার বৃথা যাবে না।বরং অবশ্যই সে সওয়াব পাবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ