বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
□ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
يَا
أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا
وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ
وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয়
মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। সূরা মায়েদা, আয়াত নং-৬
,
অযুর ফরজ চারটি। যথা:
১. সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করা।
২. দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ধৌত
করা।
৩. পদযুগলের গিটসহ ধৌত করা।
৪. মাথার চার ভাগের এক ভাগ
মাসেহ করা।
,
□অযুতে তিনবার করে ধোয়া: হাদীস
শরীফে এসেছে-
عَنِ
ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَزِيدَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ حُمْرَانَ مَوْلَى
عُثْمَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، رَأَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ دَعَا بِإِنَاءٍ،
فَأَفْرَغَ عَلَى كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ أَدْخَلَ
يَمِينَهُ فِي الإِنَاءِ فَمَضْمَضَ، وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ
ثَلاَثًا، وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثَلاَثَ مِرَارٍ، ثُمَّ مَسَحَ
بِرَأْسِهِ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ إِلَى الْكَعْبَيْنِ، ثُمَّ
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ
وُضُوئِي هَذَا، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ،
غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ".
হুমরান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ’উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)-কে দেখেছেন যে, তিনি পানির পাত্র আনিয়ে উভয় হাতের তালুতে তিনবার ঢেলে তা ধুয়ে নিলেন। এরপর
ডান হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার
করলেন। তারপর তাঁর মুখমণ্ডল তিনবার ধুয়ে এবং দু’হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে
নিলেন। এরপর মাথা মাসেহ করলেন। তারপর উভয় পা গিরা পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে
বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
যে ব্যাক্তি আমার মত এ রকম অযু করবে, তারপর দু রাক’আত সালাত
নামাজ আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোন খেয়াল করবে না, তার পেছনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। সহীহ বুখারী, হাদীস
নং-১৬১
,
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
,
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অযু
হয়ে যাবে।