নামাজ কাজা সংক্রান্ত প্রশ্ন

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওবারকাতুহ,

জনাব,
  
যোহর নামাজ পড়তে পড়তে যদি আসরের ওয়াক্ত এসে যায়, তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে নাকি আদায় হয়ে যাবে?
আর যদি নামাজ টি হয়ে থাকে তাহলে সেটি কি কাজা নামাজ হিসেবে গন্য হবে?

Answer 1

জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم 

প্রত্যেকে নিজ ওয়াক্তেই নামাজ আদায় করিবে,তাহা কাজা হতে দিবেনা। 

পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,

اِنَّ الصَّلٰوۃَ کَانَتۡ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ کِتٰبًا مَّوۡقُوۡتًا ﴿۱۰۳﴾ 

‘নিশ্চয়ই নামাজ মুসলমানদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফরজ।’ (সুরা নিসা : ১০৩)।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

أَبُو الْوَلِيدِ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ الْعَيْزَارِ أَخْبَرَنِي قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَمْرٍو الشَّيْبَانِيَّ يَقُولُ حَدَّثَنَا صَاحِبُ هَذِهِ الدَّارِ وَأَشَارَ إِلَى دَارِ عَبْدِ اللهِ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ أَيُّ الْعَمَلِ أَحَبُّ إِلَى اللهِ قَالَ الصَّلاَةُ عَلَى وَقْتِهَا قَالَ ثُمَّ أَيٌّ قَالَ ثُمَّ بِرُّ الْوَالِدَيْنِ قَالَ ثُمَّ أَيٌّ قَالَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي بِهِنَّ وَلَوْ اسْتَزَدْتُهُ لَزَادَنِي.

আবূ ‘আমর শায়বানী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.)-এর বাড়ির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এ বাড়ির মালিক আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন্ ‘আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথা সময়ে সালাত আদায় করা। ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, অতঃপর কোনটি? তিনি বললেন, অতঃপর পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার। ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.) আবার জিজ্ঞেস করলেন, অতঃপর কোনটি? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, অতঃপর জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ্ (আল্লাহর পথে জিহাদ)। ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.) বলেন, এগুলো তো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেনই, যদি আমি আরও অধিক জানতে চাইতাম, তাহলে তিনি আরও বলতেন। (বুখারী শরীফ ৫২৭.২৭৮২, ৫৯৭০, ৭৫৩৪; মুসলিম ১/৩৬, হাঃ ৮৫, আহমাদ ৪২২৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫০২)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,

ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা জরুরি। নামাজের সময় অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত অযথা বিলম্ব করা ঠিক নয়। এটি শরীয়তের শিক্ষা এবং একজন মুসলিমের মর্যাদার পরিপন্থী।

তবে, যদি যোহরের নামাজ যোহরের সময়ের মধ্যে শুরু হয় এবং আসরের সময় মাঝখানে প্রবেশ করে, তাহলে যোহরের নামাজ আদায় হয়েছে এবং কাযা হয়নি।

مجمع الأنهر في شرح ملتقى الأبحر (1/ 146):

" وإلى أنه لو شرع في الوقتية عند الضيق ثم خرج الوقت في خلالها لم تفسد". 

মর্মার্থঃ-

কেহ যদি সময় সংকির্ন অবস্থায় ওয়াক্তিয়া নামাজ শুরু করে,অতঃপর নামাজের মধ্যেই নামাজের ওয়াক্ত বের হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবেনা।

Comments

https://www.banuri.edu.pk/readquestion/zuhar-ki-namaz-ke-doran-asar-ka-waqt-dakhil-hogaya-to-zuhar-ada-hogi-ya-qaza-144108201093/11-04-2020

---

এখানে আসরের সময় মাঝখানে বলতে কি বুঝানো হয়েছে?  জোহর এর নামাজ আসরে ওয়াক্তে প্রবেশ করা নাকি জোহর নামাজ এর ২য় রাকাত শেষে ৩য় রাকাত আসরে প্রবেশ করা?

---

যোহর নামাজ পড়তে পড়তে যদি আসরের ওয়াক্ত এসে যায়, তাহলে জোহরের নামাজ আদায় হয়ে যাবে।