জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
تَوَلَّدَ (تَوَلُّد) [ولد]
[তাওয়াল্লাদা] শব্দের অর্থঃ
জন্মগ্রহণ করা,জাত হওয়া,উৎপন্ন হওয়া,সৃষ্টি হওয়া।
تَوَلُّد [ولد]
[তাওয়াল্লুদ] শব্দের অর্থঃ
জন্ম,উৎপাদন,সৃষ্টি।
,
মিলাদ অর্থ হল,জন্ম। মিলাদ মাহফিল মানে জন্ম উপলক্ষে মাহফিল বা অনুষ্টান। সুতরাং মিলাদ নামে কোনো অনুষ্টানের বৈধতা শরীয়তে নাই।হ্যা বিভিন্ন সময় ওয়াজ নসিহত ও দ্বীনী আলোচনার আয়োজন করা যেতে পারে।
শরীয়তের বিধান হলো যে পদ্ধতিতে কোন ইবাদত খাইরুল কুরুনে আদায় করা হতো না, সেটিকে জরুরী মনে করে বা একমাত্র পদ্ধতি মনে করে, বা আবশ্যকীয় পদ্ধতি বানিয়ে উক্ত ইবাদত করাও বিদআতের শামিল।
তাই দরূদ পড়া যদিও উত্তম ও সওয়াবের কাজ। কিন্তু এভাবে মাহফিল করে সম্মিলিতভাবে করার বিশেষ সূরতটি খাইরুল কুরুনে ছিল না। তাই এটিকে আবশ্যকীয় বা জরুরী মনে করে করলে তা পরিস্কারই বিদআত হবে। এতে কোন সন্দেহ নেই।
আরো জানুনঃ
রাসুল সাঃ বলেন-
وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.
আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ
‘(দ্বীনের নামে) নবউদ্ভাবিত সকল বিষয় থেকে দূরে থাক।’
আরেক হাদীসে আছে-
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .
‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭
মিলাদ সম্পর্কে আরো জানুনঃ
(০২)
প্রচলিত দরুদ শরীফ পাঠের যে মজমা হয়,যেটাকে মিলাদ মাহফিল বলে,সেটি জায়েজ নেই।
সুতরাং সেই ছুরতে তার যাবতীয় কার্যক্রম,কবিতা কোনোটাই জায়েজ নেই।
,
তবে প্রচলিত মিলাদ ব্যাতিত এমনিতেই দরুদ শরীফ পাঠের মাঝে কবিতা পড়া হলে,যদি সেই কবিতার বাক্য শরীয়ত বহির্ভূত না হয়,বরং শরীয়ত সম্মতপন্থায় হয়,তাহলে তা জায়েজ আছে।
,
(০৩)
যদি সেই বাক্য শরীয়ত বহির্ভূত না হয়,বরং শরীয়ত সম্মতপন্থায় হয়,তাহলে তা জায়েজ আছে।
,
(০৪)
ইসলামে জামাতের সাথে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তাআলা নামাজের ব্যাপারে অনেক আয়াত নাজিল করেছেন। ঈমানের পরেই যার স্থান। যা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ। জামাআতে নামাজ শুরু করার প্রথম তাকবিরের রয়েছে অত্যাধিক ফজিলত। যাকে তাকবিরে উলা বলা হয়।
,
তাকবীরে উলা সম্পর্কিত হাদীসটি নিম্নরূপ :
من صلى أربعين يوما في جماعة يدرك التكبيرة الأولى كتب له براءتان : براءة من النار، وبراءة من النفاق
অর্থ : যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন জামাতে নামায আদায় করবে এবং সে প্রথম তাকবীরও পাবে তার জন্যদুটি মুক্তির পরওয়ানা লেখা হবে।
(এক) জাহান্নাম থেকে মুক্তি।
(দুই) নেফাক থেকে মুক্তি।
(-সুনানেতিরমিযী ১/৩৩; আততারগীব ১/২৬৩)
এ হাদীস থেকে স্পষ্ট হয় যে, ইমামের প্রথম তাকবীর বলার সাথে সাথে তাকবীর বলে নামায শুরুকরলে তাকবীরে উলা পাবে। সুতরাং ইমামের তাকবীরে তাহরীমার সাথেই নামাযে শরিক হওয়ারচেষ্টা করতে হবে। প্রকাশ থাকে যে, সূরা ফাতেহা শেষ হওয়ার আগে জামাতে শরিক হতে পারলেওকোনো কোনো ফকীহ তাকবীরে উলার সওয়াব হাসিল হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেছেন।
-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৫৪; আলমুহীতুল বুরহানী ২/১০৭; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ১৪০; রদ্দুল মুহতার ১/৫২৬