মা'যুর এবং আওয়বীনের রাকাত সংখ্যা

Question

আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,

উস্তায আমার বগলে ফোঁড়ার মতো হয়েছে, ছোট স্বাভাবিক মাংস বের হয়ে আছে, চাপ দিলে রক্ত পুঁজ বের হয়ে ভেজা থাকে সবসময়, তবে গড়িয়ে পড়েনা - কাপড়েও লাগেনা । ১দিরহামের চেয়ে ছোট হবে জায়গাটি ।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতিবার অযুর আগে হালকা পুঁজগুলো ভেজা কাপড় দিয়ে ৩বার পরিষ্কার করে নিতে হবে? 

২) মাগরিবের পর আওয়াবীনের নামাজ পড়তে ইচ্ছে করলে ৬রাকাতই বাধ্যতামূলক পড়তে হবে? এর কম রাকাত পড়লে আদায় হবেনা?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

(১)

আপনার উল্লেখিত লিংকে আমরা বলেছিলাম যে,

কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০) মা'যুরের বিধান সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1746

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনি মা'যুর কি না? তা যাচাইবাচাই করার জন্য যদি মাগরিবের ওয়াক্তকে নির্ধারণ করেন, এবং সম্পূর্ণ মাগরিবের ওয়াক্ত জুড়ে মাগরিবের ফরয নামায অজু ভঙ্গ হওয়া ব্যতিত পড়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু নামায সম্পূর্ণ করতে না পারেন, তাহলে এশার ওয়াক্ত থেকে আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন। 

সুতরাং

প্রশ্নের বিবরণমতে আপনি মা'যুর হিসেবে বিবেচিত হবেন। ওয়াক্তের ভিতর একবার অজু করে নিবেন। এবং এই অজু দ্বারা যত ইচ্ছা, নামায,তাওয়াফ, কুরআন তিলাওয়াত, আপনি করতে পারবেন। রক্ত বা পুজ বের হলে নামায ফাসিদ হবে না। প্রতি ফরয নামাযের পূর্বে আপনাকে কাপড় পাল্টিয়ে নিতে হবে। (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

হ্যা, নামাযের পূর্বে পরিস্কার করে নিবেন।গড়িয়ে পড়ুক বা না পড়ুক, নামাযের পূর্বে পরিস্কার করে নিবেন।

(২)

মাগরিবের পর আওয়াবীনের নামাজ পড়তে ইচ্ছে করলে ৬রাকাতই বাধ্যতামূলক নয়। বরং এরচেয়ে কম রাকাত পড়লেও হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4467