ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)
ফুকাহায়ে কেরামগণের আলোচনা থেকে এতটুকুই বুঝা যায় যে, মসজিদটি যদি মসজিদে কবীর হয়,বা মসজিদের ভিতরকার জামাত থেকে বাহিরের জামাতের দূরত্ব দুই কাতারের অধিক হয়, কিংবা ইমামের রুকু সেজদা অনুভব করা না যায়, তাহলে এমতাবস্থায় ইকতেদা বিশুদ্ধ হবে না।অন্যথায় ইকতেদা বিশুদ্ধ হবে।পর্দা বা দেয়াল ইকতেদা বিশুদ্ধ হওয়ার অন্তরায় হবে না।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৬/৫৩৮)
সুতরাং মসজিদের দরজা বন্ধ থাাকাবস্থায় বারান্দায় দাঁড়ানো জায়েয হবে। ইকতেদা বিশুদ্ধ হবে।
(২)নামাজের সময় কারো ওযু নষ্ট হয়ে গেলে সে চলে গেলে যায়গাটা ফাঁকা হয়ে যায়, এমতাবস্থায় প্রত্যেক মুসল্লি তার স্ব স্ব স্থানে দাড়িয়ে থাকবে।
(৩) হযরত ওয়াবিসাহ ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ، أَنَّ رَجُلاً صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُعِيدَ الصَّلاَةَ.
এক ব্যক্তি (জামাতে নামায পড়া অবস্থায়)কাতারের পিছনে একাকী নামায আদায় করেছিল,তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ তাকে পূনরায় নামায দোহড়ানোর আদেশ দিলেন।
মোল্লা আলী কারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
(فَأَمَرَهُ أَنْ يُعِيدَ الصَّلَاةَ) : اسْتِحْبَابًا لِارْتِكَابِهِ الْكَرَاهَةَ، قَالَ الطِّيبِيُّ: إِنَّمَا أَمَرَهُ بِإِعَادَةِ الصَّلَاةِ تَغْلِيظًا وَتَشْدِيدًا.
রাসূলুল্লাহ সাঃ তাকে মুস্তাহাব হিসেবে নামায দোহড়ানোর আদেশ দিয়েছিলেন।কেননা কাতারে একাকী নামায আদায় করা মাকরুহ।অর্থাৎ নামায তো আদায় হবে।তবে মাকরুহে তানযিহি হবে।
ইমাম তিবি রাহ বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ এজন্য নামাযকে দোহড়ানোর আদেশ দিয়েছিলেন,যাতেকরে লোকদের অন্তরে কাতারের পিছনে একাকী নামায পড়া সম্পর্কে ভয় ঢুকে যায়। যাতেকরে তারা আর কখনো এমনটা না করে।নামায যে হয়নি, সে হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাঃ আদেশ দেননি।(মিরকাতুল মাফাতিহ-১১০৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/4351
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি সামনের কাতারে ফাঁকা না পাওয়া যায়,তাহলে সামনের কাতার থেকে কোনো একজনকে টেনে পিছনে নিয়ে এসে পিছনে কাতারে নামাযে দাড়াতে হবে। কিন্তু যদি আশংকা হয় যে, যাকেই টেনে নিয়ে আসবো, সে রাগ করবে,বা তার অন্তরে সংশয় সৃষ্টি হবে, তাহলে এমতাবস্থায় একা একা পিছনে দাড়ানোর পরামর্শ ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/11999
কেউ এভাবে টান দিলে আপানর উচিৎ তার আহবানে সাড়া দেওয়া।