আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
একটা এক্সিডেন্ট আমার কোমরে মেরুদন্ড ভেঙে যায় , এর পর থেকে কোমর থেকে পা  পযর্ন্ত কোনো রকম অনুভুতি কাজ করে না , প্রসাব এর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলি প্রসাব বেগ আসলে ও বুজতে পারিনি , এর কারনে আমার প্রায় সময় বিছানায় প্রসাব হয়ে যায় দিনে ২ বার রাতের শেষের দিকে , বিছানায় সব সময় নাপাক এ থাকে আর  দিনে ৩ বার এমন হলে জামা কাপড় বার বার পরিবর্তন সম্ভব হচ্ছে না এর কারণে শরীর কাপড় আর বিছানায় সব টাই নাপাক থাকে । এমন অবস্থায় কীভাবে নামাজ আদায় করবো বা তিলাওয়াত করবো?

[একজন বোনের প্রশ্ন]

1 Answer

0 votes
ago by (639,720 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَتْ بِي بَوَاسِيرُ، فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلاَةِ، فَقَالَ: «صَلِّ قَائِمًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ»

আমার একবার অর্শগেজ হয়ে গেলো।আমি এমন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট নামায পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে জিজ্ঞাসা করলাম।তখন তিনি প্রতিউত্তরে বললেন,তুমি দাড়িয়ে নামায পড়বে,তারপর দাড়ানো সম্ভব না হলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসেও সম্ভব না হয় তাহলে হেলান দিয়ে নামায আদায় করবে।(সহীহ বোখারী-১১১৭)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ولو كان قادرا على بعض القيام دون تمامه يؤمر بأن يقوم قدر ما يقدر 

যদি কেউ নামাযে কিছু সময় কিয়াম করার পর  অক্ষম হয়ে যায়,এবং এরপর আর দাড়াতে সক্ষম না হয়,তাহলে তার জন্য হুকুম হল যে, সে নামাযে ততটুকুই দাড়াবে যতটুকু তার জন্য সম্ভব হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৬)

তারপর উল্লেখ করা হয়,
وإن عجز عن القيام والركوع والسجود وقدر على القعود يصلي قاعدا بإيماء ويجعل السجود أخفض من الركوع، كذا في فتاوى قاضي خان حتى لو سوى لم يصح، كذا في البحر الرائق.
যদি কেউ নামাযে কিয়াম,রুকু,সিজদা করতে অক্ষম থাকে,কিন্তু সে আবার বসে বসে পড়তে সক্ষম হয়,তাহলে তার জন্য হুকুম হল যে,;সে বসে বসে ইশারায় নামায পড়বে।এবং সেজদার সময় মাথাকে রুকু থেকে একটু বেশী নিচু করবে।(ফাতাওয়ায়ে কাযীখান)তবে যদি কেউ রুকু এবং সেজদার সময়ে মাথাকে সমান করে রাখে তাহলে তার নামাযই বিশুদ্ধ হবে না।(বাহরুর রায়েক্ব)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি হেলান দিয়ে বা শুয়ে নামাজ আদায় করবে।
রুকু সেজদাহ উভয়টিই ইশারায় করবে,রুকুর তুলনায় সেজদায় মাথা বেশি ঝুকাবে।

আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/1162

এক্ষেত্রে পবিত্র শরীরে,পবিত্র কাপড়ে,পবিত্র বিছানায় নামাজ পড়তে হবে।

পায়জামা না পড়ে এমন কোনো কাপড় পড়বেন যেটা পরিবর্তন করা সহজ হয়,যেমন পেটিকোট ইত্যাদি। 
শরীরের জামা এমন ভাবে পড়বেন,বা এমন জামা পড়বেন,যাতে পেশাব জামায় না লাগে।

এক্ষেত্রে নামাজের আগ দিয়ে শরীর নাপাক থাকলে পেশাব লাগা স্থান ধুয়ে পাক করে নিবেন, পবিত্র পেটিকোট পড়বেন বা নিম্নাংগের উপর চাদর বা কোনো কাপড় দিয়ে ঢেকে নামাজ পড়বেন।
নামাজের আগ দিয়ে বড় পলিথিন জাতীয় কিছু নিছে পেড়ে দিয়ে তার উপর জায়নামাজ রেখে নামাজ পড়বেন।

★ওযু ছাড়া অবস্থায় আপনি মুখস্ত কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবেন, অজু থাকা অবস্থায় আপনি কুরআন স্পর্শ করেও তেলাওয়াত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে শরীরে কাপড়ে বা বিছানায় পেশাব থাকলেও কোরআন তেলাওয়াত করতে কোন বাধা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...