আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
75 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাহতুল্লহ শায়েখ

১. আমার আব্বুর ইনকাম হারাম। আমি দ্বীনদার পাত্র বিয়ে করতে চাচ্ছি এজন্য বায়োডাটা দিব অনলাইনে। আমি আমার সাধ্যমত আব্বুকে বোঝানোর চেষ্টা করি কিন্তু তিনি অল্প টাকার চাকরী করবেন না।এগুলো আমার বাড়ির সবাই জানে বাইরের তেমন কেউ জানে না।আমি চেষ্টা করি আমার প্রয়োজনটুকু নেওয়ার। আমার বিয়ের পর আমার স্বামীকে সম্পূর্ণ সাহায্য করতে চাই হালাল হারাম মেনে চলতে ইনশাআল্লাহ।  শরীয়ত যেভাবে সম্পর্ক ঠিক রাখতে বলে আমি সেভাবেই সম্পর্ক রাখব ইনশাআল্লাহ। আমার অবস্থান বোঝাতে আমি যদি এরকম কিছু কথাবার্তা লিখি বায়োডাটাতে তাহলে কি অন্যায় করা হবে আব্বুর সাথে? আব্বু যদি রাগ করে তাহলে  করণীয় কি?

২. একজন দ্বীনদার ছেলে কি  এই সমস্যাগুলো সহ্য করে আমাকে বিয়ে করবে? বিয়ে করলে কি সে এর প্রতিদান আল্লাহর কাছে পাবে?

৩. বিয়ের পর কি আমি আমার ব্যবহার্য জামা কাপড়,আমার কিতাবগুলো,আমার ফোন যেটাতে আমি অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করি এগুলোও নিতে পারব না?

৪. বিয়ের পর আমি ও আমার স্বামী কি আমার বাবার বাড়িতে দুই এক দিন থাকতে ও খেতে পারব না?

1 Answer

0 votes
by (679,740 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: «لَا تَحَاسَدُوا، وَلَا تَنَاجَشُوا، وَلَا تَبَاغَضُوا، وَلَا تَدَابَرُوا، وَلَا يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ، وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ إِخْوَانًا. اَلْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ، لَا يَظْلِمُهُ، وَلَا يَخْذُلُهُ، وَلَا يَحْقِرُهُ، اَلتَّقْوَى هَاهُنَا - وَيُشِيرُ إِلَى صَدْرِهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ - بِحَسْبِ امْرِئٍ مِنَ الشَّرِّ أَنْ يَحْقِرَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ، كُلُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ حَرَامٌ: دَمُهُ وَمَالُهُ وَعِرْضُهُ»

অনুবাদ:
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“তোমরা পরস্পরে হিংসা করো না, বাড়তি দামে কেনাবেচা করো না, একে অপরকে ঘৃণা করো না, একে অপরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করো না এবং একে অপরের কেনাবেচার ওপর বিক্রি করো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা হয়ে ভাই ভাই হও। মুসলমান হলো মুসলমানের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করে না, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করে না, তাকে অপমান করে না। তাকওয়া এখানে (তিনি তাঁর বুকের দিকে তিনবার ইঙ্গিত করলেন)। মানুষের জন্য এতটুকুই মন্দ যে সে তার মুসলিম ভাইকে হেয় প্রতিপন্ন করে। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমের রক্ত, সম্পদ ও ইজ্জত হারাম।”
(সহিহ মুসলিম, হাদীস: ২৫৬৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে বায়োডাটাতে এ ধরনের তথ্য না লেখার পরামর্শ থাকবে।

(০২)
বিবাহের পর তো এটি আপনার জন্য কোন সমস্যাকর বিষয় থাকছেনা। তাহলে এটিকে আপনি সমস্যা হিসেবে দেখছেন কেন?

আপনি বিবাহের পর সম্পূর্ণভাবে আপনার স্বামীর ইনকাম হতে চলবেন।

বাবার থেকে কোন কিছু গ্রহণ করলে পরবর্তীতে সেটি সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

সুতরাং এটি আপনার জন্য সমস্যা কর নয়। আপনার স্বামীর জন্যেও সমস্যাকর নয়। তাই এটিকে সহ্য করার কোন বিষয়ে আসছে না

(০৩)
নিলে সমপরিমাণ অর্থ ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

(০৪)
পারবেন।
সেক্ষেত্রে বাজার খরচ আপনার স্বামী দিবে।

অথবা আপনাদের খাবার সমপরিমাণ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
reshown by
১. আমি তো আসলে আব্বুকে অসম্মান করতে চাইনি।আমার আব্বু এনজিওতে চাকরি করেন। আমি যদি এটা গোপন করে যায় তাহলে পাত্রকে ধোকা দেওয়া হবেনা? আমাকে যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন আমি কিভাবে দুইদিকের হক আদায় করব?

২. দ্বীনদার মানুষও তো এটাকে সমস্যা হিসেবে দেখে তাহলে? দ্বীনদার মানুষই আমাকে বলেছে আব্বু এমন চাকরী করে ভালো দ্বীনদার ছেলে আমাকে বিয়ে করতেও চাইবে না। আমার মনেও এমন ধারনা আসে কোনো ছেলে যদি আমি বাদে অন্য দ্বীনদার মেয়েকে বিয়ে করে যার বাবার ইনকাম হালাল তাহলে তো তাকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করা লাগবে না।এক্ষেত্রে শরীয়ত কি বলে?

জাযাকাল্লাহু খয়রন শায়েখ  উত্তরটা একটু তাড়াতাড়ি দিলে ভালো হতো। 
by (7 points)
আসসালামুআলাইকুম শায়েখ
আমার আব্বুর বাড়িও তো হারাম টাকার কিন্তু জমিটা হালাল এক্ষেত্রে কি আমি আর আমার স্বামী বিয়ের পর এসে দুই এক দিন থাকতে পারব?
by (679,740 points)
জায়েজ হবেনা।
এক্ষেত্রে ভাড়া বাবদ কিছু টাকা গরিব মিসকিনদের মাঝে দান করে দিবেন।
by
edited
ওপরের প্রশ্নের উত্তরটা একটু তাড়াতাড়ি দিলে ভালো হতো।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...