আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
১.অনেকে লোক দাবী করে যে,তারা স্বপ্নের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাবিদ্যা লাভ করেছে।মৃত্যুর আগ মুহূর্তে তারা কাউকে তা শিখিয়ে যায় যার ফলে এটি তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও বংশপরম্পরায় চলতে থাকে।এধরনের চিকিৎসা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?

২.নিঃসন্তান লোকরা অনেকসময় দেখা যায়, ১-এ বর্নিত চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়।তারা অদ্ভূত সব চিকিৎসা মানুষকে বাতলে দেয় যেমন তাবিজ ভিজিয়ে নিয়ম করে পানি পান করা, নির্দিষ্ট কিছু দিন কারো সাথে কথা না বলা, বিভিন্ন ফলের মাধ্যমে ঔষধ দেওয়া,এমনকি মাটি খাওয়ার মতোও অরুচিকর চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে।তাদেরকে(রোগী) জেরা করা হলে মোটামুটি উত্তর দেয়, শেফা কেবল আল্লাহই করতে পারেন,এটি তো কেবল মাধ্যম মাত্র! প্রশ্ন হলো এটা কি ব্ল্যাক ম্যাজিক টাইপ কিছু?কেউ যদি এই ধরনের চিকিৎসার শরনাপন্ন হয়,তার বিধান কি?

1 Answer

0 votes
by (709,720 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কাশফ অর্থ খোলা।ইলহাম অর্থ অন্তরে কোনো কিছুর উদ্রেক হওয়া।যারা আল্লাহ ইবাদত করতে করতে নিজেকে পুরোপুরি আখেরাত মুখি করে নিতে পারে। যারা আল্লাহর অতি নিকটবর্তী হয়ে যেতে পারে। তাদের সামনে অনেককিছু খুলে যায়। অতীত বর্তমান ভবিষ্যত অনেক কিছু তাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে যায়।

হযরত আবু-সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي سعيد الخدري، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اتقوا فراسة المؤمن فإنه ينظر بنور الله، ثم قرأ: {إن في ذلك لآيات للمتوسمين}.
هذا حديث غريب، إنما نعرفه من هذا الوجه.
وقد روي عن بعض أهل العلم في تفسير هذه الآية: {إن في ذلك لآيات للمتوسمين} قال: للمتفرسين
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা মু'মিনের ফেরাসত থেকে বেঁচে থাকো। কেননা মু'মিন আল্লাহর নূর দ্বারা দেখে নিতে সক্ষম হয়।(তিরমিযি-৩১২৭)

যদি কেউ দাবী করে যে,সে স্বপ্নের মাধ্যমে কিছু রোগের চিকিৎসাবিদ্যা লাভ করেছে, এবং সেই চিকিৎসায় শিরিক বা কুফুর ইত্যাদি না থাকে, এবং উক্ত চিকিৎসার দ্বারা মানুষের ফায়দা হয়, তাহলে এমন চিকিৎসা গ্রহণ করা যেতে পারে। 

এমন প্রকারের চিকিৎক যদি নিঃসন্তান দম্পত্তির চিকিৎসার জন্য তাবিজ দেন, এবং সেই সব তাবিজে কুফুর শিরিক মূলক কিছু না লিখেন, তাহলে ঐ তাবিজ গ্রহণ করা যেতে পারে। যদি সন্দেহ হয় যে, তাবিজে শিরিক লিখা হয়েছে কি না? তাহলে এমন প্রকারের তাবিজ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...