আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
শায়খ,এখানে বিচারক বলতে কি আদালতের বিচারকের কথা বুঝানো হয়েছে নাকি কাজীর কথা বুঝানো হয়েছে?

যেহেতু তাদের রেজিস্ট্রি হয়নি এবং বিয়ের কোনো লিখিত ডকুমেন্টস নাই,এরপরেও কি আদালতে যাওয়ার উপায় আছে?নাকি কাজী সাহেব বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (645,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কাজী  (قاضي) হলেন সেই ব্যক্তি যিনি ইসলামী শরীআহ্ অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করেন। 

ইসলামি সমাজে কাজী হলেন বিচার বিভাগীয় একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, যিনি মানুষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করেন, হকদারকে তার হক প্রদান করেন এবং শরীয়াহর আলোকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।

ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে কাজীর ভূমিকা ও দায়িত্ব:

★কোরআন ও হাদীস অনুযায়ী বিচারকাজ সম্পন্ন করা।

পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে, আল্লাহভীতির সাথে ন্যায়নিষ্ঠভাবে রায় প্রদান করা।

 কোরআনে বলা হয়েছে: "নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেন যে, তোমরা আমানত তাদের কাছে পৌঁছে দাও যারা তার যোগ্য এবং যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার করো, তখন ন্যায়ের সাথে বিচার করো।"
(সূরা আন-নিসা: ৫৮)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:

“বিচারক তিন প্রকার। তাদের মধ্যে একজন জান্নাতে যাবে এবং বাকি দুইজন জাহান্নামে যাবে। সে বিচারক যে সত্য জেনে ন্যায়বিচার করে, সে জান্নাতে যাবে। যে বিচারক জেনে-বুঝে অন্যায় করে, সে জাহান্নামে যাবে। আর যে বিচারক অজ্ঞতার কারণে ভুল রায় দেয়, সেও জাহান্নামে যাবে।”
(আবু দাউদ, তিরমিযি)


★দারিদ্র্য, প্রভাব, জাতিগত পার্থক্য ইত্যাদির তোয়াক্কা না করে যার যা অধিকার, তা ফিরিয়ে দেওয়া।

★শরীয়াহ ভিত্তিক আইন প্রয়োগ:

বিবাহ-বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, দেনা-পাওনা, চুরি, হত্যা ইত্যাদি বিষয়ে শরীয়াহর নির্দেশ মোতাবেক রায় দেওয়া।

★জনসাধারণের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা:

সমাজে অন্যায়-অবিচার ও বিশৃঙ্খলা রোধ করে ইনসাফ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এখানে বিচারক বলতে আদালতের বিচারকের কথা বুঝানো হয়েছে।
মূলত শরীয়তের দৃষ্টিকোন হতে কাজীর অর্থও একই।

কাজী  (قاضي) হলেন সেই ব্যক্তি যিনি ইসলামী শরীআহ্ অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করেন। 

প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে আদালত মনে হয় মামলা নিবেনা।
তাই পারিবারিক ভাবে বা দেশীয় কাজীর মাধ্যমে স্বামীকে বুঝিয়ে বা কোনো টাকা/সম্পদের বিনিময়ে খোলা তালাক নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (16 points)
শায়খ,আমাকে মাফ করবেন।আবারো বিষয়টা পরিষ্কারভাবে জানতে চাচ্ছি।
স্বামী কোনোভাবেই খোলা তালাকে সমঝোতা করতেও রাজি নয়।(মারাত্মক জেদী প্রকৃতির মানুষ)।

 কাজী অফিসেও যদি স্বামী যেতে রাজি না হয়,আবার ডকুমেন্ট না থাকায় কোর্টেও যাওয়া সম্ভব হবে না।এক্ষেত্রে কি করা যাবে?
স্ত্রী তার অভিভাবক সহ কাজীর অফিসে গিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারবে কি?
বা কাজীকে তাদের কাছে ডেকে এনে বিবাহ বিচ্ছেদ করা যাবে কি?

এক্ষেত্রে স্ত্রী ও তার পরিবারের করণীয় কি?
ago by (645,180 points)
এক্ষেত্রে বিবাহের পর থেকে নিয়ে আজ অবধি উক্ত স্ত্রী যদি স্বামীর পক্ষ থেকে তালাকের অনুমতি পেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তুই স্ত্রী নিজেই নিজেকে তালাক দিয়ে দিবে আর যদি এমন অধিকার না পেয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে পারিবারিক ভাবে বা দেশীয় কাজীর মাধ্যমে স্বামীকে বুঝিয়ে বা কোনো টাকা/সম্পদের বিনিময়ে খোলা তালাক নিতে পারবে।

এতে কোনোভাবেই সমাধান না হলে সে ক্ষেত্রে হেকমতের সহিত অন্য কোনভাবে স্বামীকে বুঝিয়ে নিকাহনামা বানিয়ে নিতে হবে। তারপর আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে হবে।
ago by
শায়েখ,এ পর্যন্ত সে কয়েকবার এরকম বলেছে "তুমি চলে যেতে চাইলে চলে যেতে পারো,আমি তোমাকে ধরে রাখিনি"
কিন্তু তারপরে আবার স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিলো।

  যেহেতু,মেয়ের পরিবার এখনো জানে না।তাই মেয়ে প্রায়ই ম্যাসেজে বলতো,আমার পরিবার না মানলে আমি কি করবো,তখন কাকে বেছে নিবো?
তখন স্বামী উত্তরে বলেছিলো  "তখন তুমি নাহয় তোমার পরিবারকেই বেছে নিও।"


স্বামীর এই কথার ভিত্তিতে কি স্ত্রী নিজের উপর তালাক নিয়ে নিতে পারবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...