আসসালামু আলাইকুম।
এক বোনের বিয়ে হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ বছর। তার স্বামী বিয়ের আগে গয়রে মাহরামদের সাথে কলে,ম্যাসেজে সবসময় কথা বলতো,এমনকি তাদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় দেখাও করতো, গিয়ে আড্ডা দিতো।
বোনটা বিয়ের পর এসব জানার পর স্বামীর অতীত জীবনের বিষয়ে কোনো কথাই তুলেনি,খোঁচাও দেয়নি, কটাক্ষও করেনি।শুধু বলেছিলো আপনার অতীত নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই।আপনি যদি বর্তমানে এবং ভবিষ্যৎ এ নিজেকে হিফাজত রাখতে পারেন তাহলেই আমার হলো।( বোনটা নিজেকে সবসময় হিফাজত রেখেছিলো একজনের জন্যই।নিজের ইজ্জত আব্রু,ভালোবাসা সবকিছু একজনের জন্যই হিফাজত করে রেখেছিলো। জীবনসঙ্গী এমন পায়নি তারপরেও বোনটা তাকে ভালোবেসে সংসার করে গিয়েছে,তার অতীত নিয়ে ভাবেনি,তার প্রতি অবহেলাও করেনি কোনোদিন)।
এই সাড়ে ৩ বছরেও সে শুধড়ায়নি আসলে।সে স্ত্রী থালা স্বত্তেও গয়রে মাহরামদের সাথে ফোনে কথা বলা,ম্যাসেজে কথা বলা চালিয়েই গিয়েছে। ধরা পড়ার পর স্ত্রী থাকতে চায়নাই,ছাড়াছাড়ি করতে চেয়েছে।তারপর স্বামী মাফ চায়, আর কখনও করবেনা বলার পর স্ত্রী মাফ করে দেয়।তারপর মাঝে দেড় বছর কিছুই ছিলোনা। স্ত্রীও ভেবেছিলো সে হিদায়াতের পথে ফিরে এসেছে তাই আবার স্ত্রী বিশ্বাস করে সংসার করতে থাকে।তারপর দেড় বছর পর আরেকটা মেয়ের সাথে ধরা পড়ে।এবারও স্ত্রী এসবের জন্য থাকতে চায়নাই।চলে যেতে চেয়েছিলো।সে আবারও মাফ চেয়েছে,ওয়াদা দিয়েছে আর করবেনা।
তারপর খুব কষ্টে,অনেক বেশি যন্ত্রণা নিয়ে আবারও বিশ্বাস করেছে।কিন্তু এই যে বারবার একই কাজের পুনরাবৃত্তি হওয়ার কারনে স্ত্রীর প্যানিক এ্যাটাকের সমস্যা হয়ে গিয়েছে।তারপরেও সে সংসার করে,তবে স্বামীর প্রতি ভালোবাসা, টান সব অনেকটাই কমে গিয়েছে।কিন্তু সে স্বামীকে বুঝতে দেয়নাই। সব হক্ব পূরণ করে গিয়েছে।এরপর আবারও প্রায় ৭ মাস হলো একটা মেয়ের সাথে ধরা পড়লো।এই মেয়ের সাথেও ফোনে কথা বলে,ম্যাসেজে কথা রাতের ২/৩ টা পর্যন্ত।
স্বামী ভরনপোষণের সব দ্বায়িত্ব পালন করে কিন্তু স্ত্রী কে সময় দেয়না।স্ত্রীর বরাদ্দ সময় সে ওই মেয়েকে দেয় আর ফোনে এমনিই ইউটিউব, ফেসবুকে ব্যয় করে।
লাস্টবার ধরা পড়ার পর স্ত্রীর মন থেকে একেবারেই স্বামীর প্রতি ভালোবাসা,টান,মুহাব্বাত উঠে গিয়েছে।এখম তার দিকে তাকালে, তার কথা ভাবলে কেমন যেনো ঘৃনাবোধ আসে মনে।সে সন্তানও চায়না কোনোভাবে, এই দিক দিয়েও সে হক্ব নষ্ট করতেসে সবভাবেই।সন্তানের কথা বললে নানান বাহানা দেয়, পরে সময় হলে নিবে বা পরিকল্পনা করবে এসব বলে টালবাহানা করে।
এখন প্রশ্ন হলো, স্ত্রী যদি তালাক চায় স্বামীর থেকে তাহলে কি আল্লাহ নারাজ হবেন? বা বিচ্ছেদ হলে কি আল্লাহ সন্তুষ্ট থাকবেন? স্ত্রী কোনোভাবেই এই সংসারে থাকতে পারছেনা। তার যখনই মনে হয় যে তার স্বামী গয়রে মাহরামের জন্য তার হক্ব নষ্ট করছে তখনই তার প্যানিক এ্যাটাক হয়।শারীরিক, মানসিক সবদিক দিয়েই সে অনেক বেশি অসুস্থবোধ করে।এমতাবস্থায় স্ত্রীর আসলে কি করা দরকার অনুগ্রহ করে বলবেন। সে অনেক ধৈর্য ধরেছে কিন্তু এইবারের পর আর পারছেনা ধৈর্য ধরতে।প্রায় ১ মাস ধরে নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করেও সে আর মেনে নিতে পারছেনা এসব।এবার তার স্বামী অনুতপ্তও না বা এসব নিয়ে মাফও চায়নাই। বরং আক্রমণ করে অনেক কথা বলেছে।