কাজী (قاضي) হলেন সেই ব্যক্তি যিনি ইসলামী শরীআহ্ অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করেন।
ইসলামি সমাজে কাজী হলেন বিচার বিভাগীয় একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, যিনি মানুষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করেন, হকদারকে তার হক প্রদান করেন এবং শরীয়াহর আলোকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে কাজীর ভূমিকা ও দায়িত্ব:
★কোরআন ও হাদীস অনুযায়ী বিচারকাজ সম্পন্ন করা।
পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে, আল্লাহভীতির সাথে ন্যায়নিষ্ঠভাবে রায় প্রদান করা।
কোরআনে বলা হয়েছে: "নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেন যে, তোমরা আমানত তাদের কাছে পৌঁছে দাও যারা তার যোগ্য এবং যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার করো, তখন ন্যায়ের সাথে বিচার করো।"
(সূরা আন-নিসা: ৫৮)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“বিচারক তিন প্রকার। তাদের মধ্যে একজন জান্নাতে যাবে এবং বাকি দুইজন জাহান্নামে যাবে। সে বিচারক যে সত্য জেনে ন্যায়বিচার করে, সে জান্নাতে যাবে। যে বিচারক জেনে-বুঝে অন্যায় করে, সে জাহান্নামে যাবে। আর যে বিচারক অজ্ঞতার কারণে ভুল রায় দেয়, সেও জাহান্নামে যাবে।”
(আবু দাউদ, তিরমিযি)
★দারিদ্র্য, প্রভাব, জাতিগত পার্থক্য ইত্যাদির তোয়াক্কা না করে যার যা অধিকার, তা ফিরিয়ে দেওয়া।
★শরীয়াহ ভিত্তিক আইন প্রয়োগ:
বিবাহ-বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, দেনা-পাওনা, চুরি, হত্যা ইত্যাদি বিষয়ে শরীয়াহর নির্দেশ মোতাবেক রায় দেওয়া।
★জনসাধারণের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা:
সমাজে অন্যায়-অবিচার ও বিশৃঙ্খলা রোধ করে ইনসাফ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
কাজী (قاضي) হলেন সেই ব্যক্তি যিনি ইসলামী শরীআহ্ অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করেন।
তাই পারিবারিক ভাবে বা দেশীয় কাজীর মাধ্যমে স্বামীকে বুঝিয়ে বা কোনো টাকা/সম্পদের বিনিময়ে খোলা তালাক নিতে হবে।