আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
76 views
in সালাত(Prayer) by (43 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম 

 

১) এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করার জন্য শুনেছি আখিরাতে হাজার হাজার বছর বা লাখ লাখ বছর জাহান্নামে থাকতে হয়। এটা কি সত্য? আর এটা কি বালেগ হওয়ার পর শুধু যে ওয়াক্তের নামাজ কখনো আদায় করা হয়নি তার জন্য নাকি কাযা নামাযের জন্যও । একটু কুরআন হাদিসের আলোকে এ বিষয়ে বললে উপকৃত হতাম।


 

১.১) আখিরাতের দিন বা বছর গণনা কি দুনিয়ার ন্যায় হবে? 



 

২) পূর্বে এই https://ifatwa.info/65338/ ফতওয়ায় আমাকে মুফতি ইমদাদুল হুজুর বলেছেন পূর্বের নামাজগুলো কাযা আদায় করে নিতে হবে ধীরে ধীরে। এখন হিসাব অনুযায়ী ±২,৩৪,১৭৫ রাকাআত(আনুমানিক) পড়তে হবে। এখন আমার জন্য এই ফরজ নামাজের কাযা উঠানো বেশি দরকার নাকি বর্তমানে অন্য ওয়াক্তের সুন্নত আদায় করা বেশি দরকার?  

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যোহর, মাগরিব আর এশাতে কাযা উঠানোর সুযোগ থাকে। কিন্তু এসকল ওয়াক্তের পুরো নামাজ আদায় করার পর কাজা উঠাতে গেলে নামাজ অনেক দীর্ঘ হয়ে যায়, তাই তখন কাযা আদায় করার ইচ্ছাটা কমে যায়। আর আমি চাই আগের কাযাগুলো দ্রুত আদায় করে নিতে। আর এখানে রাকাআত সংখ্যা সকল কাযা ওয়াক্তের মিলিয়ে (বিতির ব্যতীত) । 

 

এখন আমি কি এশার বিতিরের ঐ ৭ বছর সময়কালের কাযা উঠাবো? আমি পুরোপুরিভাবে বলতে পারছি না। তখন পাক পবিত্র অবস্থায় আমি কত ওয়াক্তের নামাজ আদায় করেছি, যেহেতু আমি পবিত্রতার ব্যাপারে অজ্ঞ ছিলাম। ( শুধু ২ নং পয়েন্টের মধ্যে প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়ে  ২টি প্রশ্ন করা আছে তাই ২টি প্রশ্নের উত্তর দিলে উপকৃত হতাম)  


 

৩) কেউ যদি অসুস্থ থাকে তখন কি সে চাইলে সুন্নত ও বিতির নামাজগুলো কি ছেড়ে দিতে পারবে? এতে কি গুনাহ হবে? আর এখানে কতটুকু অসুস্থ থাকলে সে নামাজগুলো ছাড়তে পারবে? 


 

৪) ক্লান্ত থাকলে বসে বসে কেউ নামাজ পড়তে পারবে? আমরা যেরকম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সময় শেষ বৈঠকে বসে ওরকম ভাবে বসা বা এমনি চেয়ারে বসে বসে পড়া।

 

৫) যেসকল নামায উচ্চ স্বরে পড়ার বিধান সেগুলোর কাযাও কি উচ্চ স্বরে আদায় করব? আর যদি উচ্চ স্বরে আদায় না করি তাহলে নামাযে কোন সমস্যা হবে? 


 

জাযাকাল্লাহু খাইরান 



 

1 Answer

0 votes
by (712,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বিশিষ্ট মুহাদ্দিস হযরত যাকারিয়া রাহ ফাযাইলে আ'মাল গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে,ইচ্ছাকৃত নামায কা'যা করে অন্য সময়ে পড়লে ২কোটি ৮৮ লক্ষ বৎসর আগুনে জ্বলতে হবে।
روي أنه عليه الصلاة والسلام قال: «من ترك الصلاة حتى مضى وقتها ثم قضى: عذب في النار حقبا». والحقب: ثمانون سنة، والسنة: ثلاثمائة وستون يوما، كل يوم كان مقداره ألف سنة.  (كذا في «مجالس الأبرار»، لم أجده فيما عندي من كتب الحديث، الا أن «مجالس الأبرار» مدحه شيخ مشایخنا الشاه عبد العزيز الدهلوي)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' থেকে প্রমাণিত হওয়ার শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া যায় না।ইচ্ছাকৃত নামায কা'যা বা তরক করার শাস্তি কুরআন হাদীসে বে-ঈমানি বা কুফরি বলে অভিহিত করা হয়েছে। নামায কা'যা বা নামাযে অলসতাকে মুনাফিকির আ'লামত বলা হয়েছে।

(১.১) আখিরাতের দিন বা বছর গণনা দুনিয়ার ন্যায় হবে না।

(২)
পূর্বের কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।তবে এজন্য ওয়াক্তের সুন্নত নামাযকে পরিহার করা যাবে না।

(৩)
যদি কেউ অসুস্থ থাকে তখন সে চাইলেও সুন্নত ও বিতির নামাজগুলোকে ছেড়ে দিতে পারবে না। এতে করে তার গুনাহ হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1365
 
৪) ক্লান্ত থাকলে মাঝেমধ্যে মাঠিতে বসে বা চেয়ারে বসে সুন্নত নামাজ পড়া যেতে পারে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...