আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in সালাত(Prayer) by (8 points)
আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়া লিজামিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাতি,ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত,ওয়াল আহইয়ায়ি মিনহুম আমওয়াতি,বি রাহমাতিকা ইয়ার হামার রাহিমিন

এটি কি দোয়া মাসুরা হিসেবে পড়া যাবে?

আসসালামু আলাইকুম

1 Answer

0 votes
ago by (659,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদের পর, সালাম ফেরানোর আগে দোয়া করা যাবে।
আখেরী বৈঠকে কুরআন সুন্নাহর বর্ণিত দোয়া করা যাবে,  সমস্যা নেই। 

ফরজ/নফল নামাজ সহ যেকোনো নামাজে কুরআন সুন্নাহর বর্ণিত যেকোনো দোয়া পড়া জায়েয আছে। 

ইবনে মাসউদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে তাশাহ্হুদ শিক্ষা দিতেন। এরপর তিনি হাদিসের শেষের দিকে বলেন: "এরপর যা ইচ্ছা প্রার্থনা করবে।"[সহিহ বুখারী (৫৮৭৬) ও সহিহ মুসলিম (৪০২)]

এক বর্ণনায় আছে,
ثُمَّ يَتَخَيَّرْ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ
“অতঃপর যা ইচ্ছা চেয়ে দু’আ করতে
(সহীহ আবু দাউদ, হা/৯৬৮, সহীহুল জামে হা/৭৪০৩, সহীহ।)

★শরীয়তের বিধান হলো নামাজের মধ্যে শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পর যেকোনো কুরআন হাদীসে বর্ণিত দোয়া পাঠ করা যাবে।
এই ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَائِشَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا فَرَغَ أَحَدُكُمْ مِنَ التَّشَهُّدِ الآخِرِ فَلْيَتَعَوَّذْ بِاللهِ مِنْ أَرْبَعٍ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ شَرِّ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ " . -

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সলাতের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পাঠ শেষ করবে তখন সে যেন আল্লাহর নিকট চারটি বস্তু হতে আশ্রয় প্রার্থনা করে। (তা হলোঃ) জাহান্নামের আযাব হতে, কবরের আযাব হতে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনাহ হতে এবং মাসীহ দাজ্জালের অনিষ্ট হতে।

মুসলিম (অধ্যায় : মাসাজিদ, অনুঃ সলাতে যেসব বিষয় হতে আশ্রয় প্রার্থনা করা হবে), ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ তাশাহহুদ সম্পর্কে, হাঃ ৯০৯), আহমাদ (২/২৩৭), দারিমী (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ তাশাহহুদের পর দু‘আ, হাঃ ১৩৪৪) 

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ سِنَانٍ الْمُزَنِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي صَلَاتِهِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ حَرِّ جَهَنَّمَ

আমর ইবন সাওয়াদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর সালাতে বলতে শুনেছিঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি; কবরের ফিতনা, দাজ্জালের ফিতনা, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা এবং জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ থেকে।
(নাসায়ী ৫৫১৯)

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَخْبَرَنِي يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَلْقَمَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَعَوَّذُ مِنْ خَمْسٍ يَقُولُ عُوذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ شَرِّ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ

আব্দুর রহমান ইবন মুহাম্মাদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঁচ বস্তু হতে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন, তিনি বলতেনঃ তোমরা কবরের আযাব, দোযখের আযাব থেকে, জীবন-মরণের ফিতনা থেকে এবং কানা দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে।
(নাসায়ী ৫৫০৮)

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যে দোয়াটির কথা উল্লেখ করেছেন,তাহা হলোঃ-

 اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ، وَلِجَمِيعِ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ، وَالْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ، وَالْأَحْيَاءِ مِنْهُمْ وَالْأَمْوَاتِ، بِرَحْمَتِكَ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ

এই দো‘য়ার হাদীসের কিতাবে খুজে পাইনি।

তবে এর সাথে সম্পর্কিত আধ্যাত্মিক সূত্রসমূহঃ

নবী ইবরাহীম عليه السلام-এর দো‘য়া
তিনি দো‘য়া করেছিলেন:

“رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ”
— “হে আমাদের প্রতিপালক, আমাকে এবং আমার বাবা-মাকে এবং সকল বিশ্বাসীদের ক্ষমা কর, যখন বিচার দিবস আসবে।” 

নবী নূহ عليه السلام-এর দো‘য়া
তিনি দো‘য়া করতেন:

“رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِي مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ”

— “হে প্রতিপালক, আমাকে এবং আমার বাবা-মাকে এবং যারা আমার ঘরে প্রবেশ করে বিশ্বাস থেকে, এবং সকল পুরুষ ও নারী বিশ্বাসীদের ক্ষমা কর।” 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যেহেতু উক্ত দোয়াটি হাদিসে বর্ণিত নেই, সুতরাং নামাজের মধ্যে দোয়ায়ে মাসুরার স্থলে উক্ত দোয়াটি পড়া যাবে না।

তবে কেউ কেউ এক্ষেত্রে অনুমতি প্রদান করেছেন, তাদের মতানুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...