ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/99052/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান হলো কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ফিস যদি না থাকে,এবং যদি শরীয়ত
বিরোধী কোনো কর্মকান্ড তাতে না থাকে,
তাহলে ছেলেদের জন্য তাতে অংশ গ্রহন জায়েয। তবে যদি ফিস থাকে,তাহলে জায়েয
হবে না। কেননা তখন এটা জুয়া হয়ে যাবে,যা পরিস্কার হারাম।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَسْأَلُونَكَ عَنِ
الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ ۖ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ
وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَا
তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে
রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে,তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা
অপেক্ষা অনেক বড়। [সূরা বাকারা-২১৯]
,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ
آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ
مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
إِنَّمَا يُرِيدُ
الشَّيْطَانُ أَن يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ
وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَن ذِكْرِ اللَّهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ ۖ فَهَلْ
أَنتُم مُّنتَهُونَ
হে মুমিনগণ, এই যে মদ,
জুয়া,
প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য
বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।
শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ
সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও
কি নিবৃত্ত হবে? [সূরা মায়িদা-৯০-৯১]
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/5052/
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন,
,
১. দরুদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এর জন্য যদি কোনো ফি না থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ও পুরস্কার নেয়া জায়েজ।
এক্ষেত্রে পুরস্কার লাভের আশায় কেউ যদি এখানে অংশগ্রহণ করে
তাহলে সে গুনাহগার হবেনা।
উল্লেখ্য,
এটা শরীয়তের বিধান বলা হলো।
তবে কেউ যদি প্রশ্নে উল্লেখিত আলোচনার আলোকে রাসুলুল্লাহ সা.
এর প্রতি মুহাব্বতের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করে এমনিতেই
নিজে নিজে নিয়মিত অধিক পরিমান দরুদ শরীফ পাঠ
করে, তাহলে তা অনেক উত্তম হবে।
আরো বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/99052/
,
২. কোন প্রাণী কতদিন বাঁচে তা নির্দিষ্ট ভাবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই
ভালো জানেন। সুতরাং এই বিশ্বাস রেখে এভাবে বলা যে, ‘সাধারণত মশার গড় আয়ু এমন’ এভাবে
বলা যাবে।