জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: «لَا تَحَاسَدُوا، وَلَا تَنَاجَشُوا، وَلَا تَبَاغَضُوا، وَلَا تَدَابَرُوا، وَلَا يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ، وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ إِخْوَانًا. اَلْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ، لَا يَظْلِمُهُ، وَلَا يَخْذُلُهُ، وَلَا يَحْقِرُهُ، اَلتَّقْوَى هَاهُنَا - وَيُشِيرُ إِلَى صَدْرِهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ - بِحَسْبِ امْرِئٍ مِنَ الشَّرِّ أَنْ يَحْقِرَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ، كُلُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ حَرَامٌ: دَمُهُ وَمَالُهُ وَعِرْضُهُ»
অনুবাদ:
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“তোমরা পরস্পরে হিংসা করো না, বাড়তি দামে কেনাবেচা করো না, একে অপরকে ঘৃণা করো না, একে অপরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করো না এবং একে অপরের কেনাবেচার ওপর বিক্রি করো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা হয়ে ভাই ভাই হও। মুসলমান হলো মুসলমানের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করে না, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করে না, তাকে অপমান করে না। তাকওয়া এখানে (তিনি তাঁর বুকের দিকে তিনবার ইঙ্গিত করলেন)। মানুষের জন্য এতটুকুই মন্দ যে সে তার মুসলিম ভাইকে হেয় প্রতিপন্ন করে। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমের রক্ত, সম্পদ ও ইজ্জত হারাম।”
(সহিহ মুসলিম, হাদীস: ২৫৬৪)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে বায়োডাটাতে এ ধরনের তথ্য না লেখার পরামর্শ থাকবে।
(০২)
বিবাহের পর তো এটি আপনার জন্য কোন সমস্যাকর বিষয় থাকছেনা। তাহলে এটিকে আপনি সমস্যা হিসেবে দেখছেন কেন?
আপনি বিবাহের পর সম্পূর্ণভাবে আপনার স্বামীর ইনকাম হতে চলবেন।
বাবার থেকে কোন কিছু গ্রহণ করলে পরবর্তীতে সেটি সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীব মিসকিনকে দান করে দিবেন।
সুতরাং এটি আপনার জন্য সমস্যা কর নয়। আপনার স্বামীর জন্যেও সমস্যাকর নয়। তাই এটিকে সহ্য করার কোন বিষয়ে আসছে না
(০৩)
নিলে সমপরিমাণ অর্থ ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।
(০৪)
পারবেন।
সেক্ষেত্রে বাজার খরচ আপনার স্বামী দিবে।
অথবা আপনাদের খাবার সমপরিমাণ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।