আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
edited by
হযরত আসসালামু আলাইকুম,
কাফেরকে কাফের মনে না করা কুফরি।
যেমন মুশরিক, প্রকাশ্য মুরতাদ ও নাস্তিকদের আমরা কাফের মনে করি।

আমার কিছু বন্ধু আছে নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, আবার ইসলামী শাসন তাদের কাছে মোল্লাদের শাসন মনে হয় এর থেকে তারা গণতন্ত্র উওম মনে করে। আবার তারা নিজেদের মুসলিম দাবি করে। আবার অনেকে মাজারের পীর বাবাকে গায়েবের অধিকারী মনে করে আবার মসজিদে এসে আল্লাহর ইবাদত করে।

এই ধরনের ব্যক্তিদের কোনটা মনে করবো?
* তাদের কি মুসলিম মনে করবো?
* নাকি তাদের কাফের মনে করবো?

কাফের এবং মুশরিকদের কাফের হওয়ার বিষয়ে আমার সন্দেহ নেই। কিন্তু কোন ব্যক্তি কাফের সেটা তার সার্বিক জবানবন্দি ব্যতীত সিদ্ধান্ত নেওয়া বিপদজনক।

ইমান ও কুফরি মিশ্রিত ব্যক্তি আমাদের সমাজে অনেক আছে। আমি যদি তাদের অবস্থা আল্লাহর উপর ন্যস্ত করে দেই আমার কি কোনো গুণাহ হবে?

কারন এসব তাকফির করা আমার জন্য বিপদজনক

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কাউকে কাফের বলার ক্ষেত্রে সতঃসিদ্ধ নিয়ম সম্পর্কে  আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد،
কুফরি হল কি না? এই সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কুফরির ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকবে, অন্যদিকে কুফরি না হওযার এক ভাগ সম্ভাবনা বাকী থাকবে। তখন মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার ফয়সালা প্রদান করা। কেননা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুলের কারণে এক হাজার কাফেরকে মুসলমান হিসেবে অবশিষ্ট রাখার চেয়ে ভুলক্রমে একজন মুসলমানকে কাফির সাব্যস্ত করা জঘন্যতম সিদ্ধান্ত। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}(শেষ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7200

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার আকিদা বিশ্বাস যথার্থ। কোন ব্যক্তি কাফের সেটা তার সার্বিক জবানবন্দি ব্যতীত সিদ্ধান্ত নেওয়া বিপদজনক। সুতরাং আপনি যদি তাদের অবস্থা আল্লাহর উপর ন্যস্ত করে দেন, তাহলে এতেকরে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...