বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনার বর্ণনা,
অভিভাবক সন্তানের কল্যাণ চাইলেও বর্তমান সময়ে অনেক অভিভাবকই সন্তানের কল্যাণ কীসে তা বোঝে না এবং সে দিকে গুরত্ব দেয় না। দ্বিতীয়ত, সব সন্তান এতটুকু ঈমানদার হয় না যে, নিজেকে বিবাহ থেকে যেমন বিরত রাখবে তেমনই বাহ্যিক-মানসিক সব ধরনের গোনাহ থেকে নিজেকে পবিত্র রাখবে। ফলে, এমন বাস্তব উদাহরণও দেখতে পেয়েছি যে - সন্তান বিয়ে করতে চেয়েছে অথবা বিয়ের সময় হয়ে গেছে; এবং পরিবারের চেষ্টাহীনতায় সে বিয়ে করেনি কিন্তু পাপ থেকেও নিজেকে বাঁচাতে পারেনি।
আর যারা তাদের ঈমান এতটুকু অর্জন করতে পেরেছে যে, প্রথমত নিজের পদস্খলনের সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে বিয়ে করার চেষ্টা করেছে। তারপর ব্যর্থ হয়েছে। এবং এক সময়ে তার ঈমানী দূর্বলতার কারণে সে সবর করতেও ব্যর্থ হয়েছে এবং পাপে লিপ্ত হয়ে গেছে । তাদের ব্যাপারটা কী হবে?
প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, এখানে কোনটা জরুরী ছিল? বাবা-মার সন্তুষ্টি নাকি গোনাহ থেকে পবিত্রতা? সে যদি গোনাহরত অবস্থায় মারা যায়, তবে সে কোনটার বিনিময় পাবে? বাবা-মার মান্যতার বিনিময় নাকি গোনাহের বিনিময়?
আমরা আপনার উক্ত বর্ণনার বিত্তিতে বলবো,
যদি বিষয়টা এমনই হয়,যেমনটা আপনি বলছেন,তাহলে এমতাবস্থায় মাতাপিতার সন্তুষ্টিকে তালাশ করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।বরং এমতাবস্থায় সে বিয়ে করে নিবে।তার জন্য জন্য বিয়ে করে নেয়া তখন ফরয।এবং বিয়ের জন্য চেষ্টা করাও ফরয।তখন গোনাহর সম্ভাবনাকে সামনে রেখে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা জায়েয হবে না।
(২)
কারো পরিবার যদি ঘোষণাই দিয়ে দেয় যে নির্দিষ্ট এত বছর পর তাকে বিবাহ দিবে, তার আগে নয়। সে ক্ষেত্রে এতো বছর অপেক্ষা করা তার জন্য ক্ষতিকর; জানার পরও অপেক্ষা করা তার জন্য জায়েয হবে না।বরং তখন যেকোনো উপায়ে গোনাহ থেকে বাঁচতে তার জন্য বিয়ে করা ফরয।
(৩)
ছাহাবা যুগে এরকম চাকুরীর কোনো চিন্তাভাবনা কারো ছিল না।বরং তখনকার লোকজন ব্যবসা বাণিজ্য ও পশু পালন,এবং কৃষিকাজ করেই সংসার পরিচালনা করতো।তখন যুদ্ধ বিগ্রহের দরুণ প্রত্যেক গোত্র বা কবিলার লোকসংখ্যার বড়ই প্রয়োজন ছিলো।সেজন্য লোকজন নিজ সন্তানাদিকে তারাতারি বিয়ের ব্যবস্থা করে দিতো।তাছাড়া তখনকার সময়ে জৈবিক চাহিদা বাদীর দ্বারাও পূরণ করা সম্ভবপর হতো।
সন্তন বিয়ে করতে চায় কিন্তু মাতাপিতা চায়না,এমন কোনো ঘটনা আপাতত খুজে পাইনি।